ঢাকায় পৌঁছেছে ফাইজারের ১ লাখ ৬২০ ডোজ টিকা। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার উদ্যোগে গঠিত টিকার আন্তর্জাতিক প্ল্যাটফর্ম কোভ্যাক্স থেকে এ টিকা পাওয়া গেছে।
সোমবার রাত ১১টা ২২ মিনিটের দিকে অ্যামিরেটস এয়ারলাইনসের ইকে-৫৮২ ফ্লাইটে এই টিকা হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে এসে পৌঁছায়।
টিকা নিতে বিমানবন্দরে ছিলেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের এমএনসিঅ্যান্ডএএইচ অপারেশনাল প্ল্যানের লাইন ডিরেক্টর ডা. মো. শামসুল হকসহ অন্যান্য কর্মকর্তারা।
এ সময় ডা. শামসুল হক সংবাদমাধ্যমকে বলেন, “১ লাখ ৬২০ ডোজ টিকা এসেছে। এগুলো আমাদের ইপিআইয়ের নির্ধারিত স্টোরেজে নিয়ে রাখা হবে।”
অ্যাস্ট্রাজেনেকার ও সিনোফার্মের পর তৃতীয় টিকা হিসেবে বাংলাদেশে এসেছে ফাইজারের কভিড-১৯ টিকা।
যুক্তরাষ্ট্রের ওষুধ কোম্পানি ফাইজার ও জার্মান জৈবপ্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান বায়োএনটেকের তৈরি এই টিকা ইতিমধ্যে দেশে প্রয়োগের অনুমোদন পেয়েছে।
গত বছরের ২ ডিসেম্বর বিশ্বের প্রথম দেশ হিসেবে যুক্তরাজ্য ফাইজারের টিকা জরুরি ব্যবহারের অনুমতি দেয়। যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডাসহ বিভিন্ন দেশে এখন এই টিকা প্রয়োগ করা হচ্ছে।
গত ১৯ মে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক কোভ্যাক্সের প্রথম চালানে ফাইজারের এক লাখ ৬২০ ডোজ টিকা আসার খবর দেন।
টিকা নিয়ে যাতে রাজনীতি না হয় ও সমবণ্টনের মাধ্যমে ধনী-গরিব সব দেশেই পৌঁছায়— সেই কথা মাথায় রেখে কোভ্যাক্স প্রকল্প তৈরি করে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা।
কিছুদিন আগে ডব্লিউএইচও জানিয়েছে, কোভ্যাক্সের আওতায় ফেব্রুয়ারি থেকে এ পর্যন্ত কমপক্ষে ১২৭টি দেশে ৭ কোটির বেশি ডোজ টিকা পাঠানো হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে প্রত্যন্ত দ্বীপপুঞ্জ, অর্থনৈতিকভাবে বিপর্যস্ত দেশ ও যুদ্ধবিধ্বস্ত অঞ্চল। অন্তত ৩৫টি দেশ শুধুমাত্র কোভ্যাক্সের কল্যাণে কভিড টিকা পেয়েছে। মোট ২০০ কোটি টিকা ডোজ বিতরণের লক্ষ্য রয়েছে এ প্ল্যাটফর্মের। এতে একাধিক কোম্পানির টিকা অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।