হুমায়ূন চোকদার,কুষ্টিয়া সংবাদদাতাঃ
কুষ্টিয়ার কুমারখালীতে পদ্মা নদীর ভাঙন শুরু হয়েছে। ভাঙ্গনে বিশ্বকবি রবী›ন্দ্রনাথ ঠাকুরের স্মৃতিবিজড়িত কুঠিবাড়ীসহ ৬ টি গ্রাম ঝুঁকিতে রয়েছে। কুঠিবাড়ী রক্ষায় পদ্মা নদী পাড়ের প্রধান অংশ দেড় কিলোমিটার ব্যতিরেখে দুইপাশে প্রতিরক্ষা বাঁধ নির্মাণ করায় এমন ভাঙন শুরু হয়েছে বলে স্থানীয়দের অভিযোগ।
এদিকে খবর পেয়ে সোমবার সকালে ভাঙন এলাকা পরিদর্শন করেন কুষ্টিয়া পাউবো’র নির্বাহী প্রকৌশলী পীযূষ কৃষ্ণ কুন্ডু, কুমারখালী উপজেলা নির্বাহী অফিসার রাজীবুল ইসলাম খান, উপজেলা প্রকল্প বাস্ত’বায়ন কর্মকর্তা
মাহমুদুল ইসলাম,শিলাইদহ ইউপি চেয়ারম্যান সালাহ্উদ্দিন খান তারেকসহ স্থানীয় প্রশাসন।
সরেজমিন গেলে স্থানীয়রা জানান, বর্ষার শুরুতে নদীর পানি বাড়তে শুরু করেছে। ঘনঘন বৃষ্টি আর বাতাসে কোমরকান্দির জালাল সর্দারের বাড়ি থেকে জলা প্রামাণিকের বাড়ি পর্যন্ত ভেঙে পড়ছে নদীর পাড়। ফলে ভাঙনের আতঙ্কে নিয়ে জীবন পার করছেন তারা।
ভুক্তভোগী জালাল সর্দার জানান, ভাঙনের জন্য দুইবার ঘর সরিয়ে নিয়েছি, আবারও নদী ভাঙ্গতে ভাঙ্গতে ঘরের কিনারে চলে আইছে। গরীব মানুষ বারবার ঘর সরানোর টাকা কই পাব।
সুফিয়া খাতুন জানান, পানির শব্দে রাতে ঘুম হয়না। কখন যেন ভেঙে চলে যায়, বাঁধ নির্মাণ করা হলে আমরা বেঁচে যেতাম।
এবিষয়ে শিলাইদহ ইউপি চেয়ারম্যান সালাউদ্দিন খান তারেক জানান, এবছর আগাম পাড় ভাঙন শুরু হয়েছে পদ্মা নদীতে। ভাঙন রোধ না করা হলে হাজার হাজার বিঘা কৃষি জমি, ঘর-বাড়িসহ ৬ টি গ্রাম নদীগর্ভে বিলিন হয়ে যাবে। তিনি আরো জানান, কুঠিবাড়ী প্রতিরক্ষা হিসেবে প্রায় চার কিলোমিটার বাঁধ নির্মাণ হলেও মাঝখানে দেড় কিলোমিটার বাঁধ নির্মাণ না থাকায় রক্ষা হয়নি নদী ভাঙ্গন।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার রাজীবুল ইসলাম খান জানান, ভাঙন এলাকা পরিদর্শন করা হয়েছে, ভাঙন রোধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
কুষ্টিয়া পাউবো’র নির্বাহী প্রকৌশলী পীযূষ কৃষ্ণ কুন্ডু জানান, শিলাইদহ কুঠিবাড়ী রক্ষায় একটি প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হয়েছে। ভাঙন বেশি হওয়ায় শিলাইদহ এলাকায় ১ হাজার মিটার ও সুলতানপুর এলাকায় ২ হাজার ৭২০ মিটার প্রতিরক্ষা বাঁধ নির্মাণ করা হয়েছে আগেই। তিনি আরো জানান, দুই বাঁধের মাঝে দেড় কিলোমিটার অংশে হঠাৎ ভাঙন শুরু হয়েছে। তবে ভাঙন প্রতিরোধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।