Saturday, April 20, 2024
HomeScrollingতালেবানকে স্বাগত জানালো রাশিয়া

তালেবানকে স্বাগত জানালো রাশিয়া

অনলাইন ডেস্ক।।

লাভরভ বলেন, ‘এক নতুন প্রশাসন এখন আফগানিস্তানের ক্ষমতায়। যারা সামরিক ও রাজনৈতিক পরিস্থিতি স্থিতিশীল করার এবং রাষ্ট্রযন্ত্রের কাজ পুনঃস্থাপনের জন্য প্রচেষ্টা চালাচ্ছে। আর আমরা তা লক্ষ্য করছি’।

তবে তিনি আফগানিস্তানে একটি স্থিতিশীল শান্তি অর্জনের জন্য এখন তালেবানদেরকে ‘শুধু দেশের সমস্ত জাতিগত গোষ্ঠী নয় বরং সমস্ত রাজনৈতিক শক্তির স্বার্থ প্রতিফলিত করে’ এমন একটি প্রশাসন গড়ে তোলার আহবান জানিয়েছেন।

আফগানিস্তানের ভবিষ্যতকে কেন্দ্র করে মস্কো সম্মেলনে চীন ও পাকিস্তানসহ ১০টি দেশের কর্মকর্তারা অংশ নিচ্ছেন। এতে ভারত, ইরান, কাজাখস্তান, কিরগিজস্তান, তাজিকিস্তান, তুর্কমেনিস্তান এবং উজবেকিস্তানের প্রতিনিধিরাও অংশ নিচ্ছেন।

মস্কোতে বুধবার শুরু হওয়া এই সম্মেলন তালেবানরা আফগানিস্তানের নিয়ন্ত্রণ গ্রহণের পর থেকে তালেবানের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ আন্তর্জাতিক বৈঠকগুলোর একটি।

লাভরভ বলেন, সম্মেলনে যুক্তরাষ্ট্রের অনুপস্থিতিতে মস্কো দুঃখ প্রকাশ করছে। ওয়াশিংটন এর আগে বলেছিল যে, তারা কারিগরি কারণে এই দফার আলোচনায় যোগ দেবে না, কিন্তু ভবিষ্যতে আলোচনায় অংশ নেওয়ার পরিকল্পনা করছে।

তালেবান প্রতিনিধিদলের নেতৃত্বে ছিলেন তাদের উপ-প্রধানমন্ত্রী আবদুল সালাম হানাফি। তিনি নতুন আফগান নেতৃত্বের একজন সিনিয়র ব্যক্তিত্ব যিনি গত সপ্তাহে ইউরোপীয় ইউনিয়ন এবং যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আলোচনায়ও নেতৃত্ব দিয়েছিলেন।

আবদুল সালাম হানাফি বলেন, সমগ্র অঞ্চলের স্থিতিশীলতার জন্য এই বৈঠক অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

এখনই কোনো স্বীকৃতি নয়

গতকাল (মঙ্গলবার) মস্কো বলেছে, মানবিক ও অর্থনৈতিক সংকটের মুখোমুখি দাঁড়িয়ে থাকা আফগানিস্তানকে সহায়তা দিতে ইচ্ছুক রাশিয়া, চীন এবং পাকিস্তান।

লাভরভ বলেছিলেন যে, রাশিয়া শীঘ্রই আফগানিস্তানে মানবিক সহায়তার চালান পাঠাবে, এবং আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কেও দেশটিতে মানবিক বিপর্যয় রোধে দ্রুত সম্পদ সংগ্রহের আহ্বান জানিয়েছে।

কিন্তু মস্কো এটাও স্পষ্ট করে দিয়েছে যে তালেবান সরকারকে স্বীকৃতি দিতে এখনো প্রস্তুত নয় রাশিয়া।

লাভরভ বলেন, ক্রেমলিন আফগানিস্তানের সকলের অংশগ্রহণে একটি অন্তর্ভুক্তিমূলক সরকার সহ ক্ষমতায় আসার সময় তালেবানদের দেওয়া প্রতিশ্রুতিগুলো পূরণের অপেক্ষায় আছে। সেগুলো পুরণ করলেই তালেবানকে স্বীকৃতি দেওয়া হবে।

সমালোচকরা বলছেন, রাশিয়ায় ‘সন্ত্রাসী’ সংগঠন হিসেবে নিষিদ্ধ থাকা তালেবানরা আফগানিস্তানে নারী ও সংখ্যালঘুদের অধিকার রক্ষার প্রতিশ্রুতি থেকে পিছিয়ে যাচ্ছে। পর্যবেক্ষকরা বলছেন যে, তালেবানরা তাদের আগের প্রতিপক্ষকেও তাড়া করছে, যা তাদের প্রতিশ্রুতির বরখেলাপ।

বুধবার সম্মেলনের আগে লাভরভ সাংবাদিকদের বলেন, ‘তালেবানের আনুষ্ঠানিক স্বীকৃতি আপাতত আলোচনায় নেই। এই অঞ্চলের অন্যান্য প্রভাবশালী দেশের মতো আমরাও তাদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছি। আমরা তাদেরকে ক্ষমতায় আসার সময় তারা যে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল তা পূরণ করতে প্ররোচিত করছি’।

অন্যান্য রাশিয়ান কর্মকর্তারা বুধবারের আলোচনায় সীমিত ফল লাভের প্রত্যাশা করেছিলেন।

আফগানিস্তানের জন্য প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের বিশেষ প্রতিনিধি জামির কাবুলভ গত সপ্তাহে বলেছিলেন যে, তিনি কোনো বড় অগ্রগতি আশা করেন না।

ক্রেমলিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ বলেন, বৈঠকটি ‘আফগানিস্তানে সামনে কী ঘটবে তা জানার চেষ্টা’।

যুক্তরাষ্ট্রের আগে ১৯৭৯ থেকে ১৯৮৯ পর্যন্ত আফগানিস্তানে যুদ্ধ করে রাশিয়াও হেরে এসেছে। ফলে রাশিয়া মূলত তার অঞ্চলে অস্থিতিশীলতা এড়াতে কূটনৈতিক প্রচেষ্টা চালাচ্ছে এবং নিজের স্বার্থ রক্ষার চেষ্টা করছে।

পুতিন মধ্য এশিয়ার প্রাক্তন সোভিয়েত প্রজাতন্ত্রগুলোতে ‘ইসলামপন্থী চরমপন্থীদের’ অনুপ্রবেশের সম্ভাবনা সম্পর্কে সতর্ক করেছেন। মধ্য এশিয়াকে মস্কো একটি প্রতিরক্ষামূলক বাফার জোন হিসেবে গণ্য করে।

যুক্তরাষ্ট্রের সেনা প্রত্যাহার এবং তালেবানদের ক্ষমতা দখলের পর অন্যান্য অনেক দেশের মতো রাশিয়া কাবুল থেকে তাদের দূতাবাস সরিয়ে নেয়নি এবং রাশিয়ার রাষ্ট্রদূত তালেবানদের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রক্ষা করে চলেছেন।

RELATED ARTICLES
Continue to the category

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

Most Popular

Recent Comments