দুই দিনের সফরে বাংলাদেশে আসা কাতারের আমির শেখ তামিম বিন হামাদ আল থানির সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বৈঠক হবে আজ। মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) সকালে তাদের মধ্যে বৈঠকটি হবে। সেখানে বাংলাদেশের সঙ্গে কাতারের ১১টি চুক্তি এবং সমঝোতা স্মারক সই হতে পারে। এর মধ্যে ছয়টি চুক্তি ও পাঁচটি এমওইউ রয়েছে।
চুক্তিগুলোর মধ্যে ব্যবসা ও বিনিয়োগ বৃদ্ধি, বন্দিবিনিময়, দ্বৈত কর প্রত্যাহার ও শুল্ক বিষয়ে পারস্পরিক সহযোগিতা-এসব চুক্তি চূড়ান্ত আছে৷ এর বাইরে বাংলাদেশ থেকে কাতারে জনশক্তি রফতানি, ধর্মীয় বিষয়ে সহযোগিতা, বন্দর ব্যবস্থাপনায় কাতারের প্রতিষ্ঠান মাওয়ানির সংযুক্তি, উচ্চশিক্ষায় সহযোগিতা ও কূটনীতিকদের প্রশিক্ষণের বিষয়ে সমঝোতা স্মারক সই হতে পারে৷
কাতারের আমিরের এই সফরে জ্বালানি নিরাপত্তার জন্য বাংলাদেশ খুবই গুরুত্ব দিচ্ছে৷ বিশেষ করে মধ্যপ্রাচ্যে এখন হামাস-ইসরায়েল এবং ইসরায়েল-ইরান যে সংকট চলছে তার প্রেক্ষাপটে এটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ৷
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছেন, ‘আমাদের দেশে এনার্জির মজুত আরও বাড়ানোর ক্ষেত্রে এবং এনার্জি সিকিউরিটি নিশ্চিত করার ক্ষেত্রে আমি মনে করি এই সফর অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে৷’
মঙ্গলবার বিকেলে রাষ্ট্রপতির সঙ্গে বঙ্গভবনে সৌজন্য সাক্ষাৎ করবেন কাতারের আমির। এরপর সন্ধ্যায় বিশেষ বিমানযোগে ঢাকা ত্যাগ করবেন তিনি।
দুই দিনের সফরে গতকাল বিকেলে বাংলাদেশে আসেন শেখ তামিম বিন হামাদ আল-সানি। বিকেল ৫টার দিকে তিনি হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছালে তাকে ফুলের তোড়া দিয়ে স্বাগত জানান রাষ্ট্রপতি সাহাবুদ্দিন। বিমানবন্দরে তাকে জানানো হয় লালগালিচা সংবর্ধনা।
আমির ও তার সফরসঙ্গীদের বহনকারী কাতার এয়ারওয়েজের একটি বিশেষ বিমান বিকেল ৫টার দিকে বিমানবন্দরে অবতরণ করে। বিমানবন্দরে আমিরের অবতরণের সময় ২১ বার তোপধ্বনি করা হয়।
এরপরে আমিরকে অস্থায়ী অভিবাদন মঞ্চে নিয়ে যাওয়া হয়। তাকে রাষ্ট্রীয় সম্মানের অংশ হিসেবে গার্ড অব অনার দেওয়া হয়। এ সময় দুই দেশের জাতীয় সঙ্গীত বাজানো হয়। পরে কাতারের আমির প্যারেড পরিদর্শন করেন।
পরে রাষ্ট্রপতি সাহাবুদ্দিন কাতারের আমিরকে প্রেজেন্টেশন লাইনে অপেক্ষমাণদের সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দেন এবং আমিরও তার প্রতিনিধিদের সাথে রাষ্ট্রপতিকে পরিচয় করিয়ে দেন।
মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান, পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ, প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী শফিকুর রহমান চৌধুরী, বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী মো. নসরুল হামিদ বিপু, তিন বাহিনীর প্রধানগণ, প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব, পররাষ্ট্র সচিব, রাষ্ট্রপতি কার্যালয়ের সংশ্লিষ্ট সচিবগণ এবং ঊর্ধ্বতন সামরিক ও বেসামরিক কর্মকর্তারা সেখানে উপস্থিত ছিলেন।