ম্যাচ শেষে তিনি বলেন, ‘ওদের সব পেস বোলার এসে আমাকে আক্রমণ করছিল, বাউন্সার মারছিল। ভালো জায়গায় বল করছিল। আউট করার চেষ্টা করছিল। আমি আসলে ভালো সামলাচ্ছিলাম। তো বিরক্ত হয়ে বেশ কবার আমাকে ও (মুজারাবানি) গালিও দিয়েছে।’
ঘটনা ইনিংসের ৮৫তম ওভারের। বল করছিলেন মুজারাবানি। ওই ওভারে তার চতুর্থ বলটি ছিল শর্ট অফ লেংথ। যা তাসকিন সতর্কতার সঙ্গে ছেড়ে দেন। তারপর হাত দিয়ে কিছুটা নাচের মতো ভঙ্গি করেন, যা দেখে রেগে যান মুজারাবানি।
তাসকিন শেষ পর্যন্ত ক্যারিয়ার সেরা ইনিংস খেলেন। দশ নম্বরে নেমে ১৩৪ বলে করেন ৭৫ রান। মাহমুদউল্লাহর সঙ্গে নবম উইকেটে দেশের পক্ষে রেকর্ড ১৯১ রানের জুটি উপহার দেন।
মাহমুদউল্লাহ ১৫০ রানে অপরাজিত থেকে যান। বাংলাদেশ প্রথম ইনিংসে পায় ৪৬৮ রানের পুঁজি। জবাবে ১ উইকেটে ১১৪ রান তুলে দিন শেষ করে জিম্বাবুয়ে।
তাসকিন বলেন, ‘তিন নম্বর বার যখন গালি দিয়েছে, তখন আমি তেড়ে গিয়েছি। বলেছি যে, আমাকে কেন গালি দিচ্ছো? বোলিং দিয়ে পারলে কিছু করো! এটাই আসলে হয়েছে, তেমন কিছু না।’
তাসকিন অবশ্য এরপর নিজেকে সামলে নেন দ্রুতই। তবে মুজারাবানির লাইন-লেংথ হয়ে যায় এলোমেলো। তার পরের তিন ওভারেই বাউন্ডারি মারেন তাসকিন।