শনিবার দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবে স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তী উপলক্ষে ‘শিক্ষায় প্রত্যাশা ও প্রাপ্তি এবং করোনাকালীন শিক্ষা বাজেট: ২০২১-২০২২’ শীর্ষক এক আলোচনা সভায় এ ঘটনা ঘটে।
সভায় জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেন, বিএনপির ক্ষমতায় আসারই ইচ্ছে নাই। ক্ষমতায় আসতে হলে ইচ্ছে, আগ্রহ থাকতে হবে। সঙ্গে সঙ্গে তাকে পরিকল্পনা করতে হবে, যে কী কী জায়গায় পরিবর্তন আনবে। সেগুলো নিয়ে আলোচনার প্রয়োজন। আজকে বিএনপি পরিচালিত হচ্ছে আল্লাহর ওহি দিয়ে।
লন্ডনে অবস্থান করা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারপারসনকে উদ্দেশ্য করে জাফরুল্লাহ বলেন, ওহি লন্ডন থেকেই বেশি আসে। এই স্বৈরতান্ত্রিক সরকারের পতন ঘটাতে হলে, সবচেয়ে বেশি পরিবর্তন ঘটাতে হবে বিএনপির নিজের ঘরে। আপনার কি খালেদা জিয়ার চেহারা দেখেছেন, মনের মধ্যে একটা ডিপ্রেশনের ভাব। তারা (সরকার) যেভাবে তাকে মৃত্যুর দিকে ঠেলে দিচ্ছে, বিএনপির লোকেরা হয়তো উপলব্ধি করতে পারে না। তার যদি মুক্তি চায়, আমি বারবার বলেছি তারেক তুমি ২ বছর চুপচাপ বসে থাকো। পারত বিলেতে লেখাপড়ায় যুক্ত হয়ে যাও, সেখানে বহুভাবে লেখাপড়া হয়। আজকে সবার সম্মিলিত প্রচেষ্টা ছাড়া ক্ষমতার পরিবর্তন সম্ভব না।
এ সময় ক্ষিপ্ত হয়ে যান সভায় উপস্থিত থাকা ছাত্রদলের কয়েকজন নেতা। ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় কমিটির সহসভাপতি ওমর ফারুক কাওছার সালাম বক্তব্যদানরত ডা. জাফরুল্লাহকে থামিয়ে দিয়ে জিজ্ঞাসা করেন, “আপনি বিএনপির কে? আপনি বিএনপি নিয়ে উল্টাপাল্টা কথা বলেন কেন?”
জবাবে জাফরুল্লাহ বলেন, “না কেউ না। এটা তো গণতন্ত্রে আমার বলার অধিকার আছে।” তখন ছাত্রদলের ওই নেতা বলেন, “না। আপনি অন্যদের নিয়ে বলুন। আমাদের নেতা সম্পর্কে বলছেন, আপনি তো বিএনপির কেউ না।”
তখন ওমর ফারুক কাওছার আরও বলেন, “না না আমরা অবশ্যই বুঝি। আপনি আপনারটা বুঝেন, আমরা আমাদেরটা বুঝি। আপনি আমাদের নেতাদের নিয়ে কখনো কথা বলবেন না। কখনোই কথা বলবেন না। আর যদি কখনো কথা বলেন, কিছু হলে আমরা দায়ী থাকব না। আপনি জয়কে (সজিব ওয়াজেদ জয়) নিয়ে বলেন, শেখ হাসিনাকে (প্রধানমন্ত্রী) নিয়ে বলেন।” এসব কথা বলার পর ছাত্রদলের নেতারা চলে যান।
পরে ওমর ফারুক কাওছারের প্রসঙ্গ টেনে ডা. জাফরুল্লাহ তার বক্তব্যে বলেন, “ওখানে (আওয়ামী লীগে) তারা করছে এক ব্যক্তির বন্দনা। এখানেও কিছুক্ষণ আগে যে ঘটনা ঘটল, সেটাতেও এক ব্যক্তির বন্দনা। এভাবে এক ব্যক্তির বন্দনা জাতিকে ধ্বংসের দিকে নিয়ে যায়। কণ্ঠ রুদ্ধ করা যায় না, বিশেষ করে আমার মতো লোককে ভয় দেখিয়ে কণ্ঠ রোধ করা যায় না। আমি যেটা ভালো মনে করব, জাতির জন্য যা প্রয়োজন মনে করব, আমি বলেই যাব। সেটা কারও পছন্দ হোক বা নাই হোক।”