Saturday, May 4, 2024
HomeScrollingকাতার কেন সারাবিশ্বে গুরুত্বপূর্ণ?

কাতার কেন সারাবিশ্বে গুরুত্বপূর্ণ?

মধ্যপ্রাচ্যের দেশ কাতার। উপসাগরীয় ক্ষুদ্র দেশটি বিশ্বের এক বিস্ময়কর অর্থনৈতিক শক্তি। বাংলাদেশের তুলনায় প্রায় ১৩ গুণ ছোট দেশটি বর্তমানে ১০ শীর্ষ ধনী দেশের একটি। আয়তনে মাত্র ১১ হাজার ৫৮১ বর্গকিলোমিটার। কাতারও স্বাধীনতা লাভ করেছিলো ১৯৭১ সালে, গ্রেট ব্রিটেনের কাছ থেকে। এখন বিশ্বের প্রতিটি দেশেই রয়েছে কাতার সরকারের আর্থিক বিনিয়োগ। এছাড়া গগনচুম্বী অট্টালিকা, শপিং মল আর বিলাসবহুল গাড়িতে ভরপুর কাতার। সবচেয়ে বড় প্রাপ্তি হলো- সবার সঙ্গে বন্ধুত্বে বিশ্বাসী দেশটি সারাবিশ্বের কাছে গুরুত্বপূর্ণ ও বিশ্বাসযোগ্য স্থানে পরিণত হয়েছে।

অর্থনীতি ও বিনিয়োগ
পেট্রোলিয়াম এবং প্রাকৃতিক গ্যাস হলো কাতারের অর্থনীতির ভিত্তি। কাতারে বিশ্বের তৃতীয় বৃহত্তম প্রমাণিত প্রাকৃতিক গ্যাস রিজার্ভ রয়েছে এবং দেশটি প্রাকৃতিক গ্যাসের দ্বিতীয় বৃহত্তম রপ্তানিকারক। কাতারের বিশাল আয়কৃত অর্থ কাজে লাগানোর জন্য গঠন করা হয়েছে ‘কাতার ইনভেস্টমেন্ট অথোরিটি’। এই প্রতিষ্ঠানের কাজ হচ্ছে কাতারের আয়কৃত অর্থ দেশ-বিদেশের লাভজনক ব্যবসায় বিনিয়োগ করা। কাতার ইনভেস্টমেন্ট অথোরিটি ৪০টিরও বেশি দেশে ৪০০ বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ করেছে। যুক্তরাষ্ট্রে বিদেশি বিনিয়োগকারী রাষ্ট্রের তালিকায় কাতারের অবস্থান চার নম্বরে। জার্মানির ফোক্সওয়াগেন, বারক্লেইস ব্যাংক, এমনকি রাশিয়া সরকারের তেল কোম্পানি ‘রসনেফট’-এর বিরাট অংশও কাতারের মালিকানাধীন। লন্ডন শহরে ইংল্যান্ডের রানির চেয়েও বেশি সম্পদ আছে এই প্রতিষ্ঠানের। এসব সম্পদের মধ্যে রয়েছে অফিস বিল্ডিং, হোটেল, অ্যাপার্টমেন্টসহ নানা ধরনের রিয়েল এস্টেট প্রজেক্ট। লন্ডন শহরের শীর্ষ ১৫টি আকাশচুম্বী অট্টালিকার ৩৪ শতাংশ কাতারের মালিকানাধীন।

এছাড়া ব্রিটিশ এয়ারওয়েজ এবং লন্ডনের হিথ্রো বিমানবন্দরের ২০ শতাংশের মালিক কাতার ইনভেস্টমেন্ট অথোরিটি। এমনকি রাশিয়ার সেন্ট পিটার্সবার্গ এয়ারপোর্টেরও ২৫ শতাংশের মালিক তারা। কাতার এয়ারলাইন্স পৃথিবীর অন্যতম সেরা এয়ারলাইন্সের স্বকৃীতি পেয়েছে। এই খাত থেকে প্রচুর আয় করে দেশটি। এছাড়া আল জাজিরা সহ একাধিক চ্যানেল রয়েছে দেশটির। এসব খাত থেকেও বেশ লভ্যাংশ আসে তাদের। ২০২২ ফিফা বিশ্বকাপ ফুটবলেরও আয়োজক ছিল দেশটি।

বিদেশি বিনিয়োগের পাশাপাশি দেশের অভ্যন্তরেও সড়ক ব্যবস্থা, এয়ারপোর্ট, বন্দর, গবেষণা কেন্দ্র আর বাণিজ্য কেন্দ্র তৈরিতে প্রচুর বিনিয়োগ করেছে কাতার সরকার। বিভিন্ন দেশের সাথে শুধু ব্যবসা-বাণিজ্য নয়, শিক্ষা খাত, প্রতিরক্ষা খাত, জনশক্তি আমদানিতেও প্রচুর বিনিয়োগ রয়েছে কাতারের।

