রাসুলুল্লাহ (স.) কিছু দোয়া খুব গুরুত্বের সঙ্গে সাহাবিদের মুখস্থ করাতেন। এর মধ্যে জীবন-মৃত্যুর ফেতনা সংক্রান্ত এক দোয়া সম্পর্কে হাদিসে এসেছে, দোয়াটি তিনি কোরআনের সুরা মুখস্থ করানোর মতো করেই শেখাতেন।
যে দোয়া কোরআনের সুরা শেখানোর মতো শেখাতেন নবীজি
দোয়াটি হলো- اللَّهُمَّ إِنَّا نَعُوذُ بِكَ مِنْ عَذَابِ جَهَنَّمَ وَأَعُوذُ بِكَ مِنْ عَذَابِ الْقَبْرِ وَأَعُوذُ بِكَ مِنْ فِتْنَةِ الْمَسِيحِ الدَّجَّالِ وَأَعُوذُ بِكَ مِنْ فِتْنَةِ الْمَحْيَا وَالْمَمَاتِ উচ্চারণ: ‘আল্লাহুম্মা ইন্না- নাঊজুবিকা মিন আজা-বি জাহান্নামা ওয়া আঊজুবিকা মিন আজা-বিল ক্বাবরি, ওয়া আঊজুবিকা মিন ফিতনাতিল মাসীহিদ দাজ্জা-ল, ওয়া আঊজুবিকা মিন ফিতনাতিল মাহইয়া- ওয়াল মামা-ত।’
নবীজি দোয়াটি নামাজে পাঠ করতে বলেছেন
বুখারি ও মুসলিমের বর্ণনায় দোয়াটি হলো- اللَّهُمَّ إِنِّي أَعُوذُ بِكَ مِنْ عَذَابِ جَهَنَّمَ, وَمِنْ عَذَابِ الْقَبْرِ, وَمِنْ فِتْنَةِ الْمَحْيَا وَالْمَمَاتِ, وَمِنْ شَرِّ فِتْنَةِ الْمَسِيحِ الدَّجَّالِ উচ্চারণ: ‘আল্লাহুম্মা ইন্নী আঊজুবিকা মিন আজা-বি জাহান্নামা ওয়ামিন আজা-বিল ক্বাবরি, ওয়ামিন ফিতনাতিল মাহইয়া- ওয়াল মামা-তি, ওয়ামিন শার্রি ফিতনাতিল মাসীহিদ দাজ্জা-ল।’ অর্থ: ‘হে আল্লাহ! আমি আপনার নিকট পানাহ চাচ্ছি কবরের শাস্তি হতে, জাহান্নামের শাস্তি হতে, জীবন ও মরণের ফিতনা হতে এবং মাসিহ দাজ্জালের ফিতনা হতে।’ আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আল্লাহর রাসুল (স.) বলেছেন যখন তোমাদের কেউ তাশাহুদ পড়ে শেষ করবে তখন যেন (দোয়াটির মাধ্যমে) এই চারটি জিনিস থেকে আল্লাহর নিকট পানাহ চায়।’ (বুখারি: ১৩৭৭, মুসলিম: ৫৮৮, তিরমিজি: ৩৬০৪, বুলুগুল মারাম: ৩১৮)
হাদিসে দোয়াটির বিশেষ গুরুত্ব
এই দোয়ার গুরুত্ব সম্পর্কে মুসলিম ইবনু হাজ্জাজ (রহ)-এর বক্তব্য লক্ষণীয়। তিনি বলেন, আমি জানতে পেরেছি, তাঊস তার পুত্রকে জিজ্ঞাসা করলেন, তুমি কি তোমার সালাতে এই দোয়া পড়েছ? সে বলল, না। তিনি বললেন, তোমার সালাত আবার আদায় করো। কেননা, (তোমার পিতা) তাঊস এই হাদিসটি তিনজন অথবা চারজন রাবি থেকে বর্ণনা করেছেন। অথবা তিনি যেরূপ বলেছেন। (সহিহ মুসলিম: ১২১১)
আল্লাহ তাআলা আমাদের সবাইকে দোয়াটি মুখস্থ করার তাওফিক দান করুন এবং নামাজে নিয়মিত পাঠ করার তাওফিক দান করুন। আমিন।