ফিলিস্তিনিদের ওপর ইসরায়েল যেভাবে হত্যাযজ্ঞ শুরু করেছে, তার বিরুদ্ধে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদ যুক্তরাষ্ট্রের কারণে প্রতিবাদ করতে পারছে না বলে দাবি করেছে চীন।
মঙ্গলবার দেয়া একটি বিবৃতিতে চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, তারা কার্যকর যুদ্ধবিরতি দেখতে চায়।
মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র বলেন, ‘ফিলিস্তিন-ইসরায়েল ইস্যুতে যুক্তরাষ্ট্র যা করছে, তা হতাশাজনক। ফিলিস্তিনের মানুষ যখন নির্যাতিত হচ্ছে, তখন কি যুক্তরাষ্ট্র মানবাধিকার দেখতে পাচ্ছে না, নাকি এটা তাদের নিজেদের স্বার্থ রক্ষার অজুহাত?’
তিনি বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্র নিরাপত্তা পরিষদ থেকে নজিরবিহীনভাবে বিচ্ছিন্ন হয়ে আছে। তারা মানব জাতির বিবেক এবং নৈতিকতার বিরোধিতা করছে।’
গাজায় ইসরায়েলি বিমান ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় এবং গোলাবর্ষণে এখন পর্যন্ত ১৯২ জন নিহত হয়েছেন। নিহতদের মধ্যে ৫৮ শিশু ও ৩৪ নারী রয়েছেন। এছাড়া পশ্চিম তীরে বিক্ষোভে গুলি চালিয়ে ১১ ফিলিস্তিনিকে হত্যা করা হয়েছে।
হত্যাযজ্ঞের মধ্যে জাতিসংঘের ১৫ সদস্যের নিরাপত্তা কাউন্সিল বৈঠকে বসলেও আনুষ্ঠানিক কোনো বিবৃতিতে সম্মত হতে পারেনি। বৈঠকের পর কেউ এ নিয়ে মুখ খোলেনি।
বিবিসি বলছে, ইসরায়েলের ঘনিষ্ঠ মিত্র যুক্তরাষ্ট্র এগিয়ে আসেনি। কারণ তারা মনে করছে যে এটি দুই দেশের কূটনৈতিক প্রক্রিয়াকে প্রভাবিত করতে পারে।
রবিবারের বৈঠকে মার্কিন রাষ্ট্রদূত লিন্ডা থমাস-গ্রিনফিল্ড বলেন, ‘সব পক্ষ যদি অস্ত্র-বিরতি চায়’ তাহলে তাতে সমর্থনে প্রস্তুত রয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।
এছাড়া সংঘাত নিরসনে তারা নিরলস পরিশ্রম করে যাচ্ছে বলেও জানান তিনি।