ঈদুল আজহা উপলক্ষে কোরবানির পশুর হাটে সবাইকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার পরামর্শ দিয়েছে সরকার। এছাড়া, দেশে করোনা পরিস্থিতি বিবেচনা করে পশুর হাট ব্যবস্থাপনায় ১২ দফা নির্দেশনাও দেওয়া হয়েছে।
বুধবার বাংলাদেশ সরকারের তথ্য অধিদপ্তরের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে নির্দেশনাগুলো উল্লেখ করা হয়েছে।
হাটে গিয়ে পশু কেনা-বেচার সময় সবাইকে সরকারের এ সংশ্লিষ্ট নির্দেশনাগুলো মেনে চলার আহ্বান জানানো হয়েছে। নির্দেশনাগুলোর মধ্যে আছে-
১। ঈদুল আজহা উপলক্ষে অনলাইনের পাশাপাশি যথাযথ স্বাস্থ্যবিধি এবং সরকারি অন্যান্য নির্দেশনা মেনে কোরবানির পশুর হাট বসাতে হবে।
২। কোরবানির পশুর হাটে ক্রেতা-বিক্রেতাদের একমুখী চলাচল ব্যবস্থা থাকতে হবে। অর্থাৎ, প্রবেশ ও বের হওয়ার জন্য আলাদা পথ করতে হবে।
৩। হাতে পর্যাপ্ত সময় রেখে কোরবানির পশু ক্রয় নিশ্চিত করতে হবে।
৪। বৃদ্ধ ও শিশুদের পশুর হাটে প্রবেশ নিয়ন্ত্রণ করতে হবে।
৫। পশুর হাটে জাল টাকা শনাক্তকরণে সংশ্লিষ্টদের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে হবে।
৬। হাটে আগত সবাই যেন স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলেন তা নিশ্চিত করতে হবে।
৭। হাটে আগত ক্রেতা-বিক্রেতা প্রত্যেকের তাপমাত্রা মাপার যন্ত্র, হাত ধোয়ার জন্য পর্যাপ্ত বেসিন, পানি ও জীবাণুনাশক সাবান রাখতে হবে।
৮। অনলাইনে পশু ক্রয়-বিক্রয়ে মানুষকে উৎসাহিত করতে হবে। অনলাইনের মাধ্যমে পশু কেনাবেচার জন্য সব ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগ ও ই-ক্যাবের যৌথ উদ্যোগে এবং এটুআই এর কারিগরি সহায়তায় এ ব্যবস্থা চালু করা হয়েছে। এর আওতায় www.digitalhaat.net প্ল্যাটফর্মে সারাদেশের ২৪১টি ডিজিটাল হাট যুক্ত করা হয়েছে।
৯। যানবাহন চলাচলে বিঘ্ন ঘটায় এমন স্থানে পশুর হাট বসানো যাবে না। এ নির্দেশ অমান্যকারীদের বিরুদ্ধে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
১০। পশুর হাটে সামাজিক দূরত্ব মেনে লাইনে দাঁড়ানো, প্রবেশ ও বের হওয়া নিয়ন্ত্রণ নিশ্চিত করতে হবে।
১১। সরকার নির্ধারিত স্থানে পশু কোরবানি দিতে হবে।
১২। এছাড়া, পশু কোরবানির পর ২৪ ঘণ্টার মধ্যে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে বর্জ্য অপসারণের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে হবে।