এই সময় একটু দেখেশুনে খেতে হবে। আগের মতো যা খুশি খাওয়া চলবে না। কিছু নিয়ম মেনে গ্রহণ করতে হবে দৈনন্দিন খাবার। সেজন্য তেল-চর্বি পরিহার, কাঁচা চিনি না খাওয়া, শর্করা জাতীয় খাবার পরিমিত-আরও কত রকমের নিয়ম বেঁধে দিয়ে করা হয়েছে মাশরাফি-তামিমদের জন্য ‘ডায়েট চার্ট’।
দৈনন্দিন রুটিনও নতুনভাবে সাজানোর পরামর্শ দেওয়া হয়েছে বিসিবির মেডিকেল বিভাগ থেকে। বিসিবির প্রধান চিকিৎসক দেবাশীষ চৌধুরী জানান, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি এবং মানসিক স্বাস্থ্য ঠিক রাখতে ক্রিকেটারদের বেশ কিছু নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। নির্দেশনাগুলো নিয়ম করে নেওয়ার পরামর্শও দেওয়া হয়েছে ক্রিকেটারদের অনলাইন একটি গ্রুপে।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার নির্দেশিকা অনুসরণ করেই ক্রিকেটারদের জন্য অবশ্য পালনীয় চার্ট তৈরি করেছে বিসিবি। করোনাভাইরাসের আক্রমণ থেকে বাঁচতে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা, পরিস্কার-পরিচ্ছন্ন থাকা এবং স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা ছাড়াও রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে জোর দেওয়া হচ্ছে পুষ্টিকর খাবার খাওয়ার ওপর।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলছে, প্রতিদিন নিয়ম করে কমপক্ষে এক ঘণ্টা ব্যায়াম করতে হবে। খোলা মাঠে যেতে না পারলেও বাসার ভেতরে হলেও ব্যায়াম করতে হবে। জাতীয় দলের ট্রেনার ‘ফিটনেস ওয়ার্কে’র নির্দেশিকা আগেই দিয়েছেন। মুমিনুল হক, মাহমুদুল্লাহ, তামিম ইকবালরা জানান, ট্রেনারের দেওয়া নির্দেশনা মেনে নিয়মিত ব্যায়াম করছেন তারা।
এ ব্যাপারে দেবাশীষ চৌধুরীর তালিকা অনুযায়ী ফলমূলের ভেতরে ভিটামিন সি জাতীয় ফল বেশি খাওয়া। লেবু, মালটা, কমলা, নাশপাতি, স্ট্রবেরি, পেঁপে, আনারস ও মৌসুমি ফল, ব্রুকলি, গাজর, শাকসবজি, অ্যাসপারাগাস, পেঁয়াজ, রসুন, আদা, উদ্ভিজ্জ এবং প্রাণিজ প্রোটিন, বাদাম, ফ্রুটস সালাদ, কফি, আইসক্রিম, চকলেট, বিস্কুট ইত্যাদি।
এ ছাড়াও পর্যাপ্ত ঘুমাতে বলছেন বিসিবির এই চিকিৎসক। তিনি জানান, দিনে আট থেকে ১০ ঘণ্টা ঘুমাতে হবে ইমিউনিটি বাড়াতে। পাশাপাশি ধূমপান পরিহার করতে বলা হচ্ছে।