Friday, May 3, 2024
HomeScrollingকানাডায় দশটি গির্জায় ‘আদিবাসীদের’ ভাংচুর

কানাডায় দশটি গির্জায় ‘আদিবাসীদের’ ভাংচুর

অনলাইন ডেস্ক |

গির্জায় লাল ও কমলা রঙ ছিটিয়ে দেওয়া হয়
কানাডার জাতীয় দিবসে আদিবাসীদের ওপর ঐতিহাসিক অবিচারের বিরুদ্ধে জেগে ওঠা ক্ষোভে ভাংচুর হয়েছে আলবার্টার দশটি গির্জায়। দুটি ঘটনার মধ্যে যোগসূত্র খুঁজে পেয়েছে পুলিশ।

তদন্তকারীদের বরাত দিয়ে বিবিসি বলছে, ক্যালিগারি শহরের গির্জায় কমলা ও লাল রঙ ছড়িয়ে দেওয়া হয়েছে।

আলবার্টার প্রধানমন্ত্রী জেসন কেনি এ ঘটনাকে ‘ভীতিকর’ বলে উল্লেখ করেছেন।

গির্জা পরিচালিত সাবেক আবাসিক বিদ্যালয়ে কয়েকশ’ অচিহ্নিত কবর আবিস্কারের পর ঘটলো এ ঘটনা। ওই সব প্রতিষ্ঠানে আদিবাসী শিশুদের জোর করে শিক্ষাগ্রহণে বাধ্য করা হতো। এ ঘটনার সূত্র ধরে ১ জুলাই দেশটির জাতীয় দিবস উদযাপন বাতিলের আহ্বানও আসে সম্প্রতি।

জেসন জানান, আক্রমণের লক্ষ্যবস্তু হওয়া একটি ছিল ক্যালিগরি শহরের আফ্রিকান ইভাঞ্জেলিক্যাল চার্চ। গির্জায় ভাংচুর ও আগুনের শিকার হওয়া দেশ থেকে শরণার্থী হিসেবে আসা লোকেরা এখানকার প্রার্থনাকারী। তারা শান্তির আশায় কানাডায় এসেছিল। কিন্তু এ আক্রমণে তারা আঘাত পেয়েছে।

তার মতে, সম্মিলিত ঐতিহাসিক অবিচারের ওপর ভিত্তি করেই এ ঘৃণা। এর বদলে ঐক্য, শ্রদ্ধা ও পুনর্মিলনের চেষ্টা করতে হবে।

পুলিশ জানায়, বুধবার রাত থেকে বৃহস্পতিবার সকালের মধ্যে হামলার ঘটনা ঘটে।

আদিবাসী তরুণদের নিজেদের ধারায় সম্পৃক্ত করার জন্য ১৯ ও ২০ শতকের কানাডা সরকারের অর্থায়নে এ বিদ্যালয়গুলো পরিচালনা করতো ধর্মীয় কর্তৃপক্ষ। পরিবারের কাছ থেকে ছিনিয়ে এসে এ সব প্রতিষ্ঠানে থাকতে বাধ্য করা হতো বেশির ভাগ শিশু-কিশোরদের। নিম্নমানের পরিবেশ, অব্যবস্থাপনা ও নির্যাতনের শিকার হতো তারা।

গত মে মাসে কানাডার ব্রিটিশ কলম্বিয়ার সবচেয়ে বড় আবাসিক বিদ্যালয়ের নিচে অচিহ্নিত কবরে ২১৫ আদিবাসী শিশুর দেহাবশেষ মেলে। এরপর বেশ কয়েকটি জায়গায় একই ঘটনার দেখা মেলে। এরপর গত মাসে আদিবাসীরা বেশ কয়েকটি ক্যাথলিক গির্জায় আগুন ধরিয়ে দেয়।

পুলিশ বলছে, তারা ‘পুনর্মিলনের প্রচেষ্টা’ ও ‘প্রজন্মের যন্ত্রণা’ মোকাবিলা করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। তবে এ হামলা শুধু বেআইনিই নয়, আরও বিভেদ, ভয় ও ধ্বংস সৃষ্টি করবে।

RELATED ARTICLES
Continue to the category

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

Most Popular

Recent Comments