কিউবায় সরকারবিরোধী বিরল বিক্ষোভ নিয়ে যুক্তরাষ্ট্র ও রাশিয়া পাল্টাপাল্টি বক্তব্য দিয়েছে।
বিক্ষোভকারীদের দাবি মেনে নিতে আহ্বান জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। অন্যদিকে যেকোনো ধরনের ‘বাইরের হস্তক্ষেপের’ বিরোধিতা করেছে রাশিয়া।
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ‘নিপীড়ন ও দারিদ্র্যের অবসানে’ বিক্ষোভকারীদের দাবির ‘কথা শুনতে’ স্থানীয় সময় সোমবার কিউবার কমিউনিস্ট সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন। খবর এএফপি’র।
এক বিবৃতিতে বাইডেন বলেন, ‘স্বাধীনতা, মহামারী করোনাভাইরাসের মর্মান্তিক ছোবল, দশকের পর দশক ধরে চলা নিপীড়ন ও অর্থনৈতিক ভোগান্তি থেকে মুক্তির জন্য আমরা কিউবার জনগণের এবং তাদের করুণ ডাকের সঙ্গে রয়েছি। কেননা, এসব ক্ষেত্রে তারা কিউবার স্বৈরাচারী সরকারের হাতে দমনের শিকার হয়ে আসছে।’
তিনি বলেন, ‘দেশের জনগণের কথা শুনতে এবং তাদের চাহিদা পূরণে কাজ করতে কিউবা সরকারের প্রতি যুক্তরাষ্ট্র আহ্বান জানাচ্ছে।’
এদিকে কিউবার কমিউনিস্ট সরকারের বিরুদ্ধে বিরল এ বিক্ষোভের পর দেশটির ব্যাপারে যেকোনো ধরনের ‘বাইরের হস্তক্ষেপের’ বিপক্ষে রাশিয়া সোমবার সতর্ক বাণী উচ্চারণ করেছে।
এক বিবৃতিতে রাশিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের নারী মুখপাত্র মারিয়া জাখারভা বলেন, ‘আমরা কোনো সার্বভৌম রাষ্ট্রের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে বাইরের হস্তক্ষেপ বা এ দ্বীপ রাষ্ট্রের পরিস্থিতি অস্থিতিশীল করে তুলতে উৎসাহ জোগাবে এমন কোনো পদক্ষেপকে এ ক্ষেত্রে অগ্রহণযোগ্য বিবেচনা করছি।’
কিউবায় কমিউনিস্ট সরকারের বিরুদ্ধে রবিবার বিরল বিক্ষোভ হয়। বিক্ষোভকারীরা ‘একনায়কতন্ত্র নিপাত যাক’ বলে স্লোগান দিতে দেখা যায়। সাম্প্রতিক সময়ে এটা সবচেয়ে বড় বিক্ষোভ ছিল।
গত ৩০ বছরের মধ্যে সবচেয়ে কঠিন অর্থনৈতিক সংকট মোকাবিলা করছে কিউবা। বিদ্যুৎ ও খাদ্য ঘাটতিতে ভোগা কিউবার বিভিন্ন শহরে স্বতঃস্ফূর্ত এ বিক্ষোভ অনুষ্ঠিত হয়।