
মোঃ মশিউর রহমান বিপুল, কুড়িগ্রাম।।
কুড়িগ্রামের ভূরুঙ্গামারীতে সিভিল সহকারী জজ আদালতের রায় ও ডিক্রি অনুযায়ী খাস দখলকৃত জমি উচ্ছেদ করে প্রকৃত মালিকদের দখল বুঝিয়ে দেওয়া হয়েছে। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে এলাকায় উত্তেজনা সৃষ্টি হলে পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
মামলা সূত্রে জানা যায়, গৃহ ভঙ্গক্রমে খাস দখল মামলাটি (মামলা নং–৩৪/১৮, অন্য দিং) নিষ্পত্তির পর আদালত জহির উদ্দিন গং-এর পক্ষে ১১/০২/২০২৫ইং তারিখ রায় ঘোষণা করে। আদালতের নির্দেশে নায়েব নাজির মোঃ গোলাম রহমান, নাজির সিভিল কোর্ট কমিশনার ফেরদৌস আলীসহ পুলিশটিম শুক্রবার সকালে মৌজা মাহিগঞ্জ চান্দুনিয়া, জেল নং ৬৩, এসএ খতিয়ান নং ২৪৯, দাগ ৪৮১-এর ২২ শতক জমি দখল বুঝিয়ে দিতে যান।
সরেজমিনে যাওয়ার পর অভিযোগ ওঠে— মন্টু নামের একজন ব্যক্তি আদালতের রায় বাস্তবায়নে বাধা সৃষ্টি করেন। জমি মাপজোকের সময় মন্টুর পক্ষ থেকেও কমিশনারের কাজে বিঘ্ন ঘটানোর চেষ্টা করা হয়।
দায়িত্বরত কর্মকর্তারা বাধা প্রদানকারীদের জানান, “আপনারা যদি আদালতের আদেশ স্থগিত করে আনতেন, তবে এ কার্যক্রম হতো না। যেহেতু কোনো স্থগিতাদেশ নেই, তাই রায় বাস্তবায়ন করতেই হবে।”
এরপরও মন্টুর পক্ষ থেকে উত্তেজনা সৃষ্টি হলে পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। স্থানীয় জনসাধারণ অভিযোগ করে বলেন, “এই জমি ৭ বছর আগে জোর করে দখল করে নেওয়া হয়েছিল। দীর্ঘ মামলা-মোকদ্দমায় উভয় পক্ষের লক্ষ লক্ষ টাকা খরচ হয়েছে।”
পরিস্থিতি আরও উত্তপ্ত হলে উপস্থিত জনতা আদালতের রায় অনুযায়ী মন্টুর ঘরবাড়ি ভেঙে দেয়। এ সময় কমিশনার টিমের সদস্যদের ধাওয়া করার ঘটনাও ঘটে বলে প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান।
উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়লে উপস্থিত পুলিশ সদস্যগণ ঘটনাস্থলের পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। পরে মন্টু ও তার পরিবারের সদস্যদের নিরাপত্তার জন্য পুলিশ পার্শ্ববর্তী বাড়িতে স্থানান্তর করে।
আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর উপস্থিতিতে কমিশনার কর্তৃক ঢোল পিটিয়ে জমির দখল জহির উদ্দিন গং-এর নিকট হস্তান্তর করা হয়।
উচ্ছেদ অভিযানে এলাকাবাসীসহ শত শত মানুষ উপস্থিত ছিলেন।
