Saturday, May 4, 2024
HomeScrollingদেশে তো প্রতিবছরই বন্যা হয়, ঢাকায়ও পানি ওঠে: তথ্যমন্ত্রী

দেশে তো প্রতিবছরই বন্যা হয়, ঢাকায়ও পানি ওঠে: তথ্যমন্ত্রী

বন্যায় সরকারি উদ্যোগের সমালোচনা করে বিএনপি নেতাদের মন্তব্যের প্রেক্ষিতে তথ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, ‘বন্যার পানি কি বাংলাদেশে এই প্রথম এলো! দেশে তো প্রতি বছরই বন্যা হয়, ঢাকা শহরেও প্রতিবছর পানি ওঠে। বিএনপি যখন ক্ষমতায় ছিল যখন বুঝি বন্যা হয় নাই?’

মন্ত্রী ’৯১ সালের ঘুর্ণিঝড় ও ২০০৪ সালের বন্যার কথা উল্লেখ করে বলেন, ‘২০০৪ সালের বন্যায় বিএনপি’র অর্থমন্ত্রী সাইফুর রহমানসহ বহু মন্ত্রী-নেতার বাড়ির চারপাশে নোংরা পানি ছিল। এবং তারা গুলশান লেক সংস্কার করতে ব্যর্থ হয়েছিল বলেই তা ঘটেছিল।’

হাছান মাহমুদ বলেন, ‘অবান্তর কথা বলা বিএনপি’র অভ্যাসে পরিণত হয়েছে, অবান্তর কথা না বলে তারা বন্যার্তদের পাশে দাঁড়ালে বরং জনগণ উপকৃত হবে।’

তথ্যমন্ত্রী বুধবার দুপুরে সচিবালয়ে তথ্য মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এসব বলেন।

তিনি বলেন, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক পদত্যাগ করায় আমি তাকে ধন্যবাদ জানাই। কারণ স্বাস্থ্য অধিদপ্তর নিয়ে জনমনে অনেক অসন্তুষ্টি তৈরি হয়েছিল, বিশেষ করে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের কর্তাব্যক্তিদের নিয়ে। সেই প্রেক্ষাপটে আমি মনে করি, তার পদত্যাগ স্বাস্থ্য অধিদপ্তরকে ঢেলে সাজানোর ক্ষেত্রে ইতিবাচক ভূমিকা পালন করবে।

নামসর্বস্ব পত্রিকা ও সাংবাদিক নামধারীদের বিরুদ্ধে সরকার কোনো ব্যবস্থা নেবে কি না-এ প্রশ্নের জবাবে তথ্যমন্ত্রী এ দেশের সাংবাদিকদের অত্যন্ত মেধাবী, প্রাজ্ঞ এবং সুলেখক হিসেবে বর্ণনা করে বলেন, তাদের রিপোর্টিং সমাজের তৃতীয় নয়ন খুলে দিতে পারে, ভাষাহীনকে ভাষা দিতে ও ক্ষমতাহীনকে ক্ষমতাবান করতে পারে, যা অনেক সাংবাদিক নিষ্ঠার সঙ্গে করে আসছেন।

তবে তিনি বলেন, ‘কিছু সাংবাদিক পরিচয়ধারী, যারা আসলে সাংবাদিক নয়, তাদের কারণে পুরো সাংবাদিক সমাজের বদনাম হতে পারে না। এটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এ নিয়ে আমরা কাজ শুরু করেছি, যেখানে সাংবাদিক ভাইদের, সাংবাদিক ইউনিয়ন এবং সাংবাদিকদের অন্যান্য সংগঠনসহ সবার সহযোগিতা প্রয়োজন।’

মন্ত্রী বলেন, যেহেতু এ অব্যবস্থা এক দিনে হয়নি, দশকের পর দশক ধরে হয়ে আসছে, এটি ঠিক করতেও কিছুটা সময় লাগবে।

এর আগে তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ আমেরিকান চেম্বার অব কমার্স ইন বাংলাদেশের (অ্যামচ্যাম) এর পক্ষ থেকে ‘অ্যামচ্যাম কোভিড-১৯ ফ্রন্টলাইন অ্যাওয়ার্ড’ প্রদানের ঘোষণাদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে অনলাইনে যুক্ত হন।

মন্ত্রী তাদের এ উদ্যোগের প্রশংসা করে বলেন, ‘করোনা মহামারির মধ্যেও যেসব সাংবাদিক, ডাক্তার, স্বাস্থ্যকর্মী, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী, মাঠ প্রশাসন সদস্যসহ যারা জীবন হাতে নিয়ে কাজ করে চলেছেন, এবং যারা এই সেবা দিতে গিয়ে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েছেন, তাদের পুরষ্কৃত করার এই উদ্যোগকে আমি অভিনন্দন জানাই।’

হাছান মাহমুদ তার বক্তৃতায় ভবিষ্যতে মহামারি মোকাবিলায় যাতে মানুষ এবারের মতো অসহায় হয়ে না পড়ে, সে জন্য প্রস্তুতির ওপর জোর দেন।

তিনি বলেন, আমাদের বৈশ্বিকভাবে ভাবতে হবে এবং সেই লক্ষ্যে কাজ করতে হবে যাতে আমাদের উদ্যোগ, গবেষণা ও মনোনিবেশের অভাবে আর কোনো মারাত্মক মহামারি মোকাবিলায় আমরা অসহায় না হয়ে পড়ি।

অ্যামচ্যাম প্রেসিডেন্ট সৈয়দ এরশাদ আহমেদের সভাপতিত্বে ভিডিও কনফারেন্সে ঢাকায় মার্কিন দূতাবাসের উপপ্রধান জো-অ্যান ওয়াগনার, অ্যামচ্যামের ভাইস প্রেডিসেন্ট সৈয়দ মো: কামাল ও আমন্ত্রিত অতিথিরা অনলাইনে যোগ দেন।

খবর: বাসস।

RELATED ARTICLES
Continue to the category

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

Most Popular

Recent Comments