বিশ্বে কাতারের গুরুত্ব
সারাবিশ্বে কাতারের গুরুত্ব রয়েছে। বিশেষ করে যুদ্ধ, বন্দিমুক্তিসহ যেকোনো কঠিন সমস্যাগুলোতে কাতার যেন ত্রাণকর্তা হিসেবে আবির্ভূত হয়। কাতার মানেই যেন সংকটের সমাধান। সারাবেশ্বের অনেক ধনী দেশকে ছাপিয়ে বিশেষ করে মধ্যপ্রাচ্যে কাতারই সংকট সমাধান ও আলোচনার উদ্যোক্তা দেশ হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেছে।

ইউক্রেন থেকে শুরু করে লেবানন, সুদান, ইরান, আফগানিস্তান এবং ফিলিস্তিনের গাজা সংকটে মধ্যস্থতা করেছে কাতার। ২০১৭ সালে সিরিয়ার গৃহযুদ্ধের সময় ইরাকে আটক জিম্মিদের মুক্তির বিষয়ে সমঝোতায় সাহায্য করেছিল। ২০১৯ সালে আফগানিস্তানের তালেবানের হাতে আটক দুজন পশ্চিমা জিম্মির মুক্তিতে মধ্যস্থতা করে কাতার। ২০২১ সালে তালেবান ক্ষমতায় আসার পর হাজার হাজার মানুষকে সরিয়ে নেওয়ার বিষয়েও ভূমিকা রাখে দেশটি। আর গত বছর যুক্তরাষ্ট্র এবং ইরানের মধ্যে বন্দী বিনিময়েও কাজ করেছে দেশটি। তালেবানের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের দীর্ঘ যুদ্ধের সমাপ্তি টানতে সমঝোতা আলোচনায় স্বাগতিক দেশ হিসেবেও কাজ করেছে। ২০১৪ সালে গাজায় ইসরায়েলি সংঘাতের সময়ে মধ্যস্থতা করেছিল। বর্তমানে ইসরাইল-ফিলিস্তিন যুদ্ধে গাজায় ওষুধ পৌঁছানোসহ যুদ্ধবিরতির মধ্যস্থতায় কাতারের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে।

পর্যবেক্ষকদের মতে, ছোট দেশ হলেও তরল গ্যাস সমৃদ্ধ ধনী এই দেশটি একদিকে যেমন আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের কাছে নিজেকে অপরিহার্য হিসেবে তুলে ধরেছে, একইসঙ্গে মধ্যপ্রাচ্যের বড় দুই প্রতিবেশী সৌদি আরব ও সংযুক্ত আরব আমিরাতের অযাচিত হস্তক্ষেপ থেকে নিজেকে রক্ষা করতে চেয়েছে। ফলস্বরূপ সংঘাতের মধ্যস্থতাকারী হিসেবে আবির্ভূত হয়েছে।

মধ্যপ্রাচ্যবিষয়ক লেখক ও গবেষক আতেফ আল-শায়ের বলেন, কাতার এরই মধ্যে বিশ্বের বেশ কিছু ঘটনায় যুদ্ধরত পক্ষগুলোর মধ্যে সফলভাবে মধ্যস্থতা করেছে। বিশেষ করে রাশিয়া ও ইউক্রেনের মধ্যে বন্দী বিনিময়ে ভূমিকা পালন করেছে দেশটি। আমেরিকা ও তালেবানের মধ্যে মধ্যস্থতায়ও কাতার সফল হয়েছে। ফলে মধ্যস্থতাকারী দেশ হিসেবে কাতার আসলেই গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে।

কাতারের উদারনীতি: সবার সঙ্গে বন্ধুত্ব
সবার সাথে বন্ধুত্ব নীতিতে বিশ্বাসী কাতার। ১৯৯৫ সালে শেখ হামাদ বিন খলিফা আল থানি কাতারের আমির হওয়ার পর থেকে দেশটি মধ্যপ্রাচ্যে নিজেকে মধ্যস্থতাকারীর জায়গায় প্রতিষ্ঠা করে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, পশ্চিমা দেশগুলো যেসব ‘‘রাষ্ট্র নয় এমন সত্ত্বা’’ যেমন বিভিন্ন আদিবাসী ও সশস্ত্র-বাহিনী— যাদের সাথে আলোচনায় প্রস্তুত নয়, এমন সব প্রতিষ্ঠান বা গোষ্ঠীগুলোর সাথেও আলোচনা করে কাতার। সময়ের সাথে সাথে এসব গোষ্ঠীর তালিকায় যুক্ত হয়েছে আফগানিস্তানের তালেবান, সিরিয়ার বিদ্রোহী গোষ্ঠী, হামাস এবং ফিলিস্তিনের অন্যান্য সংগঠন যেমন ইসলামিক জিহাদ।

