Thursday, May 9, 2024
HomeScrollingনবীজি ৪ সুরা না পড়ে ঘুমাতেন না

নবীজি ৪ সুরা না পড়ে ঘুমাতেন না

প্রিয়নবী (স.)-এর কাছে রাতের বেলার নামাজ, তেলাওয়াত, দোয়ার গুরুত্ব ছিল। কিছু সুরা পাঠ রাতের নিয়মিত আমল ছিল নবীজির। ৪টি সুরার ব্যাপারে হাদিসে এসেছে, ওই ৪ সুরা না পড়ে তিনি ঘুমাতেন না।

সুরাগুলো হলো— ১. সুরা মুলক ২. সুরা সাজদা ৩. সুরা বনি ইসরাইল ও ৪. সুরা জুমার।

সুরা মুলক ও সুরা সাজদা: জাবির (রা.) থেকে বর্ণিত, ‘নবী (স.) ‘আলিফ লাম মিম, তানজিলু’ (সাজদা) ও ‘তাবারাকাল্লাজি’ (মুলক) পাঠ না করে ঘুমাতেন না।’ (সুনানে তিরমিজি: ২৮৯২)

 

সুরা বনি ইসরাইল ও সুরা জুমার: আয়েশা (রা.) বলেন, ‘নবী (স.) সুরা জুমার ও বনি ইসরাইল পাঠ না করে ঘুমাতেন না।’ (সুনানে তিরমিজি: ৩৪০৫)

এই চারটি সুরা ছাড়াও কিছু সুরা নবীজি রাতে পড়তেন বলে হাদিসে উল্লেখ রয়েছে। যেমন- তিন কুল (সুরা ইখলাস, ফালাক ও নাস) পড়ে দুই হাত একত্র করে ফুঁক দিয়ে পুরো শরীরে যতটা সম্ভব হাত বুলাতেন। (বুখারি: ৫০১৭) এছাড়াও মুসাব্বিহাত সুরাগুলো পাঠ করতেন।’ (তিরমিজি: ২৯২১) মুসাব্বিহাত সুরা হলো- সুরা হাদিদ, হাশর, ছফ, জুমা ও তাগাবুন। (তাফসিরে কুরতুবি: ১৭/২৩৫) আবদুল্লাহ ইবনে আব্বাস (রা.) বর্ণিত হাদিসে এসেছে, রাতে নবীজি সুরা আলে ইমরানের (শেষ) ১০ আয়াত তেলাওয়াত করেছেন।’ (বুখারি: ৯৯২)

এছাড়া আয়াতুল কুরসি এবং সুরা বাকারার শেষ দুই আয়াতের কথাও হাদিসে দেখা যায়। এক হাদিসে এসেছে, ‘কেউ যদি শোবার সময় আয়াতুল কুরসি পাঠ করে, সকাল পর্যন্ত একজন ফেরেশতা তাকে শয়তানের হাত থেকে রক্ষা করে।’ (বুখারি: ৩২৭৫) সুরা বাকারার শেষ দুই আয়াত সম্পর্কে নবীজি বলেছেন, যে ব্যক্তি রাতে সুরা বাকারার শেষ দুই আয়াত পাঠ করবে, তা তার জন্য যথেষ্ট হবে।’ (সহিহ বুখারি: ৪০০৮)। ‘যথেষ্ট হওয়ার অর্থ তাহাজ্জুদ, শয়তান ও বিপদ থেকে যথেষ্ট হবে।’ (শরহু মুসলিম: ৬/৯২)

উল্লেখিত সবগুলো সুরা পাঠ নবীজির রাতের আমল হলেও ৪টি সুরা ব্যাপারে হাদিসে বিশেষভাবে বলা হয়েছে- ওসব সুরা পাঠ না করে নবীজি ঘুমাতেন না। আল্লাহ তাআলা আমাদের সবাইকে নবীজির অনুসরণে উল্লেখিত সবগুলো সুরা প্রতিরাতে পড়ার তাওফিক দান করুন। আমিন।

RELATED ARTICLES
Continue to the category

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

Most Popular

Recent Comments