Saturday, April 27, 2024
HomeScrollingর‌্যাব ইজ আ ব্র্যান্ড নেম হোয়্যার ইউ গেট জাস্টিস: পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী

র‌্যাব ইজ আ ব্র্যান্ড নেম হোয়্যার ইউ গেট জাস্টিস: পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী

অনলাইন ডেস্ক |

পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো. শাহরিয়ার আলম বলেছেন, বাংলাদেশে অভ্যন্তরীণ ব্যবস্থাপনার পুরো দায়িত্ব বাংলাদেশের সরকারের। এই বিষয়গুলো নিয়ে কোনো ইন্টারভেনশন বাংলাদেশ প্রত্যাশা করে না কারো কাছ থেকে।

রবিবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে যুক্তরাষ্ট্রের মানবাধিকার রিপোর্টের ওপর মন্তব্য করতে গিয়ে তিনি এ কথা বলেন।

পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী বলেন, গত মাসে শ্রম প্রতিমন্ত্রী ও আইনমন্ত্রী জেনেভায় গিয়েছিলেন, সেখানে আমরা ডকুমেন্ট হস্তান্তর করেছি। যে ক্ষেত্রগুলোতে আমরা কাজ করছি, গোস উইদাউট সেইং—বাংলাদেশের মানুষের ভোট এবং ভাতের অধিকার পুনঃপ্রতিষ্ঠিত হয়েছে। পরবর্তী নির্বাচন নিয়ে আমাদেরও কিছুটা খেদ আছে। কিন্তু সেটার জন্য রেসপন্সিবিলিটি আদৌ আমাদের কি না; এক হাতে তো তালি বাজে না! একটি প্রতিদ্বন্দ্বিতামূলক নির্বাচনী পরিবেশ তৈরি করতে গেলে যে আরও দল লাগে। ওগুলো তাদের ব্যর্থতা।

তিনি বলেন, আমরা স্বপ্রণোদিত হয়ে শেখ হাসিনার সরকার সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানগুলো শক্তিশালী করেছে। মাত্র ৯১ বা ৯৬ থেকে বাংলাদেশে সত্যিকার সংসদীয় গণতন্ত্রের যাত্রা শুরু। এই যাত্রার স্বল্প সময়ে বাংলাদেশ যত দূর এসেছে, সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে শক্তিশালী করেছে এটার কোনো অ্যাপ্রিসিয়েশন এই রিপোর্টে নেই। অতীতে গণমাধ্যমকর্মীরা মার্কিন রাষ্ট্রদূতকে প্রশ্ন করেছিলেন, বাংলাদেশ লেবার স্ট্যান্ডার্ড ইমপ্রুভমেন্ট কতটুকু হয়েছে। তিনি উত্তর দিয়েছিলেন, ৯৮ ভাগ ইম্প্রুভ হয়েছে আরও ২ ভাগ বাকি। এই রিপোর্টে কোনো রিফ্লেকশান নেই, আমরা যে এত পথ পাড়ি দিয়ে এত দূর এসেছি।

যেসব সোর্স থেকে তথ্যগুলো সংগ্রহ করা হয়েছে, এই সোর্সগুলো দুর্বল জানিয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেন, যারা অপারেট করেন, আমরা নিকট অতীতে দেখেছি যে, অল হ্যাড ভেরি ক্লিয়ার পলিটিক্যাল এজেন্ডা। বাংলাদেশে প্রতিনিধিত্ব আছে যেসব রাষ্ট্রের তারা বাংলাদেশের নিকট অতীতের ইতিহাসটা ভালোভাবে জানবেন বলে আমরা আশা করি। এটা শুধুমাত্র মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের জন্য নয়, পৃথিবীর সব রাষ্ট্রের জন্য।