মার্কিন বার্তা সংস্থা অ্যাসোসিয়েটেড প্রেসের তথ্য অনুযায়ী, কাতারে আশ্রয় নিয়েছেন হামাসের শীর্ষ নেতা খালেদ মাশাল; যিনি ১৯৯৭ সালে জর্ডানে ইসরায়েলি হত্যাকাণ্ডের প্রচেষ্টা থেকে বেঁচে যান। এছাড়া হামাসের সর্বোচ্চ নেতা ইসমাইল হানিয়া কাতারে বসবাস করেন।

ইরানের সাথেও কাতারের ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক রয়েছে। কয়েক বিলিয়ন ডলারের যৌথ প্রাকৃতিক গ্যাসক্ষেত্র রয়েছে তাদের। গত কয়েক দশকে এ ধরনের সম্পর্ক কাতারকে এমন একটি অবস্থানে নিয়ে গেছে যেখানে দেশটি এই গোষ্ঠীগুলোর সাথে যুক্তরাষ্ট্র, ইউরোপ এবং ইসরায়েলের চুক্তির বিষয়ে মধ্যস্থতা করে থাকে। দুই পক্ষের হয়েই চুক্তির বিষয়ে দর কষাকষি করে দেশটি। এই অবস্থাকে রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা ‘‘সবার বন্ধু, কারো শত্রু নয়’’ বলে উল্লেখ করেছেন।

বেশিরভাগ মুসলিম দেশের মতোই ফিলিস্তিনের সাথে দীর্ঘদিনের সম্পর্ক রয়েছে কাতারের এবং দেশটি দুই রাষ্ট্রের সমাধানকে সমর্থন করে। ২০১২ সালে সাবেক আমির শেখ হামাদ প্রথম কোনো আরব নেতা হিসেবে গাজা সফর করেন। কাতার বছরে হামাসকে প্রায় এক বিলিয়ন পাউন্ড দেয় বলে স্কাই নিউজের এক খবরে উল্লেখ করা হয়। এছাড়া হামাসের রাজনৈতিক শাখা রয়েছে দোহায়। হামাসের বেশ কয়েক জন নির্বাসিত নেতারও ঠিকানা এই দোহা।

একই সাথে ইসরায়েলের একটি ‘‘ট্রেড অফিস’’ও রয়েছে কাতারের দোহায়। মধ্যপ্রাচ্যের মধ্যে কাতারেই যুক্তরাষ্ট্রের সবচেয়ে বড় সামরিক ঘাঁটি অবস্থিত। হাজার হাজার মার্কিন সেনা রয়েছে আল উদেইদ এয়ার বেইজ বা আল উদেইদ নামে এই বিমান ঘাঁটিতে। এখান থেকে নিয়মিত সামরিক অভিযান পরিচালনা করে যুক্তরাষ্ট্র।

বিশ্লেষকরা বলছেন, তার মানে হচ্ছে, এখান থেকে যুক্তরাষ্ট্র তাদের নিজেদের স্বার্থের পক্ষে কাজ করতে পারে। ১৯৯৬ সালে প্রথম গালফ রাষ্ট্র হিসেবে ইসরায়েলের সাথে সম্পর্ক স্থাপন করেছিল কাতার। কিন্তু ২০০৯ সালে এটি আবার ইসরায়েলের সাথে সম্পর্ক ছেদ করে গাজায় ইসরায়েলের হামলার পর।

২০২০ সালে সংযুক্ত আরব আমিরাত এবং বাহরাইনের মতো মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোর সঙ্গে ইসরায়েলের সম্পর্ক স্থাপন করলেও কাতার বিরত ছিল। ইসরায়েলে হামাসের হামলার জন্য ইসরায়েলকেই দায়ী করে কাতার। তারা এই হামলার নিন্দা জানায়নি। উল্টো তারা গাজায় ইসরায়েলি হামলার নিন্দা জানিয়েছে।

পশ্চিমাদের দৃষ্টিতে বিশ্বাসযোগ্য পক্ষ
বার্তা সংস্থা অ্যাসোসিয়েটেড প্রেসের প্রতিবেদনে বলা হয়, যুক্তরাষ্ট্র ন্যাটোর বাইরে কাতারকে অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ মিত্র মনে করে। বাইডেন প্রশাসন জিম্মিদের মুক্তির বিষয়ে কাতারের ভূমিকার বার বার প্রশংসা করেছে এবং মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন অতি সম্প্রতি মধ্যপ্রাচ্যে তার কূটনীতিক তৎপরতার অংশ হিসেবে কাতার সফর করেছেন।

