মাত্র নয় বছর বয়সে ঠাকুরবাড়িতে ঢোকেন কাদম্বরী দেবী। ১৯ বছর বয়সী জ্যোতিরিন্দ্রনাথ ঠাকুরের সঙ্গে বিয়ে হয়েছিল তার। জ্যোতিরিন্দ্রনাথ ছিলেন রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের বড় ভাই, সে হিসেবে কাদম্বরী ছিলেন কবিগুরুর বৌঠান।
ঠাকুরবাড়িতে এসে বয়সে দুই বছরের ছোট রবীন্দ্রনাথের সঙ্গে বন্ধুত্ব হতে সময় লাগেনি কাদম্বরীর। তার পিতামহ জগন্মোহন গঙ্গোপাধ্যায়ের কাছ থেকেই একসঙ্গে গান শিখেছিলেন দু’জনে।
রবীন্দ্রনাথের সৃষ্টিসত্ত্বাকে ক্রমাগত উৎসাহ জুটিয়ে গিয়েছিলেন তার নতুন বৌঠান। নতুন কিছু লিখলেই ছুটে যেতেন বন্ধুসম বৌঠানের কাছে। তার মতামত ছিল সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। দুজনের সম্পর্ক নিয়ে আছে নানা জল্পনা-কল্পনা।
সংবাদ প্রতিদিন জানায়, ইতিহাসের পাতা থেকে এই দুই চরিত্র এবার উঠে আসছে ছোটপর্দায়। খুব শিগগিরই স্টার জলসায় শুরু হতে চলেছে ধারাবাহিক ‘রবির নতুন বৌঠান’।
এই প্রসঙ্গে কথা বলতে গিয়ে লেখক লীনা গঙ্গোপাধ্যায় জানান, অনেকদিন ধরেই কবিগুরুকে নিয়ে ছোটপর্দায় কিছু করার জন্য বলে আসছিলেন অনেকে। এবার সেই চাহিদা পূরণ হবে।
তরুণ রবীন্দ্রনাথের সৃষ্টিশীলতাকে প্রতি মুহূর্তে ইন্ধন জুগিয়ে গিয়েছিলেন তার নতুন বৌঠান। সেই বিষয়টিকেই বেশি করে দর্শকদের সামনে নিয়ে আসতে চান লীনা। বিতর্ক নয়, তৎকালীন সমাজ, জীবন দর্শন ও মানুষের পারস্পরিক সম্পর্কের কাহিনিই হবে এই ধারাবাহিকের মূল উপজীব্য।
রবীন্দ্রনাথ ও কাদম্বরীর চরিত্রে কারা অভিনয় করবেন, তা এখনও ঠিক হয়নি। তবে দুই পর্বে এই ধারাবাহিক দেখানো হবে। প্রথম পর্বে কাদম্বরীকে কেন্দ্র করে গল্প আবর্তিত হবে। পরের পর্যায়ে বৌঠানের মৃত্যুর পর কবিগুরুর জীবনের কাহিনি তুলে ধরা হবে।
সম্প্রতি কলকাতার চ্যানেলে বেড়েছে ইতিহাস নির্ভর কাজ। শাশুড়ি-বৌমার কাহিনির পাশাপাশি দেখা যাচ্ছে ‘করুণাময়ী রানি রাসমণি’, ‘প্রথমা কাদম্বিনী’র মতো ধারাবাহিক। কাদম্বিনী দেবীকে নিয়ে ধারাবাহিক জি-বাংলাতেও শুরু হয়েছিল। কিন্তু টিআরপির দৌড়ে তা তেমন সাফল্য পায়নি।
টেলিভিশনের পর্দায় দেখা গিয়েছে নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর কাহিনিও। ধারাবাহিক বন্ধ হয়ে গেলেও ‘নেতাজি’র চরিত্রে অভিনয় করে অভিষেক বসু জনপ্রিয়তা পান। সেই সুবাদেই ‘মায়ামৃগয়া’ সিনেমায় ফের নেতাজির ভূমিকায় অভিনয় করবেন তিনি।