মাদারীপুরের গাছাবাড়ীয়ায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে বাড়ি থেকে ধরে নিয়ে লুৎফর হাওলাদার নামে একজনকে কুপিয়ে হত্যা করার অভিযোগ উঠেছে একই এলাকার লালমিয়া মাতুব্বরের দলের বিরুদ্ধে।
ঘটনাটি ঘটেছে বৃহস্পতিবার সকালে মাদারীপুর সদর উপজেলার পেয়ারপুর ইউনিয়নের গাছাবাড়ীয়া এলাকায়।
নিহত লুৎফর হাওলাদার একই এলাকার চোকিদার দলের ইদ্রিস হাওলাদারের ছেলে।
স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, গাছাবাড়ীয়া এলাকায় দীর্ঘদিন ধরে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে লালমিয়া মাতুব্বর ও ইদ্রিস চোকিদারের দুই গ্রুপের মধ্যে হামলা, মামলা, হত্যা, সংঘর্ষ, বাড়িঘর ভাঙচুর হয়ে আসছে।
এই ব্যাপারে দুপক্ষে মামলাসহ পুলিশ বাদী হয়েও মামলা করার তথ্য রয়েছে।
কিছুদিন আগেও বাড়িঘর ভাঙচুর লুটের ঘটনা ঘটেছে। এরপর থেকেই গাছবাড়ীয়া এলাকা পুরুষশূন্য হয়েছে। আর এই সুযোগে লালমিয়া মাতুব্বরের লোকজন সকালে অতর্কিত হামলা চালিয়ে প্রথমে হান্নান ব্যাপারীর বাড়ি ভাঙচুর চালায়। এরপর আশপাশের একাধিক বাড়ি ভাঙচুর ও লুটপাট চালায়।
তবে এর আগেই লুৎফর হাওলাদারকে বাড়ি থেকে ধরে নিয়ে কুপিয়ে হত্যা করে ধানের জমির পানির মধ্য ফেলে রেখে যায় বলে অভিযোগ ভুক্তভোগী পরিবারের।
নিহত লুৎফর হাওলাদারের বোন নিলু বেগম বলেন, সকালে হঠাৎ করে হামলা চালিয়েছে আমাদের বাড়িসহ একাধিক বাড়ি। লুৎফর ভাই একা ঘরে ঘুমিয়ে ছিল। সহিদ মাতুব্বর, তৈয়া, বাসার, পলাশসহ ঐ গ্রুপের আরও অনেক মানুষ এসে আমার ভাইকে ধরে নিয়ে কুপিয়ে হত্যা করেছে।
নিহত লুৎফর হাওলাদারের ছোট ভাই সুমন বলেন, এলাকায় সংঘর্ষের ঘটনার পর থেকে এলাকায় সবাই পালিয়ে বেড়াচ্ছে। বৃহস্পতিবার সকালে প্রথমে হান্নান ব্যাপারীর বাড়ি ভাঙচুর করে লুট করে। কিন্তু এর আগে রাতে আমার ভাইকে ঘর থেকে ধরে নিয়ে পিটিয়ে, কুপিয়ে সহিদ ও তৈয়া ও বাসারসহ কয়েকজন মিলে হত্যা করেছে। আধিপত্য ছাড়াও জমির বিরোধ নিয়ে সহিদ তৈয়ার সালিস না মানায় আরও ক্ষিপ্ত হয়ে আমার ভাইকে বাড়ি থেকে ধরে নিয়ে হত্যা করেছে।
মাদারীপুর পুলিশ সুপার মোহাম্মাদ মাহবুব হাসান বলেন, আমরা বাড়ির পাশ থেকে একটি লাশ উদ্ধার করেছি। লাশটি ময়নাতদন্তের জন্য সদর হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করেছি। লাশের গায়ে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে।