Saturday, April 27, 2024
HomeScrollingহাসপাতালে রোগীর চাপ, বড় উৎসব ঘিরে যুক্তরাষ্ট্রে উদ্বেগ

হাসপাতালে রোগীর চাপ, বড় উৎসব ঘিরে যুক্তরাষ্ট্রে উদ্বেগ

থ্যাংকসগিভিং ডে উপলক্ষে লাখ লাখ আমেরিকানের ভ্রমণের পর করোনার প্রাদুর্ভাব নতুন করে চিন্তায় ফেলেছে কর্তৃপক্ষকে। রবিবার টানা ২৭তম দিনে ১ লাখ নতুন রোগী শনাক্ত হয়েছে।

জন্স হপকিন্স ইউনিভার্সিটির বরাত দিয়ে সিএনএন জানায়, এ দিন ১ লাখ ৯ হাজার ৬৭১টি নতুন কেস পাওয়া যায়, মারা যায় ৭৩১ জন।

ধারণা করা হচ্ছে, ব্যাপক পরিমাণ ভ্রমণের কারণে সংক্রমণের তীব্রতা বেড়েছে। যার কারণে সংকটে পড়েছে হাসপাতালগুলো। রবিবার রেকর্ড ৯৩ হাজার ২৩৮ জন ভর্তি হয় হাসপাতালে, যা আগের দিনে রেকর্ড তৈরি করা ৯১ হাজার ৬৩৫ জন থেকে দুই হাজার বেশি।

এ নিয়ে তৃতীয়বার ৯০ হাজারের ওপর কভিভ-১৯ রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে। বৃহস্পতিবার এ সংখ্যা ছিল ৯০ হাজার ৪৮১ জান, শুক্রবার নেমে আসে ৮৯ হাজার ৮৩৪-এ। রোগী বৃদ্ধির জন্য থ্যাংকসগিভিং উৎসবকে দায়ী করা হচ্ছে।

এ বিষয়ে ইমার্জেন্সি মেডিসিন ফিজিশিয়ান ডা. মেগান রনে বলেন, ৫০টি রাজ্যে একই সময়ে প্রাকৃতিক দুর্যোগের মতো আঘাত হেনেছে করোনা। এর জন্য হাসপাতালে যথেষ্ট বেড ও কর্মী নেই। জাতীয়ভাবে প্রস্তুতির অভাবও রয়েছে, যথেষ্ট সরবরাহ নেই।

থ্যাংকসগিভিং-এর ছুটি শেষে লাখ লাখ ভ্রমণকারী ঘরে ফেরার প্রেক্ষাপটে আমেরিকার সংক্রমণ বিষয়ক শীর্ষ রোগ বিশেষজ্ঞ অ্যান্থনি ফাউচি করোনার সংক্রমণ তীব্রভাবে বেড়ে যাওয়ার বিষয়ে হুঁশিয়ার করেন।

ফক্স নিউজকে তিনি বলেন, ভ্রমণের কারণে করোনার সংক্রমণ নিশ্চিতভাবেই তীব্র হতে চলেছে। আগামী দু-তিন সপ্তাহে আমরা সম্ভবত করোনাভাইরাসের সংক্রমণ তীব্র থেকে তীব্রতর হতে দেখবো।

থ্যাংকসগিভিং উপলক্ষে আমেরিকানদের ভ্রমণে নিরুৎসাহিত করা হলেও রবিবারকে ধরা হচ্ছে, মহামারি পরিস্থিতির মধ্যে বিমান ভ্রমণের জন্য সবচেয়ে ব্যস্ত দিন।

তবে উৎসব কেন্দ্রিক চলাফেরার পুরো ফলাফল জানা যাবে আরও পরে। চিকিৎসকেরা বলছেন, এ মুহূর্তে যারা হাসপাতালে ভর্তি হচ্ছেন তারা দুই সপ্তাহ বা এর আগে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন।

এ দিকে ডিসেম্বরের শেষে আসছে বড় দুই উৎসব খ্রিষ্টান ধর্মাবলম্বীদের বড়দিন ও নববর্ষ। ওই সময়ের লম্বা ছুটি নিয়ে চিন্তায় আছেন অনেকে। এর মধ্যে কিছু কিছু স্থানে সবাইকে বাড়িতে থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

ওয়ার্ল্ডোমিটারের হিসেব অনুযায়ী, মহামারির শুরু থেকে এ পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্রে করোনায় ২ লাখ ৭৩ হাজারের বেশি মানুষ মারা গেছে। আক্রান্ত ছাড়িয়েছে ১ কোটি ৩৭ লাখের বেশি।

RELATED ARTICLES
Continue to the category

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

Most Popular

Recent Comments