বিশেষ প্রতিবেদক।।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মনির মোল্লা হত্যা মামলার আসামিরা প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়াচ্ছে। বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের হত্যা মামলার আসামিরা কী করে ঘুরে বেড়ায় এনিয়ে জনমনে পুলিশের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন ওঠেছে।
গত বৃহস্পতিবার জেলা প্রশাসকের কার্যালায়ের সামনে আসামিরা ব্যানার ফেস্টুন হাতে মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে মানববন্ধন করছে মামলার আসামী মনির হাওলাদার এবং শাখাওয়াত হাওলাদার। যেই মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী এবং সাবকে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মামলার আসামী রয়েছে।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ঘটনায় গত ৫ই আগষ্ট মনির মোল্লা ঢাকায় পুলিশের গুলিতে নিহত হন। নিহত মনির মোল্লার বোন ৪অক্টোবর মোসা. নিলুফা ইয়াসিন বাদি হয়ে ঢাকার সাহাবাগ থানায় একটা হত্যা মামলা দায়ের করেন। এতে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে (৮০) প্রধান করে ২৬জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত আরও ২৫০/৩০০ জনকে আসামি করা হয়। এই মামলায় ২১ নং আসামি আওয়ামী লীগ কর্মী মনির হাওলাদার এবং ২২নং আসামি করা হয় শাখাওয়াত হাওলাদারকে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ব্যক্তি মামলার বিষয়ে বলেন, বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে নিহত মনির মোল্লার মামলায় কে জড়িত, কে নিরপরাধ তা নির্ধারন করবে আদালত। শেখ হাসিনা ও সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী, পুলিশের সাবেক আইজিপিসহ সাবেক ডিবি প্রধানের নামে করা এই মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে কি করে মামলার আসামীরা প্রকাশ্যে ব্যানার হাতে সড়কে দাড়ালেন? তাও ডিসি অফিস, এসপি অফিসের সামনে। মনির হত্যা মামলার আসামীরা কেউ বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের পক্ষে ছিলেন না। এরা সকলেই তৎকালীন ফ্যাসিস্টদের ছায়াতলে থেকে আঁতাত করে চলতেন। পরোক্ষভাবে এরা তৎকালীন সরকারদল আওয়ামী লীগের রাজনীতি করতেন।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সদস্য সচিব মাসুম বিল্লাহ জানান, এরা প্রকাশ্যে ঘোরাফেরা করছে, প্রশাসন এদের বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা নিচ্ছে না। এরা সরাসরি হত্যা মামলার এজারভুক্ত আসামি, এদেরকে এখন পর্যন্ত ধরা হয়নি। এরা আওয়ামী লীগের সাথে সরাসরি জড়িত।
মাদারীপুর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আদিল হোসেন জানান, বিষয়টি আমাদের নজরে আসেনি, আমাদের অগোচরে তারা মানববন্ধন করেছে। আমরা জানলে অবশ্যই তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নিতাম ।
LN24BD /masum