শাহরিয়ার আলম বলেন, আমাদের নিকট অতীত ভুলে গেলে চলবে না। আমরা মিডিয়াতে দেখেছি, খুবই সেনসিটিভ ইস্যুতে খুবই দায়িত্ববান মানুষ ফেসবুকে এসে লাইভ করছেন, দাবি করছেন, রাস্তা থেকে তুলে নিয়ে গিয়ে একটি রাজনৈতিক কার্যালয়ে আটকে রাখা হয়েছে। টর্চার করা হয়েছে। এই কারণে যখন তাকে ধরা হলো, তখন তার পক্ষে আবার নেমে গেল। বাংলাদেশে অভ্যন্তরীণ ব্যবস্থাপনার পুরো দায়িত্ব বাংলাদেশের সরকারের। এই বিষয়গুলো নিয়ে কোনো ইন্টারভেনশন বাংলাদেশ প্রত্যাশা করে না কারো কাছ থেকে।

র‌্যাব প্রতিষ্ঠান প্রসঙ্গ টেনে তিনি বলেন, এই বিষয়গুলো বিবেচনা করার জন্য অতীতে বিভিন্ন দেশের সুপারিশে র‌্যাব প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। বিভিন্ন দেশের প্রশিক্ষণে র‌্যাব সুসংগঠিত ও শক্তিশালী হয়েছে। আমরা খুবই অল্প সময়ে; যদিও শেষ নয় এই যুদ্ধ, আমরা অপেক্ষাকৃত কম ক্ষতিতে জঙ্গিবাদকে নিয়ন্ত্রণ করতে পেরেছি এবং মোটামুটি বলা যায় মূল উৎপাটন করতে পেরেছি। বাংলাদেশের মতো রাষ্ট্রগুলো এ ধরনের সমস্যায় যেকোনো সময় পড়তে পারে। কারণ যে অঞ্চলে আমরা বসবাস করি, এ অঞ্চলের ইতিহাস ভালো না। এ অঞ্চলে বর্তমানও অনেক দেশে ভালো নয় এবং নিকট ভবিষ্যৎও ভালো মনে হচ্ছে না। সেই জায়গায় বাংলাদেশে সত্যিকার অর্থে যারা দেখতে চান একটি শান্তিপূর্ণ রাষ্ট্র যেখানে মানুষের সমান অধিকার নিশ্চিত হবে, যেখানে সবার মতামত দেওয়ার মতো পরিবেশ অব্যাহত থাকবে এই কাজগুলো করতে গেলে আমাদের জাতির গর্বের ন্যাশনাল ইনস্টিটিউশনগুলোর সঙ্গে কাজ করতে হবে।

গ্রামে-গঞ্জে র‌্যাব ইজ আ ব্র্যান্ড নেম ফর পিস উল্লেখ করে তিনি বলেন, শক্তিশালী করার পরিকল্পনা আগে ছিল, প্রশিক্ষণ দিয়েছেন, পয়সাও দিয়েছেন, এখন কোনো কারণে দিচ্ছেন না কিন্তু প্লিজ ডু নট ট্রাই মেলাইন দিস ইনস্টিটিউশন দ্যাট উই রিলাই আপঅন হেভিলি। গ্রামে-গঞ্জে যাবেন, র‌্যাব ইজ আ ব্র্যান্ড নেম ফর পিস। র‌্যাব ইজ আ ব্র্যান্ড নেম হোয়্যার ইউ গেট জাস্টিস। র‌্যাব ইজ আ ব্র্যান্ড নেম ফর অ্যান্টি টেররিজম অ্যাকটিভিটিস। জীবনের ঝুঁকি নিয়ে তারা যে কাজগুলো করেছেন, সেখানে যে ব্যত্যয়গুলো হয়েছে সেই ব্যত্যয়গুলো নিয়েও আমরা কিন্তু এখন উই আর এনগেইজড, উই আর ওপেন। আমরা এগুলো সুরাহারও পথ খুঁজছি। ফোর্স অপারেট যারা আছেন তারা বাকিটুকু টেকনিক্যাল বিষয় যেগুলো আছে সেগুলো আমাদের এখতিয়ারভুক্ত বিষয় না; আমি নিশ্চিত, তারা সেগুলো রিভিউ করছেন বা করবেন। আমাদের এই প্রতিষ্ঠানগুলোকে দুর্বল করে দেওয়ার কোনো অপচেষ্টা আমরা ভালোভাবে নিতে পারবো না।

আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ঝুঁকির প্রসঙ্গে টেনে তিনি বলেন, রোহিঙ্গা ক্যাম্পে গত যেকোনো সপ্তাহের যদি হিসাব নেন, গান রানিং-ড্রাগ ট্রফিকিং বেড়েছে। প্রতি নিয়ত তারা নিজেদের অন্তর্দ্বন্দ্বে নিহত হচ্ছেন। মুহিবউল্লাহ মতো একজন মিয়ানমারের নাগরিক তার জনগোষ্ঠীকে বোঝাতে ব্যস্ত ছিলেন যে, ‘আমাদের ফিরে যাওয়া উচিত’। আমরা ধরে নিচ্ছি, ফিরে যাবে না এ রকম একটি গ্রুপের সঙ্গে দ্বন্দ্ব ছিল; তাকে হত্যা করা হলো। সেখানে আমাদের আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে কতটা চ্যালেঞ্জের মধ্যে দিয়ে যেতে হয়! এ রকম একাধিক রোহিঙ্গা নেতা আছেন যাদের আমাদের পুলিশ-র‌্যাবের সদস্যরা সেফটি-সিকিউরিটি দিয়ে থাকেন। বডি গার্ড হিসেবে কাজ করে থাকেন। আমি বলতে চাচ্ছি, উই আর অপারেটিং ইন আ ভেরি কমপ্লেক্স ওয়ার্ল্ড অ্যান্ড ইন আ ভেরি কমপ্লেক্স এনভায়রনমেন্ট। যেখানে এক্সটার্নাল ফ্যাকটর ইনফ্লুয়েন্স করে আমাদের ইন্টারনাল অনেক ইস্যুতে অনেক সময়। এগুলো থেকে নিরাপদে রেখে রাষ্ট্রকে জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে স্টেডি একটি গ্রোথ ট্রাজেকটোরির মধ্যে দিয়ে আমরা উচ্চ আয়ের রাষ্ট্রে নিয়ে যেতে চাই ২০৪১ সালে। আমরা আশা করি, সব রাষ্ট্র বন্ধু হিসেবে সহযোগিতা করবে। তাদের কোনো সিদ্ধান্ত বা কর্মকাণ্ড বাধা হয়ে দাঁড়াবে না।

মানবাধিকার রিপোর্টের বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রের কাছে ব্যাখ্যা চাওয়া হবে জানিয়ে তিনি বলেন, এই রিপোর্টে কিছু উপাদান আছে যেটা আমরা-আপনারা ছোটবেলা থেকে যা শিখেছি, আমাদের ধর্ম যা শিখিয়েছে, আমাদের রাষ্ট্রের মানুষের যা প্রত্যাশা এর সরাসরি পরিপন্থী। রাষ্ট্র এই রিপোর্টটাকে রেখে দিয়েছে, অ্যাজ এ কান্ট্রি হু লাভস টু বি এনগেইজড উইথ আওয়ার ফ্রেন্ডস অ্যান্ড অ্যাজ এ রেসপন্সিবল নেশন; আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি এটার প্রতিটি বিষয় নিয়ে আমরা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে কথা বলবো। আমরা ব্যাখ্যা চাইবো। যেগুলো বাংলাদেশের মানুষের সঙ্গে সরাসরি পরিপন্থী সেগুলো প্রত্যাহার করতে বলা হবে। কারণ এতে তাদের গ্রহণযোগ্যতা অন্যান্য ক্ষেত্রে ঝুঁকির মধ্যে পড়ে যাবে।

RELATED ARTICLES
Continue to the category

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

Most Popular

Recent Comments