ইসরায়েলের হামলায় গাজায় চার হাজার ৫০০ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে। স্থানীয় গণমাধ্যমগুলো এ তথ্য দিয়েছে।
ফিলিস্তিনি কর্মকর্তারা বলছেন, ‘গাজায় ইসরায়েলের বিমান হামলায় ১৩ হাজার ৫০০ ফিলিস্তিনি আহত হয়েছেন। নিহত হয়েছেন চার হাজার ৫০০। এছাড়া ১৪০০ মানুষ নিখোঁজ আছেন। নিহত ফিলিস্তিনিদের মধ্যে ১৭৫৬ জন শিশু এবং ৯৬৭ জন নারী।’
অপরদিকে ফিলিস্তিনি সংগঠন হামাসের হামলায় ইসরায়েলের ১৪,০০ মানুষ মারা গেছে। নিহতদের মধ্যে আছে ৩০৭ জন ইসরায়েলি সেনা এবং ৫৭জন পুলিশ কর্মকর্তা। এছাড়া আহত হয়েছেন পাঁচ হাজার সাতজন। এছাড়া ১০০ মানুষ নিখোঁজ আছেন।
এছাড়া ফিলিস্তিনিদের হাতে বন্দী আছে ২১০ ইসরায়েলি।
এখন ইসরায়েল-গাজা যুদ্ধের উত্তেজনা কমানোর বিষয়ে আলোচনার জন্য মধ্যপ্রাচ্য ও ইউরোপের বেশ কয়েকজন নেতা মিসরের কায়রোতে সমবেত হয়েছেন।
সেখানে কয়েক মিনিট আগে নিজের সূচনা বক্তব্যে ফিলিস্তিনি প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাস বলেন, ফিলিস্তিনিদের তাদের ভূমি থেকে জোরপূর্বক সরিয়ে দেওয়া যাবে না।
তিনি বলেন, আমরা কখনই ফিলিস্তিনি জনগণের স্থানান্তর মেনে নেব না। আমরা আমাদের ভূমিতেই থাকব, এতে যত চ্যালেঞ্জেরই মুখোমুখি হই না কেন।
আব্বাস ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষের প্রধান। তার সরকার দেশটির দখলকৃত পশ্চিম তীরের এলাকা নিয়ন্ত্রণ করে। অপরদিকে হামাস গাজা ভূখণ্ডের শাসন পরিচালনা করে।
মিসর ও অন্যান্য আরব রাষ্ট্রগুলো পূর্বে বলেছে যে যুদ্ধ থেকে পালিয়ে আসা ফিলিস্তিনি শরণার্থীদের একটি বিশাল আগমন অগ্রহণযোগ্য হবে। কারণ এটি তাদের ভূমি থেকে ফিলিস্তিনিদের বিতাড়নের সমান হবে।
অপরদিকে ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজার সঙ্গের মিসরের একমাত্র যোগাযোগ পথ রাফাহ ক্রসিং পরিদর্শন করেছেন জাতিসংঘের মহাসচিব অ্যান্তনিও গুতেরেস। এ সময় তিনি সেখানে থাকা শত শত ত্রাণবাহী ট্রাক গাজায় দ্রুত পাঠানোর অনুরোধ করেছেন। গাজায় জরুরি ত্রাণ সহায়তা পৌঁছানোর জন্য নিঃশর্ত যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানিয়েছেন জাতিসংঘ মহাসচিব।
এবার প্রায় দুই সপ্তাহ ধরে মারাত্মক হামলার শিকার হওয়া গাজায় অবশেষে ত্রাণবাহী ট্রাক প্রবেশ করতে শুরু করেছে। মিসরের সঙ্গে ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজার একমাত্র সীমান্ত যোগাযোগ পথ রাফাহ ক্রসিং স্থানীয় সময় ১০টার দিকে খুলে দেওয়া হয়।
এর আগে কয়েক দিন ধরেই যুক্তরাষ্ট্র, ইসরায়েল ও মিসর বলে আসছিল যে মানবিক সহায়তা পৌঁছানোর জন্য রাফাহ ক্রসিং খোলা হবে। তবে দিনক্ষণ প্রকাশিত হলেও সেটি সম্ভব হয়নি।
জাতিসংঘ জানিয়েছে, গাজায় খাবার, পানি ও জরুরি ওষুধের মারাত্মক সংকট দেখা দিয়েছে। সেখানে দ্রুত সহায়তা না পৌঁছালে বহু মানুষের মৃত্যু হতে পারে।
হামাসের মিডিয়া অফিসের এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘আজকে যে ত্রাণ ত্রাণবাহী কনভয় প্রবেশ করবে তার মধ্যে রয়েছে ২০টি ট্রাক। এগুলো ওষুধ, চিকিৎসা সরঞ্জাম এবং সীমিত পরিমাণ খাদ্য বহন করবে।’
সূত্র : আল-জাজিরা, বিবিসি