সরকারের সিদ্ধান্তে আইনি প্রক্রিয়ায় মুক্তি পাওয়ার পর রাজধানীর গুলশানে নিজের বাসভবন ‘ফিরোজা’তেই উঠবেন বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া। দুই বছর পর তার আগমনের আগাম খবরে শুরু হয়েছে বরণের প্রস্তুতি, চলছে ধোয়ামোছার কাজ।
মঙ্গলবার (২৪ মার্চ) ফিরোজার সামনে গেলে নিরাপত্তারক্ষীরা ভেতরে প্রবেশে বাধা দেন যথারীতি। জানান, ভেতরে চলছে ধোয়ামোছার কাজ। তবে বাইরের কারও প্রবেশ মানা।
ফিরোজার দেখভালের দায়িত্বে নিয়োজিত এক কর্মকর্তা বলেন, ম্যাডাম কারাগারে যাওয়ার পর থেকে এখানে নেতাকর্মীদের আসা বন্ধ হয়ে গিয়েছিল। আজ তার মুক্তির খবর শোনার পর থেকে বেশ কিছু নেতাকর্মী এসেছেন। এখন আবার এই বাড়ির প্রাণ ফিরে পাবে।
চেয়ারপারসনের মিডিয়া উইং সদস্য শায়রুল কবির খান বলেন, দলের চেয়ারপারসনকে সবাই বরণ করতে অপেক্ষা করছেন। দেশনেত্রীর এই মুক্তি করোনাভাইরাসের মধ্যেও বাংলাদেশের কোটি কোটি মানুষের জন্য শুভ সংবাদ। নিঃসন্দেহে রাজনৈতিক ইতিহাসে এই দিনটি স্মরণীয় হয়ে থাকবে।
এদিকে, খালেদা জিয়ার মুক্তির খবরে গুলশানে তার কার্যালয়টিও এখন নেতাকর্মীদের অবস্থানে গমগম করছে। দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল নেতাকর্মীদের শান্ত থাকার নির্দেশ দিলেও করোনাভীতি উপেক্ষা করেই অনেকেই হাজির হয়েছেন গুলশানে। এ নিয়ে নেতারা আলোচনা করে শক্ত অবস্থান জানাবেন, এমন ইঙ্গিত মিলেছে কার্যালয়ের একাধিক কর্মকর্তার কথায়।
এর আগে বিকেলে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক তার বাসায় সংবাদ ব্রিফিংয়ে জানান, খালেদা জিয়ার সাজা ছয় মাসের জন্য স্থগিত রেখে তাকে ছয় মাসের জন্য মুক্তি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। এ-সংক্রান্ত সুপারিশ করে আইন মন্ত্রণালয় থেকে ফাইল স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে। এ সময়ের মধ্যে খালেদা জিয়া নিজ বাসায় থেকে চিকিৎসা নিতে পারবেন। তিনি বিদেশে যেতে পারবেন না। অন্য হাসপাতালেও চিকিৎসা নিতে পারবেন না।