টিকটক ভিডিও বানিয়ে এই মুহূর্তে ব্যাপক আলোচনায় উঠতি মডেল ও গায়িকা রোদেলা রঙ্গন হৃদ্য। ক’দিন আগে আবার নাম লেখান চলচ্চিত্রেও। তবে বর্তমানে তিনি টিকটকেই বেশি বুঁদ।
নিয়মিত ইনস্টাগ্রামে ছাড়ছেন আর ভাইরাল হচ্ছেন। এ নিয়ে কে কি বললো, কান দেন না হৃদ্য। তিনি চলেন তার নিজের মতোই। সম্প্রতি জানা গেল, আবির নামের একজনের সাথে তার প্রেম।
তাও নতুন নয় সেই সপ্তম শ্রেণিতে পড়া অবস্থান আবিরের প্রেমে পড়েন হৃদ্য। এখন তো প্রেম আরও পরিণত হয়েছে। এ নিয়ে তিনি আবার বেশ খোলামেলা। যে কেউ জানতে চাইলে মুখের ওপরই বলে দেন সবকিছু।
নবমে পড়ার সময় আরও বেশি আলোচনায় ছিলেন। একটা আপত্তিকর ভিডিও হৃদ্যের নামে ছেড়ে দেওয়া হয় তখন। তাতে খামোখা অনেকটা ঝুট ঝামেলাও পোহাতে হয় তাকে। যদিও ভিডিওটির কোনো প্রমাণ মেলেনি।
এরপর দশমে পড়ার সময় তো অনেকটা মডেলই হয়ে গেলেন। এ বছর এসএসসি পরীক্ষা দিয়েছেন হৃদ্য। জানা যায়, পরীক্ষাও ভালো হয়েছে। সবমিলে বেশ আছেন। তবে করোনাভাইরাসের কারণে আপাতত ঘরেই কাটছে সময়।
তারই মধ্যে ইনস্টাগ্রামে নানা বার্তাও দেন। সম্প্রতি বেশ বড়সড় এক বার্তা দিলেন হৃদ্য। যেখানে তিনি লিখেছেন, ‘মন খারাপের বিকেল দিয়েছি লিখে, চলে তোমার পাড়াতে গমগমে উল্লাস। আমার বাড়িতে সন্ধ্যে প্রদীপও ফিকে, তোমাদের ছাদে জোছনার বসবাস।
জানলায় এসে ছবি আঁকে বোবা পাখি, আমাদের শেষ দেখাও তো আর হলনা। উপহার গুলো এখনও আগলেছো কি? আরেকটিবার ভালোবাসি প্লিজ বলো না! আঘাত বেড়েছে প্রাচীন সভ্যতা’তে, একা একা বসে চোখ রাখি দূরবীনে, ছায়াপথ ধরে হাঁটিনি কখনও সাথে, তবুও পাশেই থেকেছি তো দুর্দিনে।
ছিলাম তখনও চিলেকোঠা ঘরখানি, আঁকিবুঁকি ছিল প্রেমের পাঠশালাতে, পাড়ার লোকে দেখেছে না কি জানি! মহাকাশ ছিল ঐ খোলা জানালাতে। এখনও বিকেল আগের মতোই নামে, ঘরের তাগিদে উড়ে যায় বোবা পাখি। বৃথা আমাদের মৌনতা সংগ্রামে, কথা গুলোকে’ই সাক্ষী করে রাখি।’
প্রসঙ্গত, ২০০৮ সালে পাঁচ বছর বয়সে চ্যানেল আই ক্ষুদে গানরাজ প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়ে গানের জগতে হৃদ্যর যাত্রা শুরু হয়। সে সময় গান দিয়ে সবার মন জয় করেন তিনি। এখনো গানই তার সব, তার শখ।
এ ছাড়া ছোটবেলায় ‘মেঘকন্যা’ নামে একটি চলচ্চিত্রের ছোট একটি চরিত্রেও অভিনয় করেছেন হৃদ্য। যদিও তখন সেভাবে পরিচিত পাননি।
এখন সব কিছুকে ছাপিয়ে টিকটকে ভিডিও বানিয়ে তরুণদের মাঝে তিনি আলাদা পরিচিতি পেয়েছেন, তাই এটা দ্বিতীয়বারেও বলতে হচ্ছে।