Wednesday, May 8, 2024
HomeScrollingবিশ্বের সব মানুষের টিকা কেনা যাবে ১০ জনের টাকা দিয়ে

বিশ্বের সব মানুষের টিকা কেনা যাবে ১০ জনের টাকা দিয়ে

করোনাকালে বিশ্বের ১০ শীর্ষ ধনীর সম্মিলিত আয় বেড়েছে ৫৪০ বিলিয়ন বা ৫৪ হাজার কোটি ডলার, বাংলাদেশি মুদ্রায় যা ৪৫ লাখ কোটি টাকারও বেশি। আন্তর্জাতিক দাতব্য সংস্থা অক্সফাম এ তথ্য জানিয়েছে।

এই পরিমাণ অর্থ দিয়েই বিশ্বের সব মানুষকে দারিদ্র্য হওয়া থেকে বাঁচানো সম্ভব কারণ তাদের সবার জন্য কেনা যাবে করোনা ভ্যাকসিন।

অক্সফামের নতুন এক প্রতিবেদনে বিষয়টি উঠে আসে বলে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি এক খবরে জানায়।

প্রতিবেদনটি জানাচ্ছে, বিশ্বের বৃহৎ অর্থনীতির দেশগুলোর জোট জি২০ এর সরকারগুলো করোনাভাইরাস মোকাবিলায় যে অর্থ খরচ করেছে তা বিলিয়নিয়ারদের সম্মিলিত সম্পদের সমান।

এমন পরিস্থিতিতে ধনীদের ওপর কর বসানোর বিষয়ে বিবেচনা করতে সরকারগুলোর প্রতি আহ্বান করেছে দাতব্য সংস্থাটি।

বিশ্ব নেতৃবৃন্দদের নিয়ে ওয়ার্ল্ড ইকোনমি ফোরামের ভার্চুয়াল বৈঠক ‘ড্যাভস ডায়ালগ’-কে সামনে রেখে এ প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়।

এতে বলা হয়, ২০২০ সালের ১৮ মার্চ থেকে ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত ৩.৯ ট্রিলিয়ন ডলার বেড়ে বিশ্বজুড়ে বিলিয়নিয়ারদের মোট সম্পদের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ১১.৯৫ ট্রিলিয়নে, যা করোনা মোকাবিলায় জি২০ সদস্যভুক্ত দেশগুলোর মোট খরচের সমান।

একই সময়ে, ৫৪০ বিলিয়ন ডলার সম্পদ বাড়ে ১০ বিলিয়নিয়ারের, যাদের মধ্যে রয়েছেন আমাজন প্রতিষ্ঠাতা জেফ বেজস, টেসলা ও স্পেসএক্সের প্রতিষ্ঠাতা ইলন মাস্ক, ফেসবুকের প্রতিষ্ঠাতা মার্ক জাকারবার্গ।

প্রতিবেদনটি জানাচ্ছে, সেপ্টেম্বর পর্যন্ত যে সম্পদ আয় হয়েছে বেজসের, তা দিয়ে আমাজনের ৮ লাখ ৭৮ হাজার কর্মীর প্রত্যেককে এক লাখ ৫ হাজার ডলার করে বোনাস দেওয়া যাবে। এরপরেও করোনার আগের পরিস্থিতির মতো সম্পদশালী থাকবেন বেজস।

অন্যদিকে, করোনা পরিস্থিতির কারণে ৫০০ মিলিয়নের বেশি মানুষ দারিদ্র্যের শিকার হয়েছে, যা থেকে পরিত্রাণ পেতে তাদের এক দশকেরও বেশি সময় লাগতে পারে।

অক্সফামের প্রধান নির্বাহী ড্যানি শ্রীসকান্দারাজাহ বলেন, ‘আমরা মনে করি যে… যুগান্তকারী কিছু করার এখন একটি সুযোগ, সম্পদশালীদের থেকে কর আদায়ে বিবেচনা করা, করপোরেশন কর নিয়ে ভাবা এবং প্রত্যেক নাগরিকদের জন্য মৌলিক সামাজিক ভিত্তি তৈরি করা।’

তবে করোনাভাইরাস মোকাবিলায় অনুদানও দিচ্ছেন শীর্ষ ধনীরা। গত বছর জুনে বেজস জানিয়েছিলেন, তিনি ১২৫ মিলিয়ন ডলার অর্থ সহায়তা দিয়েছেন। তার সাবেক স্ত্রী আরেক বিলিয়নিয়ার ম্যাকেঞ্জি স্কট ৪ বিলিয়ন ডলারের বেশি খাদ্য সহায়তা দিয়েছিলেন।

মাইক্রোসফট সহপ্রতিষ্ঠাতা বিল গেটস এবং মেলিন্ডা গেটস করোনা টিকা গবেষণা ও স্বাস্থ্য ব্যবস্থা উন্নতিতে ৩০৫ মিলিয়ন ডলার অনুদানের প্রতিশ্রুতি দেন।

টুইটারের সহপ্রতিষ্ঠাতা জ্যাক ডরসি দেন এক বিলিয়ন ডলার। হ্যারি পটারের লেখক জেকে রাউলিং মহামারিতে গৃহহীন হয়ে পড়া মানুষের জন্য অনুদান দেন এক মিলিয়ন পাউন্ড।

RELATED ARTICLES
Continue to the category

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

Most Popular

Recent Comments