Friday, May 3, 2024
HomeScrollingলিবিয়ায় রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে নিহত ২৩, আহত ১৪০

লিবিয়ায় রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে নিহত ২৩, আহত ১৪০

লিবিয়ার রাজধানী ত্রিপোলিতে বিরোধী পক্ষগুলোর রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে অনন্ত ২৩ জন নিহত হয়েছে বলে জানিয়েছে দেশটির স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। নিহতদের মধ্যে দেশটির তরুণ কমেডিয়ান মুস্তফা বারাকাও রয়েছেন বলে একজন কর্মকর্তা জানিয়েছেন।

রোববার (২৮ আগস্ট) ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির প্রতিবেদনে এই তথ্য পাওয়া গেছে। মৃত্যুর সংখ্যা আরও বাড়তে পারে।

দেশটিতে কয়েক মাস ধরে চলা রাজনৈতিক অচলাবস্থা গত দুই বছরের সবচেয়ে বাজে সংঘর্ষে রূপ নেয়। এটি বৃহত্তর সংঘাতে পরিণত হতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

বিবদমান রাজনৈতিক গ্রুপগুলোকে নিজেদের মধ্যে শত্রুতা অবিলম্বে বন্ধের আহ্বান জানিয়েছে জাতিসংঘ।

স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সূত্রের বরাত দিয়ে বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে জানানো হয়, নিহত ব্যক্তিদের মধ্যে ১৭ জন বেসামরিক নাগরিক রয়েছেন। এর আগে মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে ৮৭ জন আহত হওয়ার খবর জানানো হয়েছিল।

২০১১ সালে সামরিক জোট ন্যাটো-সমর্থিত বিদ্রোহের পর থেকে লিবিয়ায় বিশৃঙ্খলা দেখা দেয় এবং দেশটির দীর্ঘদিনের শাসক কর্নেল মুয়াম্মার গাদ্দাফি ক্ষমতাচ্যুত হয়। এরপর থেকে উত্তর আফ্রিকার এই দেশটিতে অস্থিতিশীলতা চলছে। তা সত্ত্বেও গত দুই বছরে তুলনামূলকভাবে শান্ত সময় পার করেছে লিবিয়া।

বিবিসি বলছে, শনিবার (২৭ আগস্ট) আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত সরকারের সশস্ত্র বাহিনী ফাথি বাশাঘার অনুগত মিলিশিয়াদের একটি কাফেলাকে পেছনে ঠেলে দেওয়ার চেষ্টা করে। দেশটির পূর্বাঞ্চলীয় পার্লামেন্ট ফাথিকে প্রধানমন্ত্রী হিসাবে স্বীকৃতি দিয়েছে এবং এই কারণে আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত সরকারের তিনি একজন প্রতিদ্বন্দ্বী।

রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় গুলিবর্ষণ ও বিস্ফোরণের খবর পাওয়া গেছে। শহরজুড়ে কালো ধোঁয়া উঠতেও দেখা যায়।

লিবিয়ার জরুরি পরিষেবাগুলো জানিয়েছে, উভয়পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষে বেশ কয়েকটি হাসপাতাল ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। সংঘর্ষের পর আশপাশের এলাকা থেকে লোকজনকে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে।

জাতিসংঘের লিবিয়া মিশন জানিয়েছে, বেসামরিক জনবহুলে এলাকায় নির্বিচারে মাঝারি ও ভারী গোলাবর্ষণ করা হয়েছে। দেশটিতে অবিলম্বে যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানিয়েছে বিশ্ব এই সংস্থাটি।

তেল-সমৃদ্ধ লিবিয়ায় একসময় বিনামূল্যে স্বাস্থ্যসেবা এবং বিনামূল্যে শিক্ষা দেওয়া হতো। দেশটিতে জীবনযাত্রার মানও ছিল খু্ব উন্নতমানের। ২০১১ সালে  কর্নেল মুয়াম্মার গাদ্দাফি ক্ষমতাচ্যুতির পর থেকে দেশটিতে অস্থিতিশীলতা চলছে।

RELATED ARTICLES
Continue to the category

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

Most Popular

Recent Comments