মনজুর হোসেন, মাদারীপুর
মাদারীপুর জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা মিয়াজ উদ্দিন খান (৭৮) বৃহস্পতিবার রাতে ঢাকার সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) চিকিৎসাধীন অবস্থায় ইন্তেকাল করেছেন (ইন্নালিল্লাহি..রাজিউন)। বীর মুক্তিযোদ্ধা মিয়াজ উদ্দিন খান প্রধানমন্ত্রীর উপ-প্রেস সচিব শাখাওয়াত মুনের পিতা। মৃত্যুকালে তিনি স্ত্রী ও দুই ছেলে রেখে গেছেন। শুক্রবার বাদ জুমআ মাদারীপুর পৌর ঈদগাহ মাঠে রাষ্ট্রীয় মর্যাদা শেষে প্রথম জানাজা এবং কালকিনির সাহেবরামপুর জামে মসজিদ মাঠে দ্বিতীয় জানাজা শেষে তাকে কালকিনির পশ্চিম সাহেবরামপুর পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়েছে। মিয়াজ উদ্দিন খান প্রথমে জেলা মাদারীপুর পরিষদের প্রশাসক ছিলেন। পরবর্তীতে ২০১৮ সালের নির্বাচনে তিনি চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। তিনি বাংলাদেশ পর্যটন করপোরেশনের কর্মকর্তা হিসেবে দীর্ঘদিন চাকুরী করেছেন।
মুক্তিযোদ্ধা মিয়াজ উদ্দিন খানের মৃত্যুতে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এক শোক বার্তায় প্রধানমন্ত্রী মরহুমের আত্মার মাগফিরাত কামনা করেন এবং তার শোকসন্তাপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান।
এছাড়াও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতি মন্ডলীর সদস্য, সাবেক নৌমন্ত্রী বীর মুক্তিযোদ্ধা শাজাহান খান এমপি গভীর শোক প্রকাশ করেছেন। শোক বার্তায় তিনি জানান, মিয়াজ উদ্দিন ভাইকে হারিয়ে আমরা আজ জাতির বীর শ্রেষ্ঠ একজন দেশ প্রেমিককে হারালাম। তিনি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আদর্শ ও চেতনার বীর সৈনিক ছিলেন।
মাদারীপুর সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও বাহাদুরপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা সৈয়দ শাখাওয়াত সেলিম এক শোক বার্তায় বলেন, জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা মিয়াজ উদ্দিন খানের মৃত্যুতে আমি গভীর শোক প্রকাশ করছি। মরহুমের রুহের মাগফিরাত কামনা করছি। সাথে সাথে সদর উপজেলা আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি পরিমল কুন্ডর মৃত্যুতেও আমি এবং সদর উপজেলা আওয়ামীলীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক, কালিকাপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. এজাজুর রহমান আকনও গভীর শোক প্রকাশ করেছে। পরিমল কুন্ড শুক্রবার দুপুরে হৃদযন্ত্র ক্রিয়া বন্ধ হয়ে মৃত্যু বরণ করেন।
মাদারীপুর জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা মিয়াজ উদ্দিন খানকে রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় দাফন সম্পন্ন
RELATED ARTICLES
Continue to the categoryRecent Comments
Hello world!
on