Monday, May 6, 2024
HomeScrollingকালকিনিতে মিথ্যা মামলার প্রত্যাহারের দাবীতে মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সভা

কালকিনিতে মিথ্যা মামলার প্রত্যাহারের দাবীতে মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সভা

মাদারীপুর প্রতিনিধি।।
মাদারীপুরের কালকিনিতে মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের দাবীতে মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সভা করেছে লিটন ও তার পরিবারসহ এলাকাবাসী। শুক্রবার দুপুরে ভূরঘাটা-কালকিনি আঞ্চলিক সড়কের পাশে কালকিনি পৌরসভার উত্তর মিনাজদী এলাকার জনগন ঘন্টা ব্যাপি এ মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সভা করেন।

মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, তিন বছর আগে কালাম ঘারামী তার ভাতিজা মোঃ লিটন ঘরামীর কাছে পৌরসভার উঃ মিনাজদী মৌজায় ৪ শতাংশ জমি সাব কবলা বিক্রি করার কথা বলিয়া, উক্ত জমির টাকা নেয়,পরে সে ৪ শতাংশ জমি দলিল না দিয়ে ৩ শতাংশ জমি লিটনকে দলিল করে দেন এবং বাকি ১ এক শতাংশ জমির দলিল পরে দিবে বলিয়া মোঃ লিটন ঘরামী কে স্ট্যাম্পে স্বাক্ষীদের মোকাবেলায় স্বাক্ষর করে। এরপর এনিয়ে একাধিকবার সালিশ বৈঠক করে এলাকার গন্যমান্য ব্যাক্তিরা এরই পরিপ্রেক্ষিতে ভূরঘাটা সোহেল মার্কেটের সামনে আল আমিন এর চায়ের দোকানের সামনে লিটন ঘরামী এক শতাংশ জমি দলিল চাইতে গেলে কালাম ঘরামী ও লিটন ঘরামিকে সাথে কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে কালামের মেয়ে ডলি আক্তার লিটন ঘরামীকে মারধর (জুতা পেটা) করে এবং উল্টো লিটন ঘরামী সহ অজ্ঞাতনামা ১০/১৫ বিরেদ্ধে ডলি আক্তার বাদী হয়ে একটি মিথ্যা মামলা দায়ের করায় ভুক্তভোগী ও এলাকাবাসীরা মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার ও প্রতিবাদ সভা করেন।

ভুক্তভোগী লিটন ঘরামী জানান, কালাম ঘরামীকে একাধিকবার আমারে জমি দলিল করে দিতে বলছি এমনকি সালিশরা বলেছে উল্টো আমাকে হুমকি দেয় আর সেই বিষয় কয়েকদিন আগে কালাম ঘরামীর সাথে সালিশ পক্ষের কথা হয় এবং আমার সাথেও কথা-কাটাকাটি হয় কিন্তু এক পর্যায় কালাম ঘরামী তার মেয়েকে ফোন দিয়ে ডেকে এনে হঠাৎ আমাকে মারধর (জুতা পেটা) করতে থাকে এবং সালিশ পক্ষ বিষয়টি সবই জানে। আর এখন শুনছি উল্টো আমার বিরুদ্ধে মামলা করেছে। আমি এই মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার ও কালাম ঘরামী ও তার মেয়ের শাস্তি চাই।

এ বিষয়ে সালিশ পক্ষে একজন শামসুল হক চৌকিদার বলেন, আমরা এলাকাবাসী এই ঘটনা সবই জানি, অনেক বার সালিশ মীমাংসার করেছি কিন্ত কালাম ঘারামী সালিশ মিমাংসা মানেন না। উল্টো পাল্টা কথা বার্তা বলে।

এবিষয় কালাম ঘরামীর কাছে মোবাইলে ফোনে জানতে চাইলে তিনি বলেন, মামলা সে একটা দিছে আমিও একটা দিয়েছি, মামলা আদালত থানায় তদন্তে পাঠাবে এবং থানায় কাগজ আসলে ওসি সাহেব আমাদের ডাকবে দুপক্ষ বসে এটা সমাধান করে দিবে।

কালকিনি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শামিম হোসেন জানান, আমাদের কাছে তদন্তের কাগজ আসলে আমরা তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করবো। ভিডিও দেখতে নিচের লিংকে ক্লিক করুন-

 

RELATED ARTICLES
Continue to the category

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

Most Popular

Recent Comments