সুখে-দুখে সর্বাবস্থায় আল্লাহকে স্মরণ করতে হবে। কারণ আল্লাহ তাআলা বান্দাকে কখনও সুখ দেন, কখনওবা দুঃখ দিয়ে পরীক্ষা করেন অথবা মর্যাদায় উন্নীত করেন। ভালো সংবাদে যেমন আল্লাহর প্রশংসা করা কর্তব্য, তেমনি দুঃখজনক বিষয়েও তাঁরই কাছে আত্মসমর্পণ করা জরুরি। রাসুলুল্লাহ (স.) সর্বাবস্থায় আল্লাহ তাআলার মুখাপেক্ষী হতেন এবং দোয়া করতেন।
আনন্দের সংবাদে যে দোয়া পড়বেন— الْحَمْدُ لِلَّهِ الَّذِي بِنِعْمَتِهِ تَتِمُّ الصَّالِحَاتُ উচ্চারণ: ‘আলহামদুলিল্লাহ আল্লাযি বিনিমাতিহি তাতিম্মুস সালিহাত’। অর্থ: ‘সব প্রশংসা আল্লাহর জন্য, যার নেয়ামতের মাধ্যমে ভালো কাজগুলো সম্পন্ন হয়।’ (ইবনে মাজাহ: ৩৮০৩)
আয়েশা (রা.) বর্ণনা করেছেন, রাসুল (স.) যখন কোনো পছন্দনীয় কিছু দেখতেন তিনি (উল্লিখিত প্রথম) দোয়াটি পড়তেন। আর যখন কোনো অপছন্দনীয় কিছু দেখতেন তিনি (উল্লিখিত দ্বিতীয়) দোয়াটি পড়তেন।’ (ইবনে মাজাহ: ৩৮০৩)
এছাড়াও খুশির সংবাদে শুকরিয়ার সেজদা করা বা দুই রাকাত শুকরিয়ার নামাজ পড়া এবং ‘আল্লাহু আকবর’ তাকবির দেওয়া সুন্নত।
আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে সর্বাবস্থায় নবীজির সুন্নত অনুসরণের তাওফিক দান করুন। বান্দা হিসেবে সবসময় মহান প্রভুর মুখাপেক্ষী হওয়ার তাওফিক দান করুন। আমিন।