বুধবার সকালে জাতীয় প্রেসক্লাবে সাংবাদিক রোজিনা ইসলামের নিঃশর্ত মুক্তি এবং ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের বিচারের দাবিতে আন্দোলনরত সাংবাদিকেদের সঙ্গে সংহতি জানিয়ে ইশরাক হোসেন এসব কথা বলেন।
এ সময় তিনি, দেশের জনপ্রিয় একটি পত্রিকার সিনিয়র একজন নারী সাংবাদিকের ওপর সচিবালয়ে সংঘটিত ঘটনার কড়া সমালোচনা করেন। সেই সঙ্গে, একজন নারী সাংবাদিকের সঙ্গে এমন ঘটনার পরও দেশের নারীবাদীরা এখনো আন্দোলনে নামছেন না কেন বা কেনইবা এত দেরি করেছেন বলে প্রশ্ন তুলে এরও তীব্র সমালোচনা করেন।
তিনি বলেন, রোজিনা ইসলামের মতো একজন সিনিয়র সাংবাদিককে শারীরিক নির্যাতন করা হয়েছে, অদ্ভুত এক মামলা দিয়ে আবার জেলেও পাঠানো হয়েছে, এসব ঘটনায় দেশের নারীবাদীরা কোথায় ছিলেন?
অবিলম্বে সাংবাদিক রোজিনা ইসলামের মামলা প্রত্যাহার করে নিঃশর্ত মুক্তি দাবি করে ইশরাক বলেন, কার কাছে আমাদের এই মুক্তি চাওয়া হচ্ছে, যাদের কাছে চাচ্ছি তারাই তো পরিকল্পিতভাবে গণমাধ্যমের কণ্ঠরোধ করে সাংবাদিকদের ওপর জুলুম নির্যাতনের স্ট্রিম রোলার চালিয়ে আসছেন। সেই নির্যাতনের নতুন করে একটি পার্ট হলেন রোজিনা ইসলাম।
তিনি বলেন, এখনো প্রায় অর্ধশতাধিক সাংবাদিক কারাগারে আছেন। আর দেশ ছেড়েছেন কমপক্ষে আরও অর্ধশতাধিক। এসব করে সরকার তাদের অগণতান্ত্রিক উপায়ে ক্ষমতায় থাকার বিষয়টি পাকা পোক্ত করতে মরিয়া হয়ে উঠেছে বলেও অভিযোগ করে ইঞ্জিনিয়ার ইশরাক।
এ সময় গণতন্ত্র রক্ষায়, স্বাধীন গণমাধ্যম ও বাক্স্বাধীনতা পুনরুদ্ধারের দাবিতে সাংবাদিকদের করা যেকোনো আন্দোলন সংগ্রামে মাঠে থাকার ঘোষণাও দেন তিনি।