ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) কমিশনার মোহা. শফিকুল ইসলাম বলেছেন, আপনার জীবন ও সম্পদ রক্ষার প্রাথমিক দায়িত্ব আপনার। এরপর আসে রাষ্ট্রের কাছে।
তিনি বলেন, রেললাইনের ওপর যদি আপনি শুয়ে থাকেন আর ভাবেন পুলিশ এসে রক্ষা করবে, এটা কোনো বুদ্ধির কাজ নয়। এর মধ্যে কেউ যদি আক্রান্ত হন, সেগুলো আমরা নিশ্চয়ই দেখব।
রবিবার সকালে জাতীয় ঈদগাহর নিরাপত্তাব্যবস্থা পরিদর্শন শেষে এসব কথা বলেন ডিএমপি কমিশনার।
ডিএমপি কমিশনার জানান, ঈদের ছুটিতে ফাঁকা রাজধানীতে চুরি–ছিনতাই প্রতিরোধে ডিএমপির প্রতিটি থানা থেকে ১০টি করে মোবাইল টিম বের হবে, এভাবে ৫০টি থানায় ৫০০টি টিম থাকবে। মহানগর এলাকায় রাতে আড়াই হাজার অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন থাকবে।
তিনি বলেন, ‘অপরাধীদের চলাচলে যাতে বিঘ্ন সৃষ্টি হয়, সে জন্য আমাদের চেকপোস্ট থাকবে। ঢাকা শহরের অনেক গুরুত্বপূর্ণ স্থানে সিসিটিভি ক্যামেরা রয়েছে, কন্ট্রোল রুম থেকে সেগুলো মনিটর করা হবে। গত এক মাসে পাঁচ শতাধিক তালিকাভুক্ত চোর–ছিনতাইকারীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।’
ডিএমপি কমিশনার বলেন, ‘এত বড় একটি শহরে দু-একটি ঘটনা ঘটবে; এগুলো প্রতিরোধ করার ক্ষমতা কারও নেই। আমরা সাধ্যমতো চেষ্টা করে যাচ্ছি। পুলিশের পাশাপাশি মানুষের দায়িত্ব রয়েছে। আপনার জীবন ও সম্পদ রক্ষার প্রাথমিক দায়িত্ব আপনার। এরপর আসে রাষ্ট্রের কাছে। রেললাইনের ওপর যদি আপনি শুয়ে থাকেন আর ভাবেন পুলিশ এসে রক্ষা করবে, এটা কোনো বুদ্ধির কাজ নয়। এর মধ্যে কেউ যদি আক্রান্ত হন, সেগুলো আমরা নিশ্চয়ই দেখব।’
ডিএমপি কমিশনার বলেন, ‘আমরা নিরাপত্তার ক্ষেত্রে সাধারণত যে বিষয়গুলো বলে থাকি, সেগুলো যদি মানুষ মেনে চলে, তাহলে তার জীবন ও সম্পদের নিরাপত্তা অনেকটাই নিশ্চিত হয়। যে যেখানেই যান, আপনার মূল্যবান সম্পদের হেফাজত নিজ থেকে করবেন।’