Monday, April 29, 2024
HomeScrollingতেঁতুলতলায় কখনও মাঠ ছিল না: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

তেঁতুলতলায় কখনও মাঠ ছিল না: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

অনলাইন ডেস্ক |

তেঁতুলতলা মাঠের বিষয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলছেন, ‘আমিও বলতেছি, আমার থানা দরকার। সেটা তো পাবলিকের বুঝতে হবে। কারণ আমি যদি পাবলিককে সুরক্ষা না দিতে পারি, নিরাপত্তা না দিতে পারে। তখনও তো পাবলিক সেন্টিমেন্ট আমাদের বিপক্ষে আসবে। আর জায়গাটি তো আমরা নির্বাচন করিনি, জমিটি আমাদের অধিগ্রহণ করে দিয়েছে। …আমি বলব, এখন এটা পুলিশের সম্পত্তি। এখন একটি আবেদন আসছে, সেই আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আমরা চিন্তা-ভাবনা করব, এটা কী করা যায়।’

স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে বাংলাদেশ পরিবেশ আইনজীবী সমিতির (বেলা) প্রধান নির্বাহী সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান, খুশি কবিরসহ পাঁচ সদস্যের একটি দলের সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের একথা বলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘যেটাকে তেঁতুলতলা মাঠ বলছেন, সেটা কখনও মাঠ ছিল না। এটা গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের অধীনে পরিত্যক্ত সম্পত্তি ছিল। আমরা শুনেছি। লোকালয়ের পাশে খালি জায়গা, এখানে বাচ্চারা খেলাধুলা করত। একটু আলাপচারিতার জন্য এই জায়গাটি ছিল। এখন সবাই এই জায়গা নিয়ে নানান কথাবার্তা বলছে।’

থানা ভবনের গুরুত্ব তুলে ধরে আসাদুজ্জামান কামাল বলেন, ঢাকা শহরে যে নতুন নতুন থানা ভবন হচ্ছে, বেশিরভাগই ভাড়া বাড়িতে। ভাড়া বাড়িতে থাকার কারণে আমাদের পুলিশ ফোর্স নানা ধরনের অসুবিধার সম্মুখীন হচ্ছেন। সেজন্য এগুলোকে স্থায়ী স্থানে নেওয়ার জন্য আমরা নিয়ম অনুযায়ী ডিসির (জেলা প্রশাসক) কাছে ঢাকা শহরের কোন জায়গায় জমি অধিগ্রহণের জন্য বলেছিলাম।

তিনি আরও বলেন, ঢাকার কলাবাগানের কোনো জায়গায় দেওয়া যায় কিনা বলেছিলাম। জনপ্রতিনিধিদের সঙ্গে আলাপ করে এই জায়গাটি বরাদ্দ দেন। সেই জায়গাটির যে মূল্য তা ঢাকা মহানগর পুলিশ জমা দেওয়ার পর ডিসি জায়গাটি হস্তান্তর করে দিয়ে যান। এটা ছিল মূলকথা।

দুদিন আগে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেওয়ার যে কথা বলেছিলেন, সেই প্রসঙ্গে তিনি বলেন, আমাদের স্পষ্ট কথা, আমাদের জায়গা প্রয়োজন। কলাবাগানের একটি থানা ভবন প্রয়োজন। সেটার দিকে লক্ষ্য রেখে আমরা বলছি, এই জায়গাটা আমরা পেয়েছি, এর চেয়ে যদি ভালো, সুইটেবল জায়গা ওখানকার মেয়র সাহেব কিংবা অন্য কেউ যদি ব্যবস্থা করতে পারেন, তখন আমরা সেটা কনসিডার করব। আপাতত আমাদের থানার জন্য এটাই নির্দিষ্ট জায়গা, সরকারিভাবে এটা ব্যবস্থা হয়েছে।

তাহলে সেখানে নির্মাণ কাজ চলবে- প্রশ্ন করলে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, নির্মাণকাজ হবে কি হবে না, সেটা পরের কথা। জায়গাটি পুলিশের জন্য বরাদ্দ করা হয়েছে। বরাদ্দ যেহেতু হয়েছে সেই জায়গাটি পুলিশের। কিছুক্ষণ আগে যারা আসছিলেন, তারাও আমাদের কাছে একটা আবেদন করেছেন, বিকল্প কিছু করা যায় কিনা, সেই পর্যন্ত স্থগিত রাখার জন্য। থানাও জরুরি দরকার, বাচ্চারা যারা কথা বলছে, তাদেরও একটা রিক্রিয়েশন দরকার। সেজন্য বলছিল আপাতত কনস্ট্রাকশনটা না করে আমরাও খুঁজি দেখি, এটাই তাদের আবেদন ছিল। আমি বলেছি, আমরা তো এখনই কনস্ট্রাকশনে যাচ্ছি না। খুঁজুন আমরা দেখব। আপনারা যদি এর চেয়ে ভালো অফার দিতে পারেন আমরা অবশ্যই দেখবো। এটাই বলা হয়েছে।

মাঠ-জলাশয় রক্ষা করে উন্নয়ন কাজ করার বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনার কথা মন্ত্রীকে স্মরণ করিয়ে দেওয়া হলে তিনি বলেন, এখানে মনে হয় ২০ কাঠা জমি, খুব বড় জমি কিন্তু নয়, ফুটবল খেলার মাঠ এরকমও কিছু নয়, টেনিস খেলার মাঠ হবে দুটো, সেই রকমও কিছু নয়। এটা খুবই ছোট জায়গা। এটা আপনারা নিজেরাও বোঝেন। চিকন-লম্বালম্বি জায়গা, জায়গাটিও সুন্দর কিংবা ভালো অবস্থায় সেই রকমও কিন্তু নয়। তারা যেহেতু একটা আবেদন করে গিয়েছে আমরা দেখব। আমরা যদি এর চেয়ে স্যুইটেবল কিছু পাই, যেহেতু আমরা টাকা দিয়ে ফেলছি, সেটার কী হবে? সবকিছু আমরা আলোচনা করব।

মাঠের জন্য আন্দোলনকে যৌক্তিক মনে করছেন কি না- জানতে চাইলে আসা্দুজ্জামান কামাল বলেন, কঠিন কঠিন প্রশ্ন করলে তো আমি মুশকিলে পড়ে যাব। আমি বলব, এখন এটা পুলিশের সম্পত্তি। এখন একটি আবেদন আসছে, সেই আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আমরা চিন্তা-ভাবনা করব, এটা কী করা যায়।

সীমানা প্রাচীর নির্মাণ স্থগিত রাখার জন্য ডিএমপি কমিশনারকে বলবেন কি না- জানতে চাইলে তিনি এবারও সরাসরি উত্তর এড়িয়ে বলেন, আমি বলেছি, আমরা আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে ঠিক করব।

উল্লেখ্য, গত রবিবার পুলিশ ওই মাঠে প্রাচীর নির্মাণকাজ শুরু করলে রত্না তার তরুণ ছেলেকে নিয়ে সেখানে গিয়ে ফেসবুক লাইভ শুরু করলে তাদের ধরে থানায় নিয়ে যাওয়া হয়। অনলাইনে-অফলাইনে ক্ষোভ-বিক্ষোভের মধ্যে ১৩ ঘণ্টা পর মুচলেকা নিয়ে ছেড়ে দেওয়া হয় তাদের।

RELATED ARTICLES
Continue to the category

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

Most Popular

Recent Comments