Thursday, May 9, 2024
HomeScrollingকুড়িগ্রামের হাসপাতালে বাড়ছে শীতজনিত রোগীর সংখ্যা

কুড়িগ্রামের হাসপাতালে বাড়ছে শীতজনিত রোগীর সংখ্যা

মোঃ মশিউর রহমান বিপুল, কুড়িগ্রাম।।

উত্তরের হিমেল হাওয়া ও ঘন কুয়াশার কনকনে ঠান্ডায় বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে কুড়িগ্রামের জন-জীবন।
গত মঙ্গলবার থেকে জেলায় দেখা মিলছে না সূর্যের। দিন ও রাতে বৃষ্টির মতো ঝড়ছে কুয়াশা। আজ বৃহঃবার দুপুর ১ টা পর্যন্ত দেখা মেলেনি সূর্যের।

শুক্রবার(১২জানুয়ারি) সকাল ৯টায় জেলায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১৩দশমিক ৪ ডিগ্রী সেলসিয়াস। যা গত দুইদিনের চেয়ে তুলনামূলক কম।

ঠান্ডার প্রকোপে কুড়িগ্রামে বেড়েছে শীতজনিত রোগীর সংখ্যা। সর্দি,জ্বর,কাশি,শ্বাসকষ্ট, নিউমোনিয়া, ডায়রিয়াসহ ঠান্ডাজনিত নানান রোগে বেশি আক্রান্ত হচ্ছেন বয়স্ক ও শিশুরা। শীতের রোগীর কারণে বাড়তি চাপ সামলাতে দেখা যায় হাসপাতালের কর্তব্যরত নার্স ও চিকিৎসকদের। শয্যা সংকটে হাসপাতালের মেঝেতেও চিকিৎসা নিচ্ছেন অনেকেই।

কুড়িগ্রাম জেনারেল হাসপাতালে নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত হয়ে গত ২৪ ঘন্টায় নতুন ৭ জনসহ শিশু বিভাগে শীতজনিত রোগে মোট ৬২ জন ও ডায়রিয়া বিভাগে নতুন ৩১জন সহ মোট ৫৯ জন রোগী ভর্তি রয়েছেন।

শিশু বিভাগে চিকিৎসা নেয়া অভিভাবক মো. ফরিদ শেখ বলেন,’আমার দেড় বছরের বাচ্চাটা গত কাল সন্ধার পর থেকে সর্দি আর বমি করছে। সকালে হাসপাতালে নিয়ে আসলাম,চিকিৎসা চলছে।’

আরেক অভিভাবক লিপি বেগম বলেন,’গতকাল বিকেলে হাসপাতালে আসছি। ঠান্ডার কারণে বাচ্চাটার জ্বর-সর্দি । কয়েকদিন থেকে ঠান্ডার প্রকোপ একটু বেশি।’

হাসপাতালের কর্তব্যরত নার্স মোছা.জুলেখা বেগম বলেন,’গত তিনদিনে হাসপাতালের শিশুবিভাগে আর ডায়রিয়া ওর্য়াডে নতুন অনেক রোগীর ভর্তি আছে। ঠান্ডার কারণে রোগ বাড়ায় আমাদের প্রতিদিন রোগীর চাপ সামলাতে হচ্ছে।’

কুড়িগ্রাম জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা.শাহীনুর রহমান সরদার বলেন,’ এ জেলাটি হিমালয়ের কাছে অবস্থান হওয়ায় এখানে ঠান্ডার প্রকোপটা একটু বেশি। হাসপাতালে যারা চিকিৎসা নিতে আসছেন অধিকাংশই চরাঞ্চলের মানুষ।’

সরকারিভাবে ১ মাস আগে শীত বস্ত্র বিতরণ করা হলেও, সেটি প্রয়োজনের তুলনায় খুবই কম। মানুষজন গরম পোষাকের অভাবে সড়কের পাশে খড়কুটো জ্বালিয়ে একটু শীত নিবারণের চেষ্টা করছেন।

জেলার কৃষি আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সুবল চন্দ্র সরকার জানান,ঘন কুয়াশার এ দাপট আরো ২-৩ দিন অব্যাহত থাকবে। যার ফলে সূর্যের দেখা পাওয়া কষ্টকর হবে। আগামী সপ্তাহে একটি মৃদু শৈত্য প্রবাহ দেখা দিতে পারে।’

জেলা প্রশাসনের ত্রান ও পুর্নবাসন কর্মকর্তা আব্দুল হাই সরকার জানান,ইতিমধ্যে জেলার ৯ উপজেলায় ৪২ হাজারের বেশি কম্বল বিতরন করা হয়েছে। আপাতত আমাদের কাছে কোন মজুত নেই,আমরা ৩০ হাজার কম্বল চাহিদা পাঠিয়েছি।

RELATED ARTICLES
Continue to the category

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

Most Popular

Recent Comments