Friday, April 26, 2024
Homeলাইফস্টাইলশিশুর সফলভাবে বেড়ে ওঠার গোপন রহস্য

শিশুর সফলভাবে বেড়ে ওঠার গোপন রহস্য

যখন প্যারেন্টিংয়ের কথাটা আসে, প্রতিটি মা-বাবাই সন্তানের জন্য তাদের সব্বোর্চ প্রচেষ্টা করে থাকেন। তাহলে গুড প্যারেন্টিং ব্যাপারটা আসলে কী? এটি কি নির্ভর করে আপনার সন্তানের মূল্যবোধ জাগ্রত করতে পেরেছেন কিংবা আপনি কতটুকু মূল্যবান সময় সন্তানের সাথে কাটাচ্ছেন?

গুড প্যারেন্টিং যতটা কঠিন মনে হয় তারচেয়ে অনেক বেশি সহজ ব্যাপার। ৭০ বছর ধরে করা এক গবেষণা, যা ৭০,০০০ এরও বেশি শিশুর বিস্তারিত তথ্য নিয়ে করা হয়েছিলো, সেখান থেকে জানা গেছে অনেক অজানা তথ্য। ব্রিটিশ বার্থ কোহোর্টস হিসাবে পরিচিত, এই গবেষণা দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পরপরই যুক্তরাজ্যে শুরু করা হয়েছিল। বিশেষজ্ঞরা যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশে মায়েদের প্যারেন্টিংয়ের অবস্থা বোঝার চেষ্টা করছিলেন। তারা একটি সমীক্ষা করেছিলেন, ১৯৪৬ সালে সপ্তাহগুলোতে যেসব মা সন্তান জন্ম দিয়েছেন, তাদের ওপর। শেষ পর্যন্ত, সেসময়ে তারা জন্মের সাথে সম্পর্কিত ১৪,০০০ এর অধিক প্রশ্নাবলী সংগ্রহ করেছিলেন।

বিজ্ঞানীরা সময়ের সাথে সাথে বিভিন্ন প্রজন্মের শিশুর তথ্য সংগ্রহ করেছিলেন, যা তাদের ৭০ বছরে ৭০,০০০ শিশুর ওপর একটি ধারণা দিয়েছে। কীভাবে সফল পিতা-মাতা হতে পারেন সে সম্পর্কে বিস্তারিত প্রকাশ করেছে টাইমস অব ইন্ডিয়া।

কথোপকথন শিশুর সাথে কথা বলা এবং তাদের কথা শোনা প্যারেন্টিংয়ে বড় ভূমিকা পালন করে। আপনার শিশুর কথা শোনা তাদের সাথে কথা বলার মতোই গুরুত্বপূর্ণ।

শিশুর ভবিষ্যৎ নিয়ে পরিকল্পনা আপনার সন্তান বড় হওয়ার সাথে সাথে তাদের ভবিষ্যৎ নিয়ে পরিকল্পনা করুন। আপনার অপূর্ণ স্বপ্নগুলো যেন তাদের উপর চাপিয়ে না দেন, সে ব্যাপারে নিশ্চিত হতে হবে।

ভালোবাসার বহিঃপ্রকাশ আপনার সন্তানের প্রতি মায়া কিংবা ভালোবাসার অনুভূতি প্রকাশ অন্য সবকিছুর থেকে বেশি প্রয়োজন। একটি আত্মিক বন্ধন তৈরি করুন যাতে তারা বিশ্বস্ততা খুঁজে পায়।

ঘুরতে বের হওয়া শিশুর একঘেয়েমি জীবন দূর করার অন্যতম উপায় হচ্ছে ফ্যামিলি ট্রিপ কিংবা অ্যাডভেঞ্চারে বের হওয়া। এটি আপনাকে এবং আপনার শিশুকে পারিবারিক বন্ধনে আকৃষ্ট করবে ।

পড়ার অভ্যাস শিশুর দৈনিক সময়সূচীতে পড়ার অভ্যাস গড়ে তুলুন। শিশু সহজে নতুন অভ্যাসে খাপ খাইয়ে নিতে পারে,তাই এই ভালো অভ্যাস তাদের আজীবন কাজে আসবে।

সবগুলো টিপসই প্রয়োজনীয় তবে বেশিরভাগই পালন করা হয় না। শত ব্যস্ততায়ও প্রতিদিন শিশুর সাথে কাটানোর জন্য কিছু সময় বের করুন। কোয়ালিটি টাইম মানে এই নয় যে সবসময় প্রোডাকটিভ কিছু করা, দিনে কোনো একটা সময় আপনার সন্তানের পাশে বসুন, তার আজকের দিনটা কিভাবে কাটলো তা জানতে চান। এই সামান্যটুকু প্রচেষ্টা যথেষ্ট আপনার সন্তানের মাঝে পারিবারিক বন্ধন, ভালোবাসা এসব অনুভূতির উন্মেষ ঘটাবে।

RELATED ARTICLES
Continue to the category

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

Most Popular

Recent Comments