ফ্রান্সের রাজধানী প্যারিসে মূল্যস্ফীতি এবং সরকারের নীতির বিরুদ্ধে বড় বিক্ষোভ হয়েছে। তিন সপ্তাহ ধরে চলা ধর্মঘটে ফ্রান্সজুড়ে চলছে তেলের তীব্র সংকট। পাশাপাশি জীবনযাত্রার ব্যয় বৃদ্ধি পাওয়ায় ক্ষোভ বাড়ছে সাধারণ মানুষের মধ্যে। এমন পরিস্থিতিতে রবিবার (১৬ অক্টোবর) বিক্ষোভের ডাক দেয় দেশটির বামপন্থি সংগঠনগুলো। এতে সাড়া দিয়ে এক লাখ ৪০ হাজার মানুষ জড়ো হয় বলে জানিয়েছেন আয়োজকরা। খবর আল-জাজিরা।
খবরে জানানো হয়, মিছিল থেকে জীবনযাত্রার ব্যয় বৃদ্ধি নিয়ে ক্ষোভ দেখান বিক্ষোভকারীরা। ইমানুয়েল ম্যাখো সরকারের নানা ব্যর্থতার কথা তুলে ধরতে দেখা যায় নেতাদের। তারা দ্রুততার সঙ্গে পণ্যের দাম নিয়ন্ত্রণ, জ্বালানি ও খাবারের দাম কমানোর দাবি তোলেন।
অনেক বিক্ষোভকারীকেই ইয়েলো ভেস্ট পরতে দেখা যায়। ২০১৮ সালে ফ্রান্সের সরকারকে কাঁপিয়ে দিয়েছিল এই ‘ইয়েলো ভেস্ট’ আন্দোলনকারীরা।
এদিকে, নতুন করে পরিবহন ধর্মঘট ডাকা হয়েছে। দেশজুড়ে দেখা গেছে গ্যাস ও তেল সংকট। পেট্রোল স্টেশনগুলোতে জ্বালানি নিতে দীর্ঘ লাইনে দাঁড়িয়ে থাকতে হচ্ছে নাগরিকদের। এসবে ক্ষুব্ধ হয়ে রাস্তায় নেমে এসেছে মানুষ। আয়োজকরা এক লাখ ৪০ হাজার মানুষ জড়ো হওয়ার দাবি করেছে। তবে পুলিশ বলছে, এই সংখ্যা ৩০ হাজারের বেশি হতে পারে। এ বছর সাহিত্যে নোবেল পাওয়া লেখক অ্যানি এর্নোও আন্দোলনে যোগ দিয়েছেন।
পার্লামেন্টে সংখ্যাগরিষ্ঠতা হারিয়েছে ইমানুয়েল ম্যাখোর সরকার। ফলে নিজেদের এজেন্ডা বাস্তবায়ন আরও কঠিন হয়ে পড়ছে তার মধ্যপন্থি জোটের জন্য। ফরাসি ইউনিয়নগুলো মঙ্গলবার (১৮ অক্টোবর) সব পরিবহন ও ট্রেন ধর্মঘটের ডাক দিয়েছে। সাম্প্রতিক এসব ধর্মঘট এবং আন্দোলনকে নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছে ফ্রান্স সরকার।
ফ্রান্সের সাতটি শোধনাগারের মধ্যে চারটিই বন্ধ রয়েছে। এগুলো প্যারিসভিত্তিক জ্বালানি গ্রুপ টোটালএনার্জির অন্তর্গত। ফ্রেঞ্চ কোম্পানিটি শুক্রবার ঘোষণা করেছে যে, তারা তাদের শোধনাগারের কর্মীদের প্রতিনিধিত্বকারী দুটি বৃহত্তম ইউনিয়নের সাথে একটি বেতন চুক্তিতে পৌঁছেছে, এতে স্থবিরতার অবসান ঘটাবে বলে আশা করছে। কিন্তু সিজিটি ইউনিয়ন চুক্তিটি গ্রহণ করতে অস্বীকার করেছে।