বৃহস্পতিবার গণভবনে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী সংসদের সভার প্রারম্ভিক ভাষণে তিনি এ নির্দেশ দেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘নির্বাচন আসছে, কাজেই দলকে আরও শক্তিশালী করে তোলার বিষয়ে আমাদের মনোযোগী হতে হবে।’
এ সময় তিনি বলেন, এবারের করোনাভাইরাসের সময় আওয়ামী লীগ এবং এর সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা যেভাবে মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছে সেভাবে, আর কোনো রাজনৈতিক দলকে মানুষের পাশে দাঁড়াতে তিনি দেখেননি।
শেখ হাসিনা বলেন, মূলত কেউ দাঁড়ায়নি। এই ব্যাপারে অন্য দলগুলোর কোনো আগ্রহ ছিল না। তাদের কাজই ছিল প্রতিদিন টেলিভিশনে বক্তৃতা বা বিবৃতি দেওয়া এবং আওয়ামী লীগের একটু সমালোচনা করা। তাদের যেন একটাই কাজ আওয়ামী লীগকে দোষারোপ করতেই হবে।
তিনি বলেন, হাজার হাজার ডাক্তার এবং নার্স আমরা নিয়োগ দিয়ে চেষ্টা করেছি করোনা মোকাবিলা করার জন্য। আবার ভ্যাকসিন কেনার ব্যাপারে আমরা সবার আগে উদ্যোগ নিয়েছি।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের বিপদ হয়ে গিয়েছিল যে, ভারতে এত ব্যাপক হারে করোনা দেখা দিল যে, চুক্তি থাকা সত্ত্বেও তারা ভ্যাকসিন সাপ্লাই দিতে পারছিল না। তারপরেও আমরা পৃথিবীর যেখান থেকে পেরেছি ভ্যাকসিন সংগ্রহ করেছি।’
তিনি বলেন, ‘এখন আর সমস্যা হবে না। আমরা নিয়মিত (ভ্যাকসিন) পাবো এবং আমাদের দেশের মানুষকে আমরা দিতে পারবো।’
দলের বহু নেতাকর্মীর মৃত্যুতে দুঃখ প্রকাশ করে আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, কত মানুষকে যে আমরা হারালাম। এমন কোনো দিন নেই যে, মৃত্যু সংবাদ না আসতো। আজকেও কিছুক্ষণ আগে খবর পেয়েছি ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগ দক্ষিণের সভাপতি আবু আহমেদ মান্নাফির স্ত্রী মারা গেছেন।
তিনি আরও বলেন, আওয়ামী লীগ সরকারে আছে বলেই দেশের উন্নতি হচ্ছে। আওয়ামী লীগ সরকারে আছে বলেই এই করোনা মোকাবিলা সম্ভব হয়েছে। আর আওয়ামী লীগ আছে বলেই মানুষ অন্তত সেবা পাচ্ছে।