প্রবাসে বিল্লাল আকন নামে একজন মৃত্যু বরণকারীর পরিবারকে অনুদান পাইয়ে দিলেল মাদারীপুর পুলিশ সুপার মাসুদ আলম। মঙ্গলবার (২৮ মার্চ) দুপুরে পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে বিল্লাল আকনের পরিবারের কাছে নগদ ৩লক্ষ ৩৫হাজার ৫শত টাকা হাতে তুলে দেন মাদারীপুর পুলিশ সুপার মো. মাসুদ আলম।
নিহত প্রবাসী মাদারীপুর জেলার শিবচর উপজেলার চর বাচামারা গ্রামের মৃত মোতালেব আকনের ছেলে।
পরিবার ও পুলিশ জানায়, ১০/১২ বছর পূর্বে নিজের পরিবারের হাল ধরতে মিশরে প্রবাসী হন মাদারীপুরের বিল্লাল আকন। সেখানে একটি গার্মেন্টেসে কর্মরত থাকাকালীন স্টোক জনিত কারনে গত ১লা মে ২০২২ সালে মৃত্যুবরন করে। এরপর অসহায় অবস্থায় ছিলেন তার পরিবার। মৃত্যুকালে বাংলাদেশে তিনি তার ওয়ারিশ হিসেবে তার মা, স্ত্রী ও এক নাবালিকা শিশু সন্তান রেখে যান। বিষয়টি পুলিশ সুপার মো. মাসুদ আলম জানতে পেরে ব্যাক্তিগত ভাবে মিশরের কোম্পানিতে যোগাযোগ করে বিল্লালের পরিবারের জন্য ৩লক্ষ ৩৫হাজার ৫শত টাকা অনুদান আনতে সফল হন। এরপর মেসার্স আতিক এন্টারপ্রাইজের তত্ত্বাবধানে ন্যাশনাল ব্যাংক লিঃ এর মাধ্যমে বর্নিত অনুদানের টাকার চেক সংগ্রহ করে বিল্লালের পরিবারের সাথে যোগাযোগ করে নগদ টাকা নিহত প্রবাসী বিল্লাল আকনের স্ত্রীকে ৫০হাজার, বৃদ্ধ মাকে ৭০হাজার, নাবালিকা আছিয়া আক্তারের টাকা ব্যাংক হিসাবে ফিক্সড ডিপোজিট করবেন মর্মে, যাহা আছিয়া আক্তারের বয়স ১৮ বছর পূর্ন না হওয়া পর্যন্ত উত্তোলন করা যাবে না। এই শর্তে অবশিষ্ট ২ লক্ষ ১৫ হাজার ৫শত টাকা বন্টন করে প্রাপ্তি স্বীকারের মাধ্যমে বিতরণ করা হয়। এছাড়াও প্রবাসীর পরিবারের জন্য ইফতার করার জন্য ইফতার বিতরণ করা হয়।
মাদারীপুর পুলিশ সুপার মো. মাসুদ আলম জানান, ১০/১২ বছর পূর্বে নিজের পরিবারের হাল ধরতে মিশরে প্রবাসী হন মাদারীপুরের বিল্লাল আকন। সেখানে একটি গার্মেন্টেসে কর্মরত থাকাকালীন স্টোক জনিত কারনে গত ১লা মে ২০২২ সালে মৃত্যুবরন করে। এরপর অসহায় অবস্থায় ছিলেন তার পরিবার। এটা জানতে পেরে আমার এক পরিচিত ও দূতাবাসের মাধ্যমে ব্যাক্তিগতভাবে যোগাযোগ করে তাদের অনুদান পাওয়া ব্যবস্থা করে তাদের হাতে তুলে দিতে পেরে আমি নিজেও অনেক খুশি। এবং অনুদানের টাকা প্রবাসী পরিবারের সাথে আলাপ করে বন্টন করে দেয়া হয়েছে।
আমাদের এই মানবিক কাজ অব্যহত থাকবে।
MHS /ln24bd