সংযুক্ত আরব আমিরাতের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা শেখ তাহনুন বিন জায়েদ আল নাহিয়ান এবং কাতারের আমির শেখ তামিম বিন হামাদ আল থানির সঙ্গে সৌদি যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমানের অবকাশ যাপনের একটি ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়ে গেছে। শুক্রবার রেড সি বা লোহিত সাগরের কোনো একটা জায়গায় তাদের মধ্যে সাক্ষাত হয় এবং তারা পরস্পরের সঙ্গে সময় কাটান।
সৌদি যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমান বিন আবদুল আজিজ আল সৌদ বর্তমানে সৌদি আরবের ক্রাউন প্রিন্স, উপ-প্রধানমন্ত্রী এবং প্রতিরক্ষামন্ত্রীর পদে আছেন।
সৌদি যুবরাজের ব্যক্তিগত অফিসের পরিচালক বদর আল আসকার তার টুইটার পেজে মধ্যপ্রাচ্যের এই তিন গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তির একটি ছবি প্রকাশ করেছেন।
বদর আল আসকার ছবির ক্যাপশনে লেখেন, ‘লোহিত সাগরে একটি বন্ধুত্বপূর্ণ এবং ভ্রাতৃত্বপূর্ণ বৈঠকে প্রিন্স মোহাম্মদ বিন সালমান, কাতারের আমির শেখ তামিম বিন হামাদ আল থানি এবং সংযুক্ত আরব আমিরাতের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা শেখ তাহনুন বিন জায়েদ আল নাহিয়ান একত্রিত হয়েছেন’।
উপসাগরীয় এই তিন নেতা ঠিক কোথায় দেখা করেছেন তা স্পষ্ট নয়। কিন্তু তাদের বেশ-ভুষা দেখে বোঝা যাচ্ছে যে তারা ছুটিতে ছিলেন।
গত মাসের শুরুর দিকে, শেখ তাহনুন বিন জায়েদের নেতৃত্বে একটি আমিরাতী প্রতিনিধি দলকে গ্রহণ করেন কাতারের আমির শেখ তামিম বিন হামাদ।
ওই বৈঠকে কাতার ও আরব আমিরাতের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক এবং দুই দেশের মধ্যে সহযোগিতা আরও বাড়ানোর উপায় নিয়ে আলোচনা করা হয়। বিশেষকরে অর্থনৈতিক ও বাণিজ্যিক ক্ষেত্রে এবং দুই দেশের অভিন্ন স্বার্থ হাসিল করার পাশাপাশি নির্মাণ, উন্নয়ন ও অগ্রগতির প্রক্রিয়ায় সহায়ক এমন গুরুত্বপূর্ণ বিনিয়োগ প্রকল্প নিয়ে আলোচনা হয়।
গত জানুয়ারির আলউলা জিসিসি ঘোষণার পর প্রথম সফরে কাতারের আমিরকে জেদ্দায় স্বাগত জানান সৌদি যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমান। ওই ঘোষণার মধ্য দিয়ে দুদেশের মধ্যে নতুন করে সুসম্পর্কের সূচনা হয়। এর আগে ২০১৭ সালের জুন মাস থেকে সাড়ে তিন বছর ধরে কাতারর ওপর অবরোধ আরোপ করে রেখেছিল সৌদি আরব। ২০২১ সালের শুরুর দিকে কাতারের সঙ্গে সম্পর্ক স্বাভাবিক করার উদ্যোগ নেন সৌদি যুবরাজ।
২০২১ সালের জানুয়ারিতে সৌদি যুবরাজ জিসিসি শীর্ষ সম্মেলনের ফাঁকে কাতারের আমিরের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। ওই বৈঠকে উপসাগরীয় সব দেশ আল উলার ঘোষণায় স্বাক্ষর করে। সৌদি পররাষ্ট্রমন্ত্রী প্রিন্স ফয়সাল বিন ফারহান বলেন ওই ঘোষণার মধ্য দিয়েই আনুষ্ঠানিকভাবে কাতারের সঙ্গে সৌদি আরবের বিরোধের অবসান হয়।