সোমবার (১৭ অক্টোবর) দুপুরে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সভাকক্ষে আয়োজিত এডিস মশা বাহিত ডেঙ্গু প্রতিরোধ, নিয়ন্ত্রণ বিষয়ক অবহিতকরণ ও মতবিনিময় সভায় স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক আহমেদুল কবীর এসব কথা বলেন।
আহমেদুল কবীর বলেন, সিটি করপোরেশনে শুধুমাত্র হটস্পট না ঠিক করে একসঙ্গে পুরো সিটি করপোরেশনে কাজ করতে হবে। হটস্পট একটা বন্ধ করলে আরেকটি তৈরি হবে। সেজন্য সামগ্রিক ভাবে কাজ করলেই এটি নিয়ন্ত্রণ সম্ভব হবে। এছাড়া বাসা বাড়ি, নির্মাণাধীন ভবনেও যাতে পানি জমে না থাকে এ দায়িত্ব নিজেদের নিতে হবে।
‘এখনই ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণ না করতে পারলে ভবিষ্যতে হাসপাতালগুলোতে সেবা দিতে হিমশিম খেতে হবে। লোকাল সরকারের অধীনে এডিস মশা নিধনে সবাইকে একসঙ্গে কাজ করতে হবে। বাসাবাড়িতে মশার লার্ভা নিধনে আরও সতর্ক না হলে কোনো ব্যবস্থাই কাজে দিবে না।’
ডেঙ্গুর রোগীর চাপ বেড়ে যাওয়ায় হাসপাতালগুলোতে আলাদা ডেঙ্গু ইউনিট চালুর সিদ্ধান্ত হয়েছে জানিয়ে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের সচিব ড. আনোয়ার হোসেন হাওলাদার বলেন, রাজধানীর কোনো হাসপাতালেই সিট ফাঁকা নেই। তারপরেও নতুন রোগীদের ফেরত পাঠানো হচ্ছে না। মেঝেতে হলেও তাদের জায়গা এবং চিকিৎসা সেবা দিচ্ছি।
সচিব বলেন, প্রতিটি হাসপাতালে মশারি ব্যবহার বাধ্যতামূলক করতে হবে। রোগী না নিয়ে এলেও হাসপাতাল থেকে মশারির ব্যবস্থা করে দিতে হবে।