Sunday, May 5, 2024
HomeScrollingমাদকের টাকা জোগাড় করতেই ছেলেকে বিক্রি করলেন বাবা

মাদকের টাকা জোগাড় করতেই ছেলেকে বিক্রি করলেন বাবা

অনলাইন ডেস্ক।

চাঁদপুরের মতলব পৌরসভার বাবুরপাড়া প্রধানীয়া বাড়ির অধিবাসী লামিয়া ও ইমরান দম্পতি। হতদরিদ্র লামিয়া মানুষের বাড়িতে ঝিয়ের কাজ করেন। আবার কখনো কখনো ভিক্ষাও করেন। ইমরান হোসেন পেশায় দিনমজুর। তাদের দুই সন্তানের মধ্যে বড় মেয়ে সামিয়ার বয়স পাঁচ বছর। আর ছেলে আব্দুল্লাহর বয়স দেড় বছর।

প্রতিদিনের মতো গত রোববার (৫ জুন) রাতে দুই সন্তানকে নিয়ে ঘুমাতে যান লামিয়া ও ইমরান। প্রকৃতির ডাকে ভোরের দিকে ঘুম ভেঙে লামিয়া দেখেন তার ছেলে সন্তান নেই ও স্বামী ঘরে নেই। প্রতিবেশী ও আত্মীয় স্বজনদের বাড়িতে খুঁজেও স্বামী-সন্তানকে না পেয়ে সোমবার (৬ জুন) সন্ধ্যায় থানায় অভিযোগ করেন লামিয়া।

অভিযোগ পেয়ে পুলিশ বিভিন্ন জায়গায় অভিযান পরিচালনা করে। ওই দিন রাত ৯টার দিকে চাঁদপুরের মতলব উত্তর উপজেলার সুলতানাবাদ ইউনিয়নের চরলক্ষ্মীপুর গ্রামের প্রধানীয়া বাড়ির রুমা আক্তার নামে এক নিঃসন্তান নারীর কাছ থেকে শিশুটিকে উদ্ধার করে পুলিশ। পরে রাতেই সন্তানহারা মা লামিয়ার কাছে শিশুটিকে ফিরিয়ে দেওয়া হয়।

স্থানীয়রা জানান, লামিয়া ও ইমরান ছোটখাটো কাজ করেন। টাকা-পয়সার অভাব সারাবছরই লেগে আছে। ইমরানের আবার নেশার অভ্যাস রয়েছে। এজন্য স্ত্রীর সঙ্গে প্রায়ই টাকা-পয়সা নিয়ে ঝগড়া করে। স্ত্রীকে মারধর করে। মাদকের টাকা জোগাড় করতেই হয়তো সকলের অগোচরে দেড় বছরের সন্তানকে নিয়ে রোববার ভোরে বেরিয়ে পড়েছে। পরে তার পূর্বপরিচিত মতলব উত্তর উপজেলার চরলক্ষ্মীপুর গ্রামের প্রধানীয়া বাড়ির রুমা আক্তারের কাছে ২০ হাজার টাকায় ছেলে সন্তান আব্দুল্লাহকে বিক্রি করে দেন।

মতলব দক্ষিণ থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মো. রুহুল আমীন বলেন, সন্তানহারা মায়ের অভিযোগ পেয়ে আমরা বিভিন্ন জায়গায় খোঁজ করি। গোপন সূত্রে সোমবার রাত ৯টার দিকে অভিযান চালিয়ে রুমা আক্তারের কাছ থেকে দেড় বছরের ছেলে সন্তান আব্দুল্লাহকে উদ্ধার করে রাতেই তার মায়ের কাছে ফিরিয়ে দেই।

রুমা আক্তার জানান, লামিয়ার স্বামী ইমরান তার কাছে ২০ হাজার টাকায় ওই শিশুটিকে বিক্রি করেন।

সন্তান ফিরে পেয়ে লামিয়া বলেন, থানার স্যারগো অনেক ধন্যবাদ। তারা আমার কষ্ট দূর করে সন্তান আমাকে ফেরত দিয়েছে। আমার স্বামী নেশা করে। নেশার টাকা জোগাড় করতেই আমার ছেলেকে বিক্রি করে দিয়েছে।

মতলব দক্ষিণ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মহিউদ্দিন মিয়া জানান, অভিযুক্ত ইমরান হোসেনের বিরুদ্ধে এখনো কেউ অভিযোগ করেনি। তিনি আত্মগোপনে আছেন। তার ফোনও বন্ধ রয়েছে।

RELATED ARTICLES
Continue to the category

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

Most Popular

Recent Comments