ইকুয়েডরের গুয়ায়েকিলের একটি কারাগারে বন্দুকযুদ্ধ ও বিস্ফোরণে বন্দী নিহতের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ১১৬। আহত হয়েছে আরও ৮০ জন। খবর বার্তা সংস্থা রয়টার্সের।
বুধবার এক সংবাদ সম্মেলনে দেশটির প্রেসিডেন্ট গুইলারমো লাসো এ কথা জানিয়েছে।
আঞ্চলিক পুলিশ কমান্ডার জেনারেল ফাস্তো বুয়েনানো জানান, মঙ্গলবার বন্দুকযুদ্ধ এবং গ্রেনেড বিস্ফোরণে এসব বন্দী প্রাণ হারিয়েছে।
কারাগার কর্তৃপক্ষ টুইট করে বলেছে, একশরও বেশি বন্দীর মৃত্যু নিশ্চিত করা হয়েছে।
জাতীয় প্রসিকিউটরের কার্যালয় থেকে বলা হয়েছে, অন্তত ছয়জনের শিরশ্ছেদ করা হয়েছে। কারাগারের নিয়ন্ত্রণ নিতে গিয়ে দুই পুলিশ কর্মকর্তাও আহত হয়েছে। বন্দীরা তাদের লক্ষ্য বন্দুক হামলা চালিয়েছে।
প্রেসিডেন্ট গুইলারমো লাসো টুইট করে কারাগারের পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নেওয়ার দাবি করে বলেছেন, তিনি দেশে ‘ব্যতিক্রমী পরিস্থিতি’ ঘোষণা করেছেন।
এ ধরনের প্রাণঘাতী দাঙ্গার পুনরাবৃত্তি ঠেকাতে অতিরিক্ত নিরাপত্তা বাহিনী পাঠাবেন ও তহবিল ছাড় করাবেন বলেও জানিয়েছেন।
এ ছাড়া জরুরি পরিস্থিতি মোকাবিলায় লাসো একটি নিরাপত্তা কমিটিরও নেতৃত্ব দেবেন বলে জানান।
মেক্সিকোর মাদক চক্রের সঙ্গে জড়িত থাকার কারণে ইকুয়েডরের কারাগারগুলোতে বিবদমান গ্রুপের মধ্যে নিয়ন্ত্রণ নিয়ে প্রায়ই দ্বন্দ্ব সংঘাত ঘটে থাকে। সম্প্রতি এ সহিংসতা বেড়ে গেছে।
দেশটির মানবাধিকার সংস্থা অমবুডসম্যান বলেছে, দেশটিতে ২০২০ সালে কারাগারে দাঙ্গায় ১০৩ জন নিহত হয়েছে।