মার্কিন পররাষ্ট্র বিভাগের মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলার এর আগে ইসরায়েলের জিম্মিদের মুক্তির বিষয়ে কাতারকে নিয়ে বলেন, ‘‘কাতার আমাদের দীর্ঘদিনের অংশীদার এবং তারা আমাদের অনুরোধে সাড়া দিচ্ছে। কারণ আমার মনে হয়, তারা বিশ্বাস করে যে, নির্দোষ বেসামরিক নাগরিকদের মুক্তি দেওয়া উচিত।’’

রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করেন, কাতারকে পশ্চিমা দেশগুলো ‘‘বিশ্বাসযোগ্য পক্ষ’’ হিসেবে দেখে। কারণ তাদের চোখে কাতার হচ্ছে এমন একটি দেশ যারা আঞ্চলিক রাজনীতির পাশাপাশি আন্তর্জাতিক নিয়ম নীতিও বোঝে। কাতারের মধ্যস্থতায় এ পর্যন্ত যেসব চুক্তি হয়েছে তাতে যুক্তরাষ্ট্রসহ পশ্চিমা দেশগুলো লাভবানই হয়েছে।

ইসরায়েল ও হামাসের মধ্যে অস্ত্রবিরতির মধ্যস্থতাকারী হিসেবে কাতারের উঠে আসার পেছনে নানাবিধ কারণ রয়েছে বলে মনে করেন আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশ্লেষকরা। কিংস কলেজ অব লন্ডনের সহযোগী অধ্যাপক এবং কাতার বিশ্লেষক ড. ডেভিড বি রবাটর্স বলেন, কাতারের মধ্যস্থতাকারী হওয়ার পেছনে অন্যতম কারণ হচ্ছে হামাসের সাথে দেশটির ভাল সম্পর্ক। তিনি বলেন, এ কারণে যুক্তরাষ্ট্র এবং ইসরায়েল- দুই পক্ষই চেয়েছে, কাতার যাতে এই সমঝোতা প্রক্রিয়ায় এগিয়ে আসে এবং তারা মধ্যস্থতাকারী হিসেবে কাজ করে। ‘‘তারা চেয়েছে এবং তাদের এটা দরকারও ছিল এমন একজন মধ্যস্থতাকারীর যারা হামাসের সাথে আলোচনা করতে পারবে। হামাসের সাথে কাতারের আগে থেকেই সম্পর্ক থাকার কারণে এই ভূমিকা পালন করতে পেরেছে দেশটি।’’

মধ্যপ্রাচ্যবিষয়ক লেখক ও গবেষক আতেফ আল-শায়ের বলেন, মধ্যস্থতার ক্ষেত্রে কাতারের বেশি অভিজ্ঞতা রয়েছে এবং ঐতিহ্যগতভাবেই কাতার এ ধরনের সংঘাতের সমাধান করে আসছে।’

কাতারের নাগরিক জীবনমান
এক সময়ের জেলেদের দেশ কাতারে বর্তমানে বৈধ নাগরিকদের জীবনযাত্রার মান অনেক উচ্চ। দেশটি নাগরিকদের কাছ থেকে কোনো আয়কর গ্রহণ করে না। স্থানীয় নাগরিকরা বিভিন্ন ব্যবসায়িক ও নাগরিক সুবিধা ভোগ করে থাকেন। কাতারের মোট জনসংখ্যার মাত্র ১৪ শতাংশ কাতারের বাসিন্দা। আর বাকি ৮৬ শতাংশ লোকই বিদেশি। তারা বিভিন্ন কাজকর্মের জন্য সেখানে বসবাস করেন। কাতারে বেকারত্বের হার অনেক কম।

দেশটির কর্পোরেট আইন অনুযায়ী, যেকোনও উদ্যোগে কাতারি নাগরিকদের ৫১% থাকতে হবে। অর্থনীতির প্রবৃদ্ধি করতে বিদেশি শ্রমের উপর প্রচুর নির্ভর করতে হয় কাতারকে। দেশটিতে একটি বড় অংশই হচ্ছে বিভিন্ন দেশ থেকে আসা প্রবাসী শ্রমিক। প্রাকৃতিক সম্পদের প্রাচুর্য, শাসকদের সুপরিকপ্পিত পদক্ষেপ, আন্তর্জাতিক প্রভাব, বিশ্বস্ত মধ্যস্থতাকারী সব মিলিয়ে কাতার আজকে সারাবিশ্বে গুরুত্বপূর্ণ রাষ্ট্রে পরিণত হয়েছে।

RELATED ARTICLES
Continue to the category

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

Most Popular

Recent Comments