Monday, April 29, 2024
HomeScrollingভূমধ্যসাগরে ডুবে মরেছে ১১৪৬ জন: জাতিসংঘ

ভূমধ্যসাগরে ডুবে মরেছে ১১৪৬ জন: জাতিসংঘ

অনলাইন ডেস্ক।।

বিপজ্জনক সমুদ্রপথ পেরিয়ে ইউরোপে পাড়ি জমানোর চেষ্টার সময় সাগরে ডুবে অভিবাসনপ্রত্যাশী ও শরণার্থীদের মৃত্যুর সংখ্যা গত বছরের তুলনায় চলতি বছরের প্রথম ছয় মাসে প্রায় দ্বিগুণ হয়েছে। জাতিসংঘের অভিবাসন বিষয়ক সংস্থা আইওএমের নতুন এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানানো হয়েছে বলে বুধবার খবর দিয়েছে মার্কিন বার্তাসংস্থা এপি।

আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থা (আইওএম) বলেছে, চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে জুন পর্যন্ত কমপক্ষে এক হাজার ১৪৬ জন মারা গেছেন। ভূমধ্যসাগর পেরিয়ে ইউরোপে পাড়ি জমানোর চেষ্টাকারী মানুষের সংখ্যা ৫৮ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে।

সংস্থাটি বলছে, চলতি বছরের প্রথম ছয় মাসে মধ্য-ভূমধ্যসাগরে ‘লিবিয়া থেকে ইতালি’ যাওয়ার পথটি ছিল সবচেয়ে প্রাণঘাতী। এই পথে ডুবে মরেছে ৭৪১ জন। এরপর আটলান্টিক মহাসাগরের পশ্চিম আফ্রিকা থেকে স্পেনের ক্যানারি দ্বীপের পথ ছিল দ্বিতীয় প্রাণঘাতী; এই পথে মারা গেছেন কমপক্ষে ২৫০ জন। এছাড়া পশ্চিম ভূমধ্যসাগরের স্পেনমুখী পথে মারা গেছেন কমপক্ষে ১৪৯ জন এবং পূর্ব ভূমধ্যসাগরের গ্রিসের পথে প্রাণ গেছে ৬ জনের।

আইওএম বলেছে, অনেক জাহাজ ভেঙে ডুবে যাওয়ায় এবং শনাক্ত করতে না পারায় ইউরোপগামী ভূমধ্যসাগরের পথে মৃতের প্রকৃত সংখ্যা আরও অনেক বেশি হতে পারে।

ভূমধ্যসাগরে বিভিন্ন দেশের সরকারের তল্লাশির অভাব এবং উদ্ধারকারী যানের অনুপস্থিতির কারণে অভিবাসনপ্রত্যাশীদের সাগর পাড়ি দেওয়ার চেষ্টা আরও বিপজ্জনক হয়ে উঠছে বলে সতর্ক করে দিয়েছে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থাগুলো। ইউরোপের দেশগুলো সাগরে তল্লাশি এবং উদ্ধার তৎপরতার জন্য অনেক সময় উত্তর আফ্রিকার দেশগুলোর ওপর নির্ভর করে। যদিও তাদের উদ্ধার সক্ষমতা এবং জনশক্তি পর্যাপ্ত নয়।

আইওএম বলেছে, চলতি মাসের প্রথম ছয় মাসে তিউনিশিয়ার উদ্ধার অভিযান গত বছরের একই সময়ের তুলনায় ৯০ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। লিবিয়ার কর্তৃপক্ষ সাগর পথে ১৫ হাজারের বেশি পুরুষ, নারী ও শিশু উদ্ধারের পর ফেরত পাঠিয়েছে; যা গত বছরের একই সময়ের তুলনায় তিন গুণ বেশি। এই অভিবাসনপ্রত্যাশীদের মধ্যে অনেক বাংলাদেশি নাগরিকও আছেন

এদিকে, উদ্ধারকারী দাতব্য জাহাজগুলোকে ইতালীয় কর্তৃপক্ষের লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত করার হারও বৃদ্ধি পেয়েছে বলে জানিয়েছে আইওএম। এই জাহাজগুলো ইউরোপীয় ইউনিয়নের শূন্যতা পূরণে বছরের পর বছর ধরে ভূমধ্যসাগরে কাজ করছে। অনেক সময় অলাভজনক এসব জাহাজকে মাসের পর মাস অথবা বছরের পর বছর ধরে আটকে রাখা হচ্ছে।

ভূমধ্যসাগরে চলতি বছর অভিবাসনপ্রত্যাশী ও শরণার্থীদের মৃত্যুর সংখ্যা বৃদ্ধির পেছনে ছোট নৌকায় চেপে সাগর পাড়ি দেওয়ার চেষ্টা, আন্তর্জাতিক জলসীমায় ইউরোপীয় নেতৃত্বাধীন সক্রিয় উদ্ধার ও তল্লাশি অভিযানের অনুপস্থিতি, অলাভজনক সংস্থাগুলোর ওপর নানা ধরনের নিষেধাজ্ঞাসহ বিভিন্ন কারণ ভূমিকা রেখেছে বলে জানিয়েছেন আইওএমের মুখপাত্র সাফা মেহলি।

মার্কিন বার্তাসংস্থা এপিকে তিনি বলেছেন, এসব মানুষকে এ ধরনের বিপজ্জনক যাত্রায় ছেড়ে দেওয়া যায় না।

অভিবাসনের তথ্য-উপাত্ত ও পরিসংখ্যান প্রকাশকারী নিরপেক্ষ থিঙ্ক ট্যাঙ্ক প্রতিষ্ঠান আইএসপিআইয়ের গবেষক মাত্তেও ভিলা বলেছেন, চলতি বছর বিভিন্ন অলাভজনক সংস্থার অন্তত ৯টি জাহাজ আটকে রেখেছে ইতালি।

সূত্র: এপি।

RELATED ARTICLES
Continue to the category

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

Most Popular

Recent Comments