জাতীয় সংসদের ২০তম অধিবেশন চলবে আট দিন। রোববার (৩০ অক্টোবর) বিকেল সাড়ে ৩টায় সংসদের কার্য-উপদেষ্টা কমিটির বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা উপস্থিত ছিলেন। বৈঠকের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী আজ (রোববার) থেকে আগামী ৬ নভেম্বর পর্যন্ত অধিবেশন চলবে।
কার্য-উপদেষ্টা কমিটির বৈঠকে অংশ নেন কমিটির সদস্য আমির হোসেন আমু, শেখ ফজলুল করিম সেলিম, ওবায়দুল কাদের, হাসানুল হক ইনু, ডেপুটি স্পিকার মো. শামসুল হক টুকু, আনিসুল হক, গোলাম মোহাম্মদ কাদের, আনিসুল ইসলাম মাহমুদ, চিফ হুইপ নূর-ই-আলম চৌধুরী ও আবদুস সাত্তার ভুঞা ।
বৈঠকের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী শুক্র ও শনিবার ব্যতিত প্রতিদিন বিকাল সাড়ে ৪টায় সংসদের অধিবেশন শুরু হবে।
এই অধিবেশনে প্রধানমন্ত্রীর জন্য ৪৪টি ও অন্যান্য মন্ত্রীর জন্য এক হাজার তিনটি প্রশ্নসহ মোট এক হাজার ৪৭টি প্রশ্ন পাওয়া গেছে। বিধি-৭১ এ মনোযোগ আকর্ষণের নোটিশ পাওয়া গেছে ৩৫টি। বেসরকারি সদস্যদের বিলের কোনো নোটিশ পাওয়া যায়নি।
পূর্বে অনিষ্পন্ন ১০টি বেসরকারি বিলের মধ্যে গত অধিবেশনে একটি বিল উত্থাপিত হয়ে কমিটিতে পরীক্ষাধীন রয়েছে। ৩০ অক্টোবর পর্যন্ত প্রাপ্ত পাঁচটি সরকারি বিল ও গত অধিবেশনে অনিষ্পন্ন ১২টি বিলসহ ১৭টি বিলের মধ্যে কমিটিতে পরীক্ষাধীন আটটি, পাসের অপেক্ষায় দুটি এবং উত্থাপনের অপেক্ষায় আছে সাতটি।
সংসদ সচিবালয়ের সচিব কে এম আব্দুস সালাম বৈঠক সঞ্চালনা করেন। এতে সংসদ সচিবালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
গত ১ সেপ্টেম্বর সংসদের ১৯তম অধিবেশন শেষ হয়। ২৮ আগস্ট শুরু হয়ে ওই অধিবেশন চলে পাঁচ কার্যদিবস। শুরুর দিন নতুন ডেপুটি স্পিকার হিসেবে শামসুল হক টুকুকে নির্বাচিত করেন সংসদ সদস্যরা।
সংবিধান অনুযায়ী একটি অধিবেশন শেষ হওয়ার ৬০ দিনের মধ্যে পরবর্তী অধিবেশন আহ্বানের বাধ্যবাধকতা রয়েছে।