কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, দেশটির শিয়া মুসলিম নেতা মুক্তাদা আল-সদর রাজনীতি ছেড়ে অবসরে যাওয়ার ঘোষণা দেওয়ার পর তার অনুগত বিক্ষোভকারীরা রাষ্ট্রপতির ভবনে হামলা চালায়। প্রতিদ্বন্দ্বী গোষ্ঠীগুলোর সঙ্গে লড়াইয়ে জড়িয়ে পড়লে ২০-২৫ জনের মতো আহত হন।
আল-সদর রাজনীতি থেকে অবসর নেওয়ার ঘোষণার পরই এই বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে।
ইরাকের তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধানমন্ত্রী বিক্ষোভকারীদের শান্ত থাকার আহ্বান জানিয়েছেন। কয়েকটি শহরে বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ায় দেশব্যাপী কারফিউ জারি করার ঘোষণা দিয়েছেন।
বিবিসির খবরে বলা হয়, রাতারাতি রাজপথে সংঘর্ষ শুরু হয়ে যায়। সোমবার রাতে মেশিনগানের গুলি ও বিস্ফোরণের শব্দ শোনা যায়। এ রাতে গত কয়েক বছরের মধ্যে সবচেয়ে মারাত্মক লড়াই প্রত্যক্ষ করে বাগদাদ।
ট্রেসারের আলোয় বাগদাদের গ্রিন জোনের আকাশ আলোকিত হয়ে ওঠে। এই গ্রিন জোনেই ইরাকের মন্ত্রণালয়গুলোর সদর দপ্তর ও বিদেশি দূতাবাসগুলোর অবস্থান।
নিরাপত্তা কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, কিছু সংঘর্ষ সদরের অনুগত শান্তি ব্রিগেড নামে একটি মিলিশিয়া বাহিনী ও ইরাকি সামরিক বাহিনীর সদস্যদের মধ্যে হয়েছিল।
সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করা ভিডিওগুলোতে দেখা যায়, কিছু যোদ্ধাদের রকেটচালিত গ্রেনেড (আরপিজি)সহ ভারী অস্ত্র ব্যবহার করছেন।
ইরাকে সহিংসতা দেখা দেওয়ায় দেশটির সঙ্গে সীমানা বন্ধ করে দিয়েছে ইরান। অন্যদিকে কুয়েত তার নাগরিকদের অবিলম্বে ইরাক ছেড়ে যাওয়ার আহ্বান জানিয়েছে।
আল-সদর জানিয়েছেন, একটি দুর্নীতিগ্রস্ত ও ক্ষয়িষ্ণু শাসন ব্যবহার সংস্কারে অন্যান্য শিয়া নেতা ও দলগুলোর ব্যর্থতার প্রেক্ষিতে এ সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
সব পক্ষের অস্ত্র ব্যবহারের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানিয়ে তিনি অনশন ধর্মঘট করবেন বলেও জানান।