প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে কারচুপি হয়েছে বলে ডোনাল্ড ট্রাম্প যে অভিযোগ করেছেন তাকে পাত্তা দিতে নারাজ আন্তর্জাতিক একটি পর্যবেক্ষক মিশন।
দ্য অর্গানাইজেশন ফর সিকিউরিটি অ্যান্ড কো-অপারেশন ইন ইউরোপ বা ওএসসিই নামে সংস্থাটি বলেছে, ‘কভিড-১৯ এর কারণে নানা ধরনের চ্যালেঞ্জ সত্ত্বেও নির্বাচনটি প্রতিযোগিতামূলক এবং ভালভাবে পরিচালিত হয়েছে।’
‘একই সাথে নির্বাচনী প্রচারণায় গভীর রাজনৈতিক মেরুকরণ নীতিগত বিতর্ককে আড়াল করে ফেলেছে এবং পদ্ধতিগত কারচুপির ভিত্তিহীন অভিযোগকে সামনে নিয়ে এসেছে’
প্রাথমিকভাবে পাওয়া তথ্য নিয়ে দেয়া বিবৃতিতে ওএসসিই মিশন বলেন, ‘পদ্ধতিগত ত্রুটি নিয়ে ভিত্তিহীন অভিযোগ, বিশেষ করে বর্তমান প্রেসিডেন্টের কাছ থেকে- তাও আবার নির্বাচনের রাতে- এ ধরনের বিষয়গুলো গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠান নিয়ে জনগণের আস্থাকে ক্ষতিগ্রস্ত করে।’
বিবিসি জানিয়েছে, বৃহস্পতিবারের ভোটের আগে পোস্টাল এবং আগাম ভোট নিয়ে শত শত মামলা হয়েছে। ব্যালট পোস্ট করা এবং রিসিভ করার সময়সীমা এবং প্রত্যক্ষদর্শীর স্বাক্ষর থাকার বিষয়গুলো নিয়েই এই মামলাগুলো হয়েছে।
রিপাবলিকান নিয়ন্ত্রিত রাজ্যগুলো বলছে, জালিয়াতি কমিয়ে আনার জন্য বিধিনিষেধ আরোপের দরকার ছিল। অন্যদিকে ডেমোক্র্যাটরা বলছে, সেগুলো ছিল নাগরিক অধিকার চর্চায় বাধা দেয়ার চেষ্টা।
নির্বাচনের রাতে ডোনাল্ড ট্রাম্প তার বক্তব্যে ভোটকে আমেরিকান জনগণের ওপর একটি প্রতারণা বলে উল্লেখ করেছিলেন।
নির্বাচনে উত্তরাঞ্চলের ব্যাটল গ্রাউন্ড হিসেবে পরিচিত মিশিগান ও উইসকনসিনে জেতার পর কমলাদের ইলেক্টোরাল কলেজ ভোট ২৬৪-তে পৌঁছেছে। ট্রাম্পের ইলেক্টোরাল ভোটের সংখ্যা ২১৪। মোট ৫৩৮টি ইলেক্টোরাল কলেজ ভোটের মধ্যে প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হতে প্রয়োজন ২৭০টি।