রেডিওর পর টেলিভিশনের প্রচলন শুরু হলে মানুষ খবর দেখতে ভিড় জমাতো টেলিভিশন সেটের সামনে। স্মার্টফোন ও ইন্টারনেটের প্রসারের পর সেই যুগও এখন অতীত। এখন মানুষ টিভির চেয়ে ইউটিউবে খবর দেখতে বেশি পছন্দ করেন।
দেশটির মার্কেটিং ডেটা বিশ্লেষক কোম্পানি কান্তারের সঙ্গে একটি সমীক্ষা চালায় গুগল নিউজ। সেই রিপোর্টেই এমন চমকে দেওয়ার মত তথ্য উঠে আসে।
রিপোর্টে বলা হয়েছে, খবর পড়ার ক্ষেত্রে শীর্ষে রয়েছে ইউটিউব। এর পরে রয়েছে সোশ্যাল মিডিয়া তারপর বিভিন্ন চ্যাট অ্যাপ। উক্ত সমীক্ষা অনুযায়ী ৯৩ শতাংশ মানুষ শুধুমাত্র খবর পড়ার জন্যই ইউটিউব খোলে।
একটা সময় ইউটিউবে কন্টেন্ট ক্রিয়েটরদের ভিড় বেশি দেখা যেত। শিক্ষামূলক ভিডিও থেকে বিনোদন নানা বিষয়বস্তু কন্টেন্টের যোগান দিত ইউটিউব। তবে বর্তমানে মনোরঞ্জনের সঙ্গে দেশ দুনিয়ায় খবর জানার জন্য ইউটিউবেই আস্থা রাখছে ইউজাররা।
এই রিপোর্ট আরো জানাচ্ছে, প্রতি দুইজন ভারতীয়দের মধ্যে একজন ইন্টারনেটেই বেশি খবর সংগ্রহ করে। বিনোদন, অপরাধ, জাতীয় বা রাজ্যের খবরের প্রতি আগ্রহ সবচেয়ে বেশি দেখা গিয়েছে। আঞ্চলিক স্তরে ইউজার দের খবরের পছন্দ আবার আলাদা আলাদা।
কান্তারের প্রযুক্তি পরিচালক বিশ্বপ্রিয় ভট্টাচার্য এক বিবৃতিতে বলেন, ইংরেজি পাঠকদের তুলনায় অন্যান্য ভারতীয় ভাষার পাঠকরা খুব বেশি জটিল সংবাদ পছন্দ করে না। তারা ডিজিটালি কম জটিল শহরের বৈচিত্র্যময় সংবাদ পড়তে স্বাছন্দ্য বোধ করে।
রিপোর্টে বলা হয়েছে, একজন ভারতীয় ইউজার অনলাইনে খবর পড়ার জন্য গড়ে ৫.০৫টি ডিজিটাল প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার করে। প্রতি ৭ জনের মধ্যে একজন ইউজার অনলাইন নিউজের জন্য টাকা দিতে প্রস্তুত। যেসব ইউজার ওয়েবসাইট এবং অ্যাপসগুলো থেকে খবর গ্রহণ করে তাদের মধ্যে এই সংখ্যা ১.৫ শতাংশ বেশি।
কান্তার ও গুগলের এই রিপোর্টে ভারতের মোট আটটি আঞ্চলিক ভাষা তালিকাভুক্ত করা হয়েছে। এগুলো হলো- বাংলা, গুজরাতি, হিন্দি, কন্নড়, মালায়ালম, মারাঠি, তামিল এবং তেলেগু।