Tuesday, May 7, 2024
HomeScrollingদিনাজপুরে মা-ছেলেকে আটক করে মুক্তিপন দাবী : সিআইডির এএসপিসহ ৩ কর্মকর্তা গ্রেফতার

দিনাজপুরে মা-ছেলেকে আটক করে মুক্তিপন দাবী : সিআইডির এএসপিসহ ৩ কর্মকর্তা গ্রেফতার

মোঃ নূর ইসলাম নয়ন।।

দিনাজপুর চিরিরবন্দর উপজেলা

এলাকা থেকে মা ও ছেলেকে অপহরণ করে মুক্তিপন দাবীর ঘটনায় রংপুর সিআইডি জনের
সহকারী পুলিশ সুপারসহ ৩ পুলিশ কর্মকর্তাকে পুলিশ অপহরনের অভিযোগে গ্রেফতার
করেছে।
দিনাজপুর সদর সার্কেল এর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সুমন কুমার সরকার আজ বুধবার
মোবাইল ফোনে জানান এই ঘটনায় চিরিরবন্দর থানায় অপহৃত গৃহবধু জহুরা বেগমের
স্বামী লুৎফর রহমান বাদী হয়ে আজ বুধবার বেলা ১১ টায় একটি মামলা দায়ের করেছেন। ওই
মামলায় রংপুর বিভাগীয় পুলিশের রেঞ্জ ডিআইজি দেবদাস ভট্টাচার্যর নিদের্শে পুলিশের
একটি ৫ সদস্যর কমিটি গঠন করে আটককৃত সিআইডি পুলিশের ৩ সদস্যকে
গতকাল মঙ্গলবার রাতে গ্রেফতারের পর থেকে দফায় দফায় জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। তাদেরকে
আজ বুধবার বিকেলে বা সন্ধ্যায় দিনাজপুর সিনিয়র জুডিশিয়াল আলাদতে সোর্পদ
করে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য রিমান্ড আবেদন করা হবে। তবে এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত ওই ৩
সিআইডি পুলিশ সদস্য দিনাজপুর পুলিশ সুপার কাযার্লয়ে রাখা হয়েছে।
সূত্রটি জানায় অপহৃতা জহুরা বেগম (৪৮) ও তার পুত্র জাহাঙ্গীর আলম (২০) এর অবহরনের
বিষয়ে দায়ের কৃত অভিযোগ সূত্রে প্রকাশ করেছে
গতকাল মঙ্গলবার বিকেলে সদর
উপজেলার বাশেরহাট থেকে সিআইডির ৩ পুলিশ
সদস্যকে প্রথমে আটক করা হয়।
আটককৃত ৩ পুলিশ কর্মকর্তা হলেন- রংপুর সিআইডি’র জোনের এএসপি সারোয়ার
কবির, এএসআই হাসিনুর রহমান ও কনস্টেবল আহসানুল হক।
অভিযোগ কারী লুৎফর রহমানের জামাতা কামরুল ইসলাম এর সাথে কথা বলা হলে তিনি
জানান চলতি আগষ্ট মাসের প্রথম দিকে দিনাজপুর জেলার চিরিরবন্দর উপজেলার নান্দাইল
গ্রামের পলাশ নামে এক ব্যক্তি রংপুর সিআইডি জোন কার্যালয়ে চিরিরবন্দর উপজেলার
একই গ্রামের তার শশুর লুৎফর রহমানের বিরুদ্ধে ৫০ লাখ টাকা প্রতারণার একটি অভিযোগ
দায়ের করে। গত ২৩ আগষ্ট রাত সাড়ে ৯টায় সিআইডি রংপুর জোনের এএসপি
সারোয়ার কবিরের নেতৃত্বে একটি টিম চিরিরবন্দর উপজেলার লুৎফর রহমানের বাড়ীতে
অভিযান চালায়। এসময় বাড়ীতে লুৎফর রহমানকে না পেয়ে তার স্ত্রী জহুরা বেগম ও ছেলে
জাহাঙ্গীরকে একটি মাইকোবাসে তুলে নিয়ে চলে যায়। পরে লুৎফর রহমানের পরিবার থেকে
সিআাইডির উঠে নিয়ে যাওয়া মা জহুরা ও ছেলে জাহাঙ্গীরকে ছেড়ে দেয়ার জন্য তার
জামাতা কামরুল ইসলামের নিকট জাহাঙ্গীরের মোবাইল থেকেই গতকাল মঙ্গলবার বিকেল ৪
টায় মুক্তিপন হিসেবে এএসপি সারোয়ার কবির ১৫ লাখ টাকা দাবী করে। তাদের
মোবাইলের কথাকোপন কামরুল এ রেকর্ড করে বিষয়টি দিনাজপুর সদর সার্কেল এর
অতিরিক্ত পুলিশ সুপারকে অবহিত করা হয় এবং মোবাইল ফোনের কথাকোপনের তথ্য দেওয়া
হয়।
এভাবে মুক্তিপনের জন্য সিআইডি পুলিশের এএসপি এবং তাদের সহযোগিদের
মুক্তিপনের দাবীর অর্থ দিয়ে মুক্তি নিতে টাকা সংগ্রহে তৎপর হয়। সূত্রটি জানায়
ভুক্তভোগীরা ৮ লাখ ৫০ হাজার টাকা নিয়ে সিআইডি কর্মকর্তাদের সাথে দেখা করার
জন্য নিদির্ষ্ট স্থানে আসতে বলে। গতকাল মঙ্গলবার বিকেলে ভুক্তভোগী পরিবার প্রথমে
তাদেরকে চিরিরবন্দর উপজেলার রানীরবন্দরে এবং পরে কাহারোল উপজেলার দশমাইলে তাদের
আসতে বলে। এরপর ভুক্তভোগী পরিবারের লোকজন সিআইডি কর্মকর্তাদের দিনাজপুর সদর
উপজেলার বাশেরহাটে আসতে বলে।
এর আগে তারা জেলা পুলিশকে বিষয়টি জানিয়ে রাখে। সিআইডি কর্মকর্তারা
বাশেরহাটে আসলে জেলা পুলিশ ও সিআইডি যৌথভাবে অভিযান চালিয়ে ওই ৩সিআইডি পুলিশের সদস্যকে আটক করে। পরে তাদের গতকাল রাত ১০ টায় চিরিরবন্দর
থানায় নিয়ে যাওয়া হয়। পরে রাত ১২ টায় তাদের পুলিশ সুপার কার্যালয়ে নেয়া হয়।
তবে এ বিষয়ে চিরিরবন্দর থানার ওসি সুব্রত কুমার সরকারকে ফোন দেয়া হলে তিনি
জানান, বিষয়টি নিয়ে পুলিশের উদ্বতন কতৃপক্ষ নিয়ন্ত্রন করছেন। তাদের নির্দেশ
মোতাবেক আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে। এ ব্যাপারে ওই থানায় লুৎফর রহমান বাদী
হয়ে আজ বুধবার সকালে একটি আভিযোগ করেছেন বলে তিনি স্বীকার করেন।
এদিকে জেলা পুলিশ সুপার আনোয়ার হোসেনকে ফোন দেয়া হলে তিনি বলেন আইন
অনুযায়ী যা করা দরকার সে ব্যবস্থায় নেয়া হয়েছে।

RELATED ARTICLES
Continue to the category

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

Most Popular

Recent Comments