Wednesday, July 2, 2025
HomeScrollingমাদারীপুর থেকে অপহৃত শিশু জামালপুরে উদ্ধার ॥ ৪ অপহরণকারী গ্রেফতার

মাদারীপুর থেকে অপহৃত শিশু জামালপুরে উদ্ধার ॥ ৪ অপহরণকারী গ্রেফতার

স্টাফ করেসপন্ডেট, মাদারীপুর।
মাদারীপুরের শিবচর থেকে শিশু রায়হান মুন্সীকে অপহরণের তিন দিন পর জামালপুর থেকে উদ্ধার করা হয়েছে। এসময় ৪অপহরণকারীকে গ্রেফতার করে পুলিশ। শনিবার দুপুরে মাদারীপুর পুলিশ সুপার কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান পুলিশ সুপার গোলাম মোস্তফা রাসেল। পরে আদালতের মাধ্যমে গ্রেফতারকৃতদের জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়।

সংবাদ সম্মেলনে পুলিশ জানায়, গত ২৩ মার্চ জেলার শিবচরের সন্যাসীরচর ইউনিয়নের চরগুপ্তেরকান্দি গ্রামের শাহজাহান মুন্সীর পাঁচ বছর বয়সী ছেলে রায়হানকে বিস্কুট খাওয়ানোর কথা বলে দোকানে নিয়ে যায় স্থানীয় মোহাম্মদ হোসেন ওরফে বিল্লাল মুন্সীসহ কয়েকজন। অনেক খোঁজা-খুঁজির পরেও না পেয়ে ওই দিন রাতে শিবচর থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেন শাহজাহান মুন্সী। এক পর্যায়ে ২৪ মার্চ শাহজাহান মুন্সীর কাছে দশ হাজার টাকা বিকাশে দাবী করেন ছালাম মুন্সী নামে এক ব্যক্তি। পরে ছালাম মুন্সীসহ অজ্ঞাত কয়েকজনকে আসামি করে সেই দিন রাতেই শিবচর থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা দায়ের করেন। এই ঘটনায় বিকাশে দশ হাজার টাকা দেয়া হলে, সেই সূত্র ধরে ঢাকার ডিবির একটি চৌকষ দলের সাথে শিবচর থানা পুলিশের সহযোগিতায় ২৬ মার্চ রাতে জামালপুর সদরের রেল স্টেশন এলাকার একটি রেস্টুরেন্ট থেকে শিশু রায়হান মুন্সিকে অক্ষত উদ্ধার করে। এসময় চার অপহরণকারীকে গ্রেফতার করা হয়। অপহরণকারীরা হলেন, শিবচর উপজেলার সন্যাসীরচর ইউনিয়নের চরগুপ্তেরকান্দি গ্রামের ছালাম মুন্সীর ছেলে মোহাম্মদ হোসেন ওরফে বিল্লাল মুন্সী (২২), একই গ্রামের আল-আমীন ওরফে রাসেল মুন্সি (১৯), ছালাম মুন্সি (৫০) ও শিরিনা আক্তার পারভীন (৪০)। পরে জেলা পুলিশের কাছে অপহরণকারীদের পাঠানো হয়।
উদ্ধার হওয়া শিশুর পিতা শাহজাহান মুন্সি বলেন, ‘আমার শিশু সন্তানকে পুলিশ যেভাবে দ্রুত উদ্ধার করেছে, তাতে আমি খুশি। যারা অপহরণ করেছে তারা আমার আপনজন। মোটা অঙ্কের টাকা দাবী করেছিল। যা আমাদের দিতে হয় নাই। অল্পতেই উদ্ধার করা গেছে। এদের কঠোর বিচার চাই। যেন আগামীতে এমন কাজ করতে না পারে।’
পুলিশ সুপার গোলাম মোস্তফা রাসেল বলেন, ‘অপহরণকারীদের বাড়ি তাদের একই এলাকায়। তারা সম্পর্কে শাহজাহান মুন্সীর চাচাতো ভাই ও নিকট আত্মীয়। প্রাথমিক পর্যায়ে তারা দোষ স্বীকার করেছেন এবং অপহরণকারীদের সাথে জমি-জমা নিয়ে পূর্ব থেকেই বিরোধ ছিল। যে কারণে অপহরণ করেছে বলে ধারণা করা যাচ্ছে। রিমান্ডে নিলে সব তথ্য বেরিয়ে আসবে।’
সংবাদ সম্মেলনে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অপরাধ) মো. আব্দুল হান্নান, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (বিশেষ শাখা) চাইলাউ মারমা, শিবচর থানার ওসি মিরাজ হোসেন প্রমুখ।

 

RELATED ARTICLES
Continue to the category

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

Most Popular

Recent Comments