সোমবার সংসদ অধিবেশনে তিনি বলেন, ভারত কেন চুক্তির বরখেলাপ করল? ২০ লাখ মানুষ এক ডোজ টিকা পেয়ে রাস্তায় রাস্তায় ঘুরছেন।
হারুনুর রশীদ বলেন, কবে করোনার টিকা কার্যক্রম শুরু হবে, সেটা স্পষ্টভাবে জানাতে হবে।
তিনি বলেন, প্রয়োজনে টিকা আনা উন্মুক্ত করে দিতে হবে। কিন্তু সজাগ থাকতে হবে। বিগত সময়ে প্রধানমন্ত্রীর একজন উপদেষ্টার কোম্পানি টিকা এনেছে।
অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার উদ্ভাবিত ভারতের সেরাম ইনস্টিটিউটে উৎপাদিত এ টিকা দেশে আনার বিষয়ে গত নভেম্বর বাংলাদেশ সরকার, ভারতের সেরাম ইনস্টিটিউট ও সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান বেক্সিমকো ফার্মার সঙ্গে ত্রিপক্ষীয় চুক্তি হয়। অগ্রিম টাকাও পরিশোধ করে বাংলাদেশ।
চুক্তি অনুসারে ৩ কোটি ডোজের প্রতিমাসে ৫০ লাখ ডোজ করে বাংলাদেশের পাওয়ার কথা থাকলেও এখন পর্যন্ত ৭০ লাখ টিকা এসেছে। নরেন্দ্র মোদি সরকার টিকা রপ্তানিতে নিষেধাজ্ঞা দিলে সরবরাহ বন্ধ করে দেয় সেরাম।
দেশে গত ৭ ফেব্রুয়ারি দেশে টিকাদান কার্যক্রম শুরু হয়। অগ্রিম টাকা নিয়েও সেরাম চুক্তি অনুযায়ী প্রতিশ্রুত টিকা সরবরাহ না করায় শেষ পর্যন্ত টিকা সংকটে বন্ধ হয়ে যায় টিকাদান কর্মসূচি।
কেনা টিকার জন্য ভারতের সর্বোচ্চ পর্যায়ে যোগাযোগ করেও ব্যর্থ হয় বাংলাদেশ। চুক্তিতে দায়মুক্তি দিয়ে রাখায় সেরাম ইনস্টিটিউটের বিরুদ্ধে মামলা করারও সুযোগ নেই।
বিকল্প উৎস না রাখায় সমালোচনার মুখে সরকার টিকার জন্য যুক্তরাষ্ট্র, চীন ও রাশিয়ার দ্বারস্থ হয়। তড়িঘড়ি করে চীনের সিনোফার্ম ও সিনোভ্যাক, রাশিয়ার স্পুৎনিক-ভি, যুক্তরাষ্ট্রের ফাইজারের টিকার জরুরি ব্যবহারের অনুমোদন দেয় ঔষধ প্রশাসন।