মাত্র ছয়জন ক্রিকেটার অভিষেক টেস্টে ডাবল সেঞ্চুরি করেছেন। এর মধ্যে কাইল মেয়ার্স একমাত্র ক্রিকেটার, যিনি চতুর্থ ইনিংসে এই কীর্তি গড়লেন।
চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরি স্টেডিয়ামে টস জিতে আগে ব্যাট করতে নেমে মেহেদী হাসান মিরাজের সেঞ্চুরি (১০৩) এবং সাদমান ইসলাম (৫৯), সাকিব আল হাসানের (৬৮) হাফসেঞ্চুরিতে ৪৩০ রান সংগ্রহ করেছিল বাংলাদেশ। প্রথম ইনিংসে ওয়েস্ট ইন্ডিজ গুটিয়ে যায় ২৫৯ রানে।
১৭১ রানের লিড নিয়ে দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাটিংয়ে নামা বাংলাদেশ থামে ২২৩ রানে। তাতে মোট লিড হয় ৩৯৪।
বিশাল রানের টার্গেটে খেলতে নেমে চতুর্থ দিন শেষ বিকেলে তিন উইকেট হারায় ওয়েস্ট ইন্ডিজ। প্রথম ইনিংসে চার উইকেট নেয়া মিরাজ এই তিনটি উইকেট নেন।
অবাক করার বিষয় হলো তৃতীয় দিন যে উইকেটে ভয়ংকর সব টার্ন দেখা গেছে, পঞ্চম দিন তার কিছুই চোখে পড়েনি।নিজেদের অভিষেক টেস্টে খেলতে নামা কাইল মেয়ার্স এবং এনক্রুমা বোনার অনায়াস ব্যাটিংয়ে ২১৬ রানের জুটি গড়েন। এই সময়ে তারা ৪৪২টি বল খেলেছেন!
দিনের মধ্যভাগে কুইকারে এনক্রুমা বোনারকে এলবিডব্লিউর ফাঁদে ফেলেন তাইজুল ইসলাম। তিনি ৮৬ রানে ফিরলেও মেয়ার্স ২১০ রানের অতিমানবীয় এক ইনিংস খেলে দলকে জয়ের দিকে নিতে যেতে থাকেন।
বাংলাদেশ এদিন ক্যাচ ফেলেছে, রিভিউয়ের সুযোগ একাধিকবার নিতে ভুল করেছে। ফিল্ডিংটাও ভালো হয়